অনলাইন
২০২৫ অর্থবছরে বাজেট পেশের আগে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষা
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ সপ্তাহ আগে) ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে পাকিস্তানের অর্থনীতি সম্ভবত ২.৭% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা আগের বছর ২.৫% ছিল। ফেডারেল বাজেট প্রকাশের একদিন আগে সোমবার সরকারের বার্ষিক অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতার রিপোর্টে এ তথ্য দেখা গেছে। সরকার প্রাথমিকভাবে এই অর্থবছরের জন্য মোট দেশজ উৎপাদনের ৩.৬% প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, কিন্তু গত মাসে তা কমিয়ে ২.৭% করেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এই অর্থবছরে ২.৬% এবং পরবর্তী সময়ে ৩.৬% প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সরকার আগামী অর্থবছরে ৪.২% প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছে, যার মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, প্রাথমিক উদ্বৃত্ত বজায় রাখা এবং ভারতের সাথে উত্তেজনার মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় পরিচালনা করা।
অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বলেছেন, ‘তিনি চান না অর্থনীতি খুব দ্রুত প্রসারিত হোক, যেমনভাবে অতীতে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।’ আওরঙ্গজেব বলেন, ‘চিনি নিয়ে ব্যস্ত হবেন না। কারণ যে মুহূর্তে আমরা ভোগ-কেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধিতে প্রবেশ করি, আমাদের আমদানি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং আমাদের অর্থপ্রদানের ভারসাম্য নষ্ট হয়, তখনই পুরো আলোচনাটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।’
২০২৫ অর্থবছরে বৃহৎ উৎপাদন থেকে উৎপাদন হ্রাস এবং প্রধান ফসলের উৎপাদন হ্রাসের কারণে প্রবৃদ্ধি পিছিয়ে ছিল। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ০.৬% ছিল, যা নয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। স্থানীয় ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান টপলাইন সিকিউরিটিজ জানিয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরে ২.৭% প্রবৃদ্ধি পাকিস্তানের দীর্ঘমেয়াদী গড় ৪.৭% এর চেয়ে অনেক কম।
জরিপে দেখা গেছে, ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে সরকারের মোট রাজস্ব ছিল ১৩.৩৭ ট্রিলিয়ন রুপি, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৬.৭% বেশি। দেখা গেছে, নয় মাসে পাকিস্তানের চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত ছিল ১.৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ঘাটতি ছিল২০০ মিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অর্থবছরে তার পলিসি রেট ১,০০০ বেসিস পয়েন্টেরও বেশি কমিয়েছে।
আওরঙ্গজেব বলেন, সহজ ঋণ শর্তাবলী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে শক্তিশালী করবে। অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে রাজস্ব ঘাটতি ছিল জিডিপির ২.৬%। বছরের জন্য মুদ্রাস্ফীতি ৪.৬% দেখা গেছে। পাকিস্তানের অর্থনীতি স্থিতিশীল হওয়ার পরও ৭ বিলিয়ন ডলারের আইএমএফ কর্মসূচির আওতায় দেশটি সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়ার লিখ্যমাত্রা নিয়েছে। জুলাই থেকে শুরু হওয়া পরবর্তী অর্থবছরের জন্য পাকিস্তানের ফেডারেল বাজেট মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে।
সূত্র: রয়টার্স