অনলাইন
ভারতে পালানোর সময় বেনাপোলে গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগ সম্পাদক গ্রেপ্তার
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
(১ সপ্তাহ আগে) ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
.webp)
বেনাপোল দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি.এম সাহাবউদ্দিন আজমকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এ সময় তার স্ত্রী সাথে থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার বিনাপানি গার্লস স্কুল রোডের মৃত মইনদ্দিনের ছেলে।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে তিনি পরিবার নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনের ডেস্কে পাসপোর্ট জমা দেন। তার পাসপোর্টে স্টপলিস্ট থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরবর্তীতে, তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ এবং ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় দুটি পৃথক মামলা থাকায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেন।
তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একাধিক মামলাসহ সেনা সদস্যদের উপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা রয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সী জানান, পূর্ব থেকে ইমিগ্রেশনে খবর ছিল গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাবউদ্দিন আজম বেনাপোল দিয়ে ভারতে যেতে পারে। সেই মোতাবেক বহির্গমন বিভাগের সকল অফিসারকে সতর্ক করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশে করে বহির্গমন ডেস্কে পাসপোর্টে সিল মারার জন্য ডেস্কে পাসপোর্ট জমা দিলে অনলাইনে তার স্টপ লিস্ট থাকায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, ইমিগ্রেশনে আটক আওয়ামী লীগ নেতাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ ও ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পাঠকের মতামত
শুধু শুধু হয়রানী ।
Goto August er por ei loker video viral hoesilo esara mamlar todonto kore babostha neya hok.
পালিয়ে যেতে কেউ কি ইমিগ্রেশনের জন্য পাসপোর্ট জমা দেয়? রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকেও পালিয়ে যাবার অপবাদ দেয়া হয়েছিল।
Lock him up
ওকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হউক। চেহারা দেখে তো মনে হয় না সে অসুস্থ। এই ভাবে কেন সে বেনাপোল দিয়ে পাচ্ছিল তার রহস্য বের করতে হবে।
তিনি কি অসুস্থ?দু"জনের কাঁধে ভর কেন? তার নেতৃত্বেই তো সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা করা হয়েছিলো।
তাকে দুই জনের কাঁধে ভর করে কেন হাটতে হচ্ছে? দুই জনের কাঁধে করে কি বেনাপোল গিয়েছে? সেনাবাহিনীর বেত দিয়ে পাছায় দুটা টাস টাস করে বাড়ি দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
সংবাদপত্র কি সবসময় সত্য নিউজ করে না কি পরিস্থিতি বুঝে হেড লাইনে সত্যকে মিথ্যা বানায়। পাঠক হয়ে দ্বিধাদ্বন্বে পড়ে যাই।