শেষের পাতা
ছুটির দিনেও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার
২১ জুন ২০২৫, শনিবার
ছুটির দিনেও বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। সরকারি চাকরি অধ্যাদেশকে কর্মচারী বিরোধী ও কালো আইন উল্লেখ করে সদ্য জারিকৃত এই আইন বাতিলের দাবিতে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
গতকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানান তারা। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা ১৫ শতাংশ সুবিধা ভাতা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। সরকারি কর্মচারীরা বলছেন, এই ভাতা কার্যকর হওয়ার ফলে তাদের বর্তমান ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা বাতিল হয়ে যাবে, যা তাদের জন্য একটি ক্ষতির কারণ হবে। তারা এই সুবিধা বহাল রাখার পাশাপাশি, নতুন করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানেরও দাবি করছেন। একইসঙ্গে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। আগামী রোববার থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। গত ২৫শে মে সরকার ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে।
পাঠকের মতামত
প্রতিদিন জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। তাই বর্তমান বেতন-ভাতা দিয়ে কর্মকর্তাদের অনেকের সমস্যা না হলেও সাধারণ কর্মচারীদের ওপর খরচের চাপ বাড়ছে। ফলে নতুন পে-স্কেল দাবি করা অযৌক্তিক হবে না। যেখানে নিত্যপণ্যের মূল্য ৪০-৫০% পর্যন্ত বেড়ে গেছে, সেখানে মাত্র ১,০০০ টাকার ভাতা সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক দুরাবস্থা নিরসনে কার্যকর হতে পারেনা। সুতরাং ‘বিশেষ সুবিধা(?)’ নামক অবাস্তব হাস্যকর প্রণোদনা বাদ দিয়ে পরবর্তী পে-স্কেল না হওয়া পর্যন্ত তাদের জন্য চলনসই মহার্ঘ ভাতা দেয়া হোক। বেতন বৈষম্য দুর করে স্থায়ী পে-কমিশন গঠন করা হোক। স্থায়ী পে-কমিশন হলে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি বছর তাদের বেতন ও ভাতা বাড়বে। সেটি হলে খুব ভালো হবে। সেই সাথে ইনক্রিমেন্টের শেষ ধাপের ব্লক তুলে জঠিলতা নিরসন করে গত ১০ বছরের বৈষম্য দূর করা হোক।
সরকারী কর্মকর্তাদের প্রজাতন্ত্রের সেবা করার ইচ্ছা না থাকলে ইস্তফা দিয়ে চলে যাক। যারা সেবা দিতে পারবে তারা থাকবে। সুবিধাবাদী আর পেট পূজারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঔদত্ব্য অনেক বেড়ে গেছে। এদের থামান দরকার। ডক্টর ইউনুস না পারলে হবে না। এদের দাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে।
ছুটির দিনেও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিক্ষোভ:এক্ষেত্রে সরকার হলো মালিক,কর্মচারী কর্মকর্তা মহোদয়গণ চাকর,বেশি বাড়াবাড়ি করলে সরাসরি বাদ দিতে হবে বা বহিষ্কার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আন্দোলন এই অসভ্যদের চাকুরী থেকে বহিস্কার করে নতুন নিয়োগ দেওয়ায় ভাল।