ঢাকা, ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

সাংবিধানিক কাউন্সিল নিয়ে দলগুলো একমত হয়নি

অনলাইন ডেস্ক

(১০ ঘন্টা আগে) ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৩:৫৫ অপরাহ্ন

mzamin

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘সাংবিধানিক কাউন্সিল নিয়ে দলগুলো একমত হয়নি’। খবরে বলা হয়, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। গতকাল বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হয়। দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানের পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনপদ্ধতি নিয়েও ঐকমত্য হয়নি। গতকাল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিষয় ছিল এ দুটি প্রস্তাব। এ নিয়ে আরও আলোচনা হবে।

ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে এবং এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা যাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে না যায়, সে জন্য সংবিধানে যেসব সংস্কার আনার প্রস্তাব করা হয়েছে, তার একটি হলো এনসিসি গঠন। প্রস্তাব অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগ—রাষ্ট্রের এই তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এনসিসি গঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি), পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ (পিএসসি) বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধানদের নিয়োগের জন্য এই কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠাবে। রাষ্ট্রপতি তাঁদের নিয়োগ দেবেন।

বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া রাষ্ট্রপতিকে অন্য যেকোনো কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী করতে হয়। এনসিসি গঠন করা হলে সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমবে।

গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে আলোচনা শুরু হয়। এক ঘণ্টার মতো মধ্যাহ্নবিরতি দিয়ে আলোচনা চলে বিকেল প্রায় সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। আলোচনাটি বিটিভি নিউজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

গতকাল আলোচ্য বিষয় ছিল দুটি—এনসিসি গঠন ও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনপদ্ধতি। তবে দিনের বড় অংশজুড়েই আলোচনা হয় এনসিসি নিয়ে। জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অনেকগুলো দল নীতিগতভাবে এ প্রস্তাবকে সমর্থন করে। তবে বিএনপি, সিপিবি, গণফোরাম, বাসদসহ কিছু দল এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নয়। এনসিসি নিয়ে বিএনপির জোরালো আপত্তি আছে।

জামায়াতে ইসলামী আগের দিন অংশ না নিলেও গতকালের আলোচনায় উপস্থিত ছিল। বিএনপি, এনসিপিসহ ৩০টি দল অংশ নেয় এ আলোচনায়। প্রথম পর্বের আলোচনায় মৌলিক সংস্কারের যেসব প্রস্তাবে ঐকমত্যে হয়নি, সেগুলো নিয়ে ২ জুন দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরদিন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শুরু হয়। ঈদুল আজহার ছুটির পর গত মঙ্গলবার থেকে আবার আলোচনা চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আবার আলোচনা হবে।

প্রস্তাবিত এনসিসির রূপরেখা

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, আইনসভা হবে দ্বিকক্ষের। এনসিসির সদস্য হবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নিম্নকক্ষের স্পিকার, উচ্চকক্ষের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি। এ ছাড়া বিরোধী দল মনোনীত নিম্নকক্ষের ডেপুটি স্পিকার ও উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার, সরকারি ও প্রধান বিরোধী দলের বাইরে উভয় কক্ষের বাকি সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত একজন সদস্য।

সংসদ ভেঙে গেলেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শপথ না নেওয়া পর্যন্ত এনসিসির সদস্যরা কর্মরত থাকবেন। আইনসভা না থাকলে এনসিসির সদস্য হবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত উপদেষ্টা পরিষদের দুজন সদস্য।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার; অ্যাটর্নি জেনারেল, সরকারি কর্ম কমিশনের প্রধানসহ অন্যান্য কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধানসহ অন্যান্য কমিশনার, মানবাধিকার কমিশনের প্রধানসহ অন্যান্য কমিশনার, প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধান এবং আইনে নির্ধারণ করে দেওয়া অন্য কোনো পদে নিয়োগের জন্য নাম চূড়ান্ত করবে এনসিসি। রাষ্ট্রপতি সে অনুযায়ী নিয়োগ দেবেন।

দলগুলোর অবস্থান

আলোচনায় অংশ নিয়ে এনসিসি প্রশ্নে দলের অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, বিএনপি এই প্রস্তাবের সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত নয়। এ ধরনের একটি কাঠামো করা হলে প্রধানমন্ত্রী পদের কোনো মূল্য থাকে না।

সালাহউদ্দিন বলেন, অতীতে ক্ষমতার অপচর্চার কারণে এ ধরনের একটি কাঠামো করার বিষয়টি মাথায় এসেছে। কিন্তু তাঁরা মনে করেন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনকে প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন করা গেলে এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হলে নির্বাহী বিভাগ কর্তৃত্ববাদী হতে পারবে না।

সাংবিধানিক বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য আইন সংস্কার করা যায়, উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, মাথাব্যথা হয়েছে তাই মাথা কেটে ফেলা ঠিক হবে না।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘চেক অ্যান্ড ব্যালান্সে’র জন্য এ রকম একটি কাঠামো প্রয়োজন। কিন্তু সেটা এখন নয়। এ বিষয়ে পরবর্তী সংসদ বিবেচনা করতে পারে।

এনসিসি গঠনের প্রস্তাবকে নীতিগতভাবে সমর্থন জানায় জামায়াতে ইসলামী। তবে কাঠামো ও প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের দ্বিমত আছে। তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে এই কাউন্সিলের বাইরে রাখার পক্ষে। এ অবস্থান তুলে ধরে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ আলোচনায় বলেন, বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে সব কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী করতে হয়। এই বিধান অব্যাহত থাকলে কর্তৃত্ববাদকে স্বাগত জানানো হবে। এখানে ভারসাম্য আনতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন করতে হবে।

এনসিসি গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। অবশ্য এনসিসির গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে তাদের দ্বিমত আছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, যাঁরা এনসিসির প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের যুক্তিতে তিনি সন্তুষ্ট হওয়ার মতো কিছু পাননি। সাংবিধানিক পদগুলোয় নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ দিতে এনসিসি দরকার, যাতে দলীয়করণ না হয়।

নাহিদ ইসলাম মনে করেন, মৌলিক সংস্কারে এনসিসি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এনসিসির মাধ্যমে সাংবিধানিক পদগুলোয় নিয়োগ দেওয়া হলে নিরপেক্ষ নিয়োগ হবে এবং আস্থার জায়গা তৈরি হবে। এনসিসির বিকল্প প্রস্তাব থাকলে তা উপস্থাপন করারও আহ্বান জানান তিনি।

পরে মধ্যাহ্নবিরতিতে নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়েকটি রাজনৈতিক দল এনসিসি গঠনের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। আমরা বলতে চাই, যাঁরা এনসিসি গঠনের বিপক্ষে, তাঁরা মূলত ফ্যাসিবাদী কাঠামোয় থেকে যেতে চান।’

আলোচনায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মনজু বলেন, ক্ষমতার ভারসাম্য আনা সম্ভব না হলে গণ–অভ্যুত্থানের অভিপ্রায় প্রতিফলিত হবে না। এ ক্ষেত্রে এনসিসি গঠনের প্রস্তাব খুবই সঠিক চিন্তা।

গতকালের আলোচনা শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা রাজনৈতিক দলগুলো অনুভব করে। দু–একটি দলের মধ্যে এ ব্যাপারে নীতিগত মতপার্থক্য থাকলেও একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থার বিষয়ে সবাই মত দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপদ্ধতি

বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এখন ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরাও ভোট দেবেন। সংবিধান সংস্কার কমিশন ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন দুই ধরনের নির্বাচনপদ্ধতি সুপারিশ করেছে।

গতকাল কিছু সময় এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও তা শেষ হয়নি। আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যমান পদ্ধতি পরিবর্তনের দরকার আছে কি না, রাষ্ট্রপতিকে আরও ক্ষমতা দেওয়া ও ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার বিষয় বিবেচনা করা উচিত কি না, এসব প্রশ্ন আলোচনায় এসেছে। তিনি জানান, এনসিসি ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

গতকালের আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীকে বেশি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ এনে মধ্যাহ্নবিরতির পর অল্প কিছু সময়ের জন্য ‘ওয়াকআউট’ করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সও সভা থেকে বের হয়ে আসেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঐকমত্য কমিশন তাঁদের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় তাঁরা আবার আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন।

আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, যেকোনো আলোচনায় সৌহার্দ্য থাকবে, ভিন্নমতও থাকবে। এতগুলো রাজনৈতিক দল, ক্ষোভ–বিক্ষোভ থাকবেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সব রাজনৈতিক দল কমিশনকে সহযোগিতা করছে।

আলোচনায় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

যুগান্তর

ইরান-ইসরাইল তুমুল লড়াই নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘বিপজ্জনক আগামী ২৪ ঘণ্টা’। খবরে বলা হয়, রণফুলকি ছুটছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে কে কখন ছারখার হয় বলা মুশকিল। অন্তত আগামী ২৪ ঘণ্টায় এর কোনো পূর্বাভাস নেই। ‘নাটের গুরু’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার নিজেই এই ‘বিপজ্জনক’ ইঙ্গিত দিয়েছেন পৃথিবীর কানে। কানাডার জি-সেভেন সম্মেলন শেষের আগেই ফেরার পথে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যাবে ইসরাইলের হামলার গতি কমবে না বাড়বে।’ সে হিসাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা কতটা ভয়ংকর হবে; কতটা লোমহর্ষক হবে তার ‘দিকদিশা’ নেই। তবে দমকা হাওয়া লাগা যুদ্ধ-আগুনের আঁচ যে কোনো মুহূর্তে আগ্নেয়গিরির মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে মধ্যপ্রাচ্যের মরু রাজনীতিতে তা স্পষ্ট।

ট্রাম্পের গত দুদিনের উত্তপ্ত কয়েক দফা পোস্ট-বিবৃতিতে সেই লক্ষণই আরও পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। ইসরাইল নয়-যুদ্ধ যেন যুক্তরাষ্ট্রই করছে। মঙ্গলবারের আরেক পোস্টে প্রথমবারের মতো সেই গোমরই ফাঁস করলেন ট্রাম্প। বললেন, ‘ইরানের আকাশ এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে।’ পরক্ষণেই বললেন, ‘ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন আমরা জানি। কিন্তু তাকে আমরা এখনই হত্যা করব না।’ তারপরই আবার বললেন, ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে হবে ইরানকে।’ অর্থাৎ যুদ্ধ এখন আর ইসরাইলের সঙ্গে নেই। নিঃসঙ্গ ইরানের প্রতিপক্ষ বিশ্ব বিশৃঙ্খলার খলনায়ক যুক্তরাষ্ট্র নিজেই।

সে হিসাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা দূর কি বাত-একটু পর কী ঘটতে যাচ্ছে; কী হবে তা পুরোটাই ধোঁয়াশায়! বড় যুদ্ধের এমন টানটান দশার মধ্যেই সমানে একে অন্যের ভূখণ্ডে হামলা-পালটা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইরান-ইসরাইল। সংঘাতের ষষ্ঠ দিনে এদিন প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

কালের কণ্ঠ

‘কমছে আয় বাড়ছে দায়’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব। বিনিয়োগে ভাটা। ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা। লাগামহীন সুদের হারে ব্যবসা-উদ্যোগে স্থবিরতা।

পতনে জেরবার পুঁজিবাজার। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। অর্থবছরের শেষ দিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে টানা কর্মবিরতি। এত সব বাধার মুখে বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির মুখে সরকার।

বলতে গেলে থমকে গেছে অভ্যন্তরীণ আয়। এতে টান পড়েছে সরকারের কোষাগারে। কাঙ্ক্ষিত আয় না হওয়ায় অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ঘাটতি এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কিন্তু থেমে নেই ব্যয়।

একদিকে আয় কমে যাওয়া, অন্যদিকে ব্যয় বেড়ে যাওয়া বা বাজেট বাস্তবায়নে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। এ জন্য বাড়ছে ধারকর্জ। দায়দেনার ভারে এ পর্যন্ত সরকারের ঋণ ছুঁয়েছে ২৩ লাখ কোটি টাকার অঙ্ক। জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এনবিআরের ঘাড়ে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে হিসাবে প্রতি মাসেই এনবিআরকে আদায় করতে হতো ৪০ হাজার কোটি টাকা।

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘বিদ্যুৎ করিডোর প্রকল্প বাতিল করছে ঢাকা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রস্তাবিত ১১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ করিডোর প্রকল্প বাতিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতের পক্ষ থেকে চলতি বছর প্রকল্প শুরু করে ২০২৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বলা হচ্ছে। তবে গ্রিড নিরাপত্তা, পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ প্রকল্পটি পুনর্বিবেচনা করছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের পার্বতীপুর হয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বোরানগর থেকে বিহারের কাটিহার পর্যন্ত বিদ্যুৎ ৭৬৫ কেভি (কিলোভোল্ট) সঞ্চালন লাইন যাবে। বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশকে অতিরিক্ত এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অর্থায়নের আশ্বাস দিয়েছে। বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য থেকে ভারতের অন্য অংশে বিদ্যুৎ নিতে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সঞ্চালন লাইন নির্মাণে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে দিল্লি। ২০২৩ সালের মে মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা-সংক্রান্ত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ বিষয়ে দুই দেশের সঞ্চালন সংস্থার অংশীদারিত্বে একটি সিদ্ধান্ত হয়। যৌথ কোম্পানি প্রস্তাবিত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করবে। এ বিষয়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সমীক্ষাও সম্পন্ন করে। কয়েকটি প্রস্তাবিত রুটের মধ্যে বোরনগর-পার্বতীপুর-কাটিহার রুটটি চূড়ান্ত হয়। পিজিসিবিসহ বিদ্যুৎ বিভাগের অনেক প্রকৌশলী এই লাইনের বিষয়ে বিরোধিতা করলেও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত-ঘেঁষা নীতি প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার প্রকল্পটি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয়।

খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটির অন্যতম ঝুঁকি হচ্ছে গ্রিড সংযুক্তি। বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যুৎ ভিন্ন মানের দুই গ্রিড একীভূত হলে একটি দেশের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রভাব অপর দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন প্রকৌশলীরা। ভারতে কোনো কারণে 'ব্ল‍্যাকআউট' হলে তার তাৎক্ষণিক প্রভাব বাংলাদেশে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

ইত্তেফাক

‘আত্মসমর্পণ করবে না ইরান, যুদ্ধে জড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ইরান এবং ইসরাইলের পালটাপালটি হামলা গতকাল সপ্তম দিনে পৌঁছেছে। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আত্মসমর্পণের আহ্বান জোর গলায় প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। দুই নেতার বাকবিতণ্ডার মধ্যেই ইরান ও ইসরাইলের একে অপরের ওপর হামলা অব্যাহত আছে। গতকাল তেল আবিব যেমন হামলা চালিয়েছে, তেমনি তেহরানও পালটা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র হামলায় জড়িয়ে পড়তে পারে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তবে তার প্রশাসনের কার্যক্রমে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তাই বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।

আত্মসমর্পণ করবে না ইরান

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান, এর জনগণ এবং এর ইতিহাস সম্পর্কে জানা ব্যক্তিরা কখনোই এই জাতির সঙ্গে হুমকির ভাষায় কথা বলেন না। কারণ ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার এই বক্তব্য পাঠ করা হয়। উপস্থাপক নিজেই এটি পড়ে শোনান। বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যে কোনো রূপ নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত মঙ্গলবার ইরানকে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন। এমন প্রেক্ষাপটে খামেনি বললেন, ইরানিরা আত্মসমর্পণকারী নয়। এর আগে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে খামেনি বলেন, ইরান কখনোই জায়নিস্টদের (ইহুদিবাদীদের) সঙ্গে আপস করবে না। সোশ্যাল মিডিয়া এক্সের একাধিক পোস্টে এ কথা লিখেছেন তিনি। খামেনি এক পোস্টে বলেন, আমরা জায়নিস্টদের (ইহুদিবাদীদের) কোনো দয়া দেখাব না। অন্য আরেকটি পোস্টে তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের কূটনৈতিক মিশন। ইরানি আলোচকরা হোয়াইট হাউজে যেতে চান—ট্রাম্পের এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মিশনের এক পোস্টে বলা হয়, কোনো ইরানি কর্মকর্তাকে পা চাটার জন্য হোয়াইট হাউজের দরজায় বসে থাকতে বলা হয়নি। পোস্টটিতে বলা হয়, তার (ট্রাম্পের) মিথ্যার চেয়েও ঘৃণ্য জিনিস হলো ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে উত্খাতের বিষয়ে তার কাপুরুষোচিত হুমকি।

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘দুই যুগে গ্যাস অনুসন্ধানে সরকারি বিনিয়োগ মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকা’। খবরে বলা হয়, দেশে গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় ২০১৮ সাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বিগত সাত অর্থবছরে বিদেশ থেকে পণ্যটি আমদানি করতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। যদিও এই এলএনজি মোট সরবরাহকৃত গ্যাসের মাত্র ২০-২৫ শতাংশ।

অন্যদিকে স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধানে দুই যুগে মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সরকার। যার মধ্যে ২০০০ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি গ্যাস উৎপাদন কোম্পানির আওতায় কূপ খননে ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে আরো অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা গ্যাসকূপ খননসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রমে ব্যয় হয়েছে বলে পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে।

গ্যাস অনুসন্ধানে সীমিত এ বিনিয়োগে একদিকে যেমন গ্যাসের বড় কোনো মজুদ আবিষ্কার হয়নি, তেমনি কমানো যায়নি গ্যাসের সরবরাহ সংকট। সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি আমদানিতে তৈরি হয়েছে বড় অনিশ্চয়তা। এ পরিস্থিতি দেশে জ্বালানি নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েই চলেছে। বাড়ছে এলএনজির দামও। এরই মধ্যে সরকার বিকল্প উৎস অনুসন্ধান শুরু করেছে। বাংলাদেশের জ্বালানি আমদানির বড় উৎস মধ্যপ্রাচ্য। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান ও কুয়েত থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল ও এলএনজি আমদানি করে বাংলাদেশ। এসব পণ্য আমদানি হয় হরমুজ প্রণালি দিয়ে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে এরই মধ্যে জাহাজ ও ট্যাংকারের ভাড়া ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। জাহাজ ভাড়া ও প্রিমিয়াম চার্জ দফায় দফায় বাড়াচ্ছে পণ্য পরিবহনকারী আন্তর্জাতিক জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। জাহাজের প্রিমিয়াম চার্জ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি এরই মধ্যে পর্যবেক্ষণ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

আজকের পত্রিকা

‘এনসিসির পক্ষে জামায়াত, এনসিপি, বিপক্ষে বিএনপি’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনে একমত জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, জেএসডিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বিএনপি, সিপিবি, বাসদ, গণফোরাম, এলডিপিসহ কয়েকটি দল । প্রস্তাবের বিরোধিতাকারী দলগুলো বলেছে, এনসিসিতে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা কমে যাবে । বিষয়টি নিয়ে আগামী সপ্তাহের অধিবেশনে আবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে দলগুলো।

গতকাল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও আজ বৃহস্পতিবার সংলাপের শুরুতেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায় কমিশন।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি বৈঠকে গতকাল বুধবার এনসিসি গঠনের প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয় । রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই সংলাপে ৩০ টি দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেন । জামায়াত গত মঙ্গলবার সংলাপে অংশ না নিলেও গতকাল অংশ নেয় । দলটির প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত হলে স্বাগত জানানো হয় । এদিকে গতকাল জামায়াত নেতাদের বেশি কথা বলার সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ তুলে আলোচনাস্থল ছেড়ে যান সিপিবি ও গণফোরামের প্রতিনিধিরা । অবশ্য কয়েক মিনিট পর তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে যান কমিশনের সদস্যরা । গতকাল বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা শুরু হয়। ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া এনসিসি গঠনের প্রস্তাব নিয়ে দিনের আলোচনা শুরু হয়।

বিএনপি, এলডিপি, সিপিবি, বাসদ, গণফোরাম, এনডিএম, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটসহ আরও দু-একটি দলের নেতারা এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করেন। তবে জামায়াত, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জেএসডি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, লেবার পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্টসহ অধিকাংশ দল এনসিসি গঠনের প্রস্তাবে একমত প্রকাশ করে ।

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘পুলিশের মামলার তদন্তে বিব্রত পুলিশ!’। খবরে বলা হয়, আন্দোলন দমাতে গিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে হামলা ও গুলি চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ঢাকাসহ সারা দেশেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কনস্টেবলদের বিরুদ্ধে দুই হাজারের বেশি মামলা হয়েছে।

এসব মামলার মধ্যে হত্যা মামলা রয়েছে ৬১২টির মতো। একেকজন পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে গড়ে একশর বেশি মামলা হয়েছে থানা ও আদালতে। ওইসব মামলায় ১ হাজার ১৬৮ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। মামলার মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে আলোচিত ৬৮টি মামলা। পিবিআইর তদন্ত মামলায় ৯৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা আসামি রয়েছেন। তাছাড়া সিআইডিসহ অন্য ইউনিটগুলোও অন্য মামলার তদন্ত চালিয়ে আসছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, আসামির তালিকায় সাবেক আইজিপি থেকে শুরু করে কনস্টেবল পদমর্যাদার। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বিব্রত হচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারাই। মামলার এজাহারের সঙ্গে অনেক কিছু মিল পাচ্ছেন না তারা। তদন্তে তথ্য এসেছে, পুলিশের কোনো কোনো কর্মকর্তা বা অন্য সদস্য ডিউটি করেছেন এক স্থানে কিন্তু মামলা হয়েছে আরেক স্থানে। আবার অনেকেই ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে মামলার তদন্তে ১৪ করণীয় নির্ধারণ করেছে তদন্ত তদারক সংশ্লিষ্টরা। সেখানে কারও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না গেলে তাদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হবে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘জটিলতার পাহাড়ে সংসদীয় আসন’-এটি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, সংসদীয় আসনের সীমানা জটিলতা নিয়ে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আসনের ব্যক্তিরা ৬০৭টি আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশনে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এখন পর্যন্ত ৭৫টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস চেয়ে আবেদন পেয়েছে কমিশন। দাবি-আপত্তি আবেদনের সময় দেওয়ার আগেই ৬ শতাধিক ব্যক্তি এসব আবেদন করেছে।

নির্বাচন কমিশন বলছে, সংশোধিত সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ জারি হওয়ায় আজ কমিশন সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হবে। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশের আগেই এসব আবেদন আমলে নিলে আরও জটিলতা বাড়বে। এ ছাড়া আজ বেলা ১১টার বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে- রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা, ২০২৫; সংসদীয় আসনের সীমানাসংক্রান্ত ও বিবিধ বিষয়ও রাখা হয়েছে।

এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির ষষ্ঠ কমিশন সভা হয় গত ৪ জুন। এদিন সীমানাসংক্রান্ত আবেদনগুলো নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। বৈঠকের অগ্রগতি তুলে ধরে ওই দিন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, জাতীয় সংসদের জন্য সীমানা পুনর্নির্ধারণী- বিষয়টি ইসি সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে মাত্র। এটা মুলতবি করা হয়েছে। ঈদের পর পরবর্তী সভায় এটা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ পর্যন্ত ৬০৭টি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানান তিনি। মোট ৭৫টি আসনের পুনর্বিন্যাস চেয়ে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে আবেদন করেছেন। এ আবেদনগুলো নিয়ে গবেষণা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে কমিটি পর্যায়ে। এটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে। এদিকে এখনো সীমানার খসড়া প্রকাশ না করলেও ইতোমধ্যে কমিশনের কাছে আসা আবেদন পর্যালোচনা করে নিষ্পত্তি করতে চায় কমিশন। গেল ১২ মে জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়।

নিউ এজ

নিউ এজের প্রধান শিরোনাম ‘No consensus on constitutional council, president election’ অর্থাৎ ‘সাংবিধানিক কাউন্সিল ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ঐকমত্য হয়নি’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপের চতুর্থ দিনের বৈঠক বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও নবগঠিত নাগরিক পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।

তবে সংবিধান কাউন্সিল গঠন এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে মতভেদ থাকায় বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই মুলতবি হয়।

সংবিধান সংস্কার কমিশন একটি নয় সদস্যের সংবিধান কাউন্সিল প্রস্তাব করেছে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, প্রধান বিচারপতি এবং সংসদের বাইরে থেকে একজন সাংসদ অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, সশস্ত্র বাহিনী প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে নিয়োগের সুপারিশ করবে এই কাউন্সিল।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status