অনলাইন
মালয়েশিয়ায় ভুয়া ভিসা তৈরি সিন্ডিকেটের মূল হোতা আটক
স্টাফ রিপোর্টার, কুয়ালালামপুর
(৮ ঘন্টা আগে) ১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

মালয়েশিয়ায় ভুয়া ভিসা ও ইমিগ্রেশন স্টিকার তৈরি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালিয়ে মূল হোতাসহ একাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। গত ১৬ জুন কুয়ালালামপুরের জালান ইপোহ ও আশপাশের এলাকায় পরিচালিত এই বিশেষ অভিযানে এক পাকিস্তানি নাগরিক
ধরা পড়েন, যিনি এই জালিয়াত চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে, সিনার হারিয়ান, বেরিতা হারিয়ান, হারিয়ান মেট্রো, মালয়েশিয়া গেজেটসহ দেশটির বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ও মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন জানিয়েছে, দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে চালানো এই অভিযানে আরও আটক হন তিনজন স্থানীয় নাগরিক—একজন পুরুষ ও দুইজন নারী। অভিযানের সময় ওই পাকিস্তানি নাগরিকের কাছে বৈধ কোনো ভিসা বা পাসপোর্ট ছিল না। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে ১৩টি ভুয়া স্টিকার, একটি কম্পিউটার সেট, একটি ল্যাপটপ এবং একটি প্রিন্টার উদ্ধার করেন। জব্দ করা স্টিকারগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের পাসপোর্টের ছয়টি ভিসা, ভারতের দুটি, আমেরিকার দুটি, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের বায়োমেট্রিক পাসপোর্টের ভুয়া স্টিকার।
এই সিন্ডিকেট বিদেশি অবৈধ অভিবাসীদের কাছে প্রতিটি ভুয়া স্টিকার ১০০ রিঙ্গিত থেকে ১২০ রিঙ্গিত দামে বিক্রি করত। আটক বিদেশিদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ও পাসপোর্ট আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা করে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। এছাড়া তদন্তে সহায়তার জন্য দুইজন স্থানীয় নাগরিককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে একই দিন সন্ধ্যায় আরও একটি অভিযান চালানো হয় মালুরি ও পেতালিং জায়ার দু’টি স্থানে। এই অভিযানে ধরা পড়েন দুইজন নারী ও একজন পুরুষ স্থানীয় নাগরিক, যাদের মধ্যে দুইজন সরকারি কর্মকর্তা। এদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ১০১টি বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট, দুটি মোবাইল ফোন, একটি কোম্পানির নিবন্ধন সনদ ও একটি টয়োটা ভেলফায়ার গাড়ি।
তদন্তে জানা গেছে, এই চক্রটি বিদেশিদের জন্য ভুয়া ইপিএলকেস ভিজিট পাস (অস্থায়ী কাজের অনুমতি) তৈরি করে প্রতিটি পাসের জন্য ১১ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত নিত। তবে তাদের তৈরি ভুয়া ইপিএলকেস-এর তথ্য ইমিগ্রেশন সিস্টেমে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন।
ইমিগ্রেশন বিভাগ আরো জানিয়েছে, ইমিগ্রেশন আইন, পাসপোর্ট আইন, ইমিগ্রেশন প্রবিধান এবং মানবপাচারবিরোধী আইনের আওতায় যারা অপরাধে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।