ঢাকা, ২৮ মে ২০২৫, বুধবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

সেনাসদরের ব্রিফিং

সরকার ও সেনাবাহিনী সম্পূরক হিসেবে কাজ করছে

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
mzamin

সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের বিপরীতে দাঁড়ায়নি বরং সবাই একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। এ ছাড়া সেনাসদর বলেছে, করিডোর বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাই দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়- এমন কোনো কাজে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না। গতকাল ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছে সেনাসদর। এ সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্স পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা এবং সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশন্স ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। করিডোরের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এবং এই বিষয়ে সেনাবাহিনী কী ভাবছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, করিডোর বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এই দেশ আমাদের সবার। এই দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আমরা সবাই জড়িত। দেশকে ভালো রাখতে সবাইকে কাজ করতে হবে। সুতরাং আমি মনে করি না যে, বিষয়টা এমন একটি পর্যায়ে গেছে যেভাবে বিষয়টা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার এবং সেনাবাহিনী একে অন্যের সম্পূরক হিসেবে কাজ করছে। আমরা প্রতিনিয়ত সরকারের সঙ্গে কাজ করছি এবং সরকারের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করছি। সরকার এবং সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করছে। করিডোরের সঙ্গে বর্ডারে আরসা’র মুভমেন্টের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এই দুইটা বিষয় আলাদা। সরকার ও সেনাবাহিনী ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করছে এরকম যেন আমরা না ভাবি। সরকার ও সেনাবাহিনী একই সঙ্গে কাজ করছে, ভবিষ্যতেও আমরা আরও সুন্দরভাবে কাজ করে যাবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। করিডোর নিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, যেভাবে কথা আসছে যে সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিশাল মতপার্থক্য হয়েছে, বিভেদ রয়েছে, মিডিয়াতে বিষয়টি যেভাবে আসছে, এ রকম আসলেই কিছু হয়নি। আমরা একে অপরের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সুন্দরভাবে কাজ করছি। এটা ভুলভাবে ব?্যাখ?্যা করার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়গুলো জটিলভাবে চিন্তা না করে সহজভাবে ভাবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যেন বিষয়টিকে এমনভাবে না দেখি যে, সরকার ও সেনাবাহিনী ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করছে এবং একে অপরের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে। এটা কখনোই নয়। সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাবো বলে সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

চট্টগ্রামের একটি কারখানায় সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ’র ৩০ হাজার পোশাক পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, কেএনএফ মূলত বম কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠন। পোশাক পাওয়ার সংবাদটি একটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ। সংগঠনটির অস্ত্রের ব্যবহার আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে দেখছি। তাদের আক্রমণে আমাদের কয়েকজন সেনাসদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আহতও হয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে নিশ্চয়ই এটা ভালো কোনো খবর নয়। ৩০ হাজার ইউনিফর্ম পাওয়ার ছবি দেখার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছি ব্যাপারটা কি এ বিষয়ে আমাদের জানতে হবে। এ পোশাক কাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল সেটা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এটা নিয়ে এরই মধ্যে কাজ চলছে। এই সংগঠনের সঙ্গে অন্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। তিনি বলেন, বম কমিউনিটির জনসংখ্যা মাত্র ১২ হাজার। সুতরাং এই ৩০ হাজার ইউনিফর্ম কেএনএফের জন্য ছিল কিনা সেটা খুঁজে দেখার সুযোগ আছে। বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। বিষয়টি দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। বিষয়টিকে আমরা হালকাভাবে নেইনি নিশ্চিত করে বলতে পারি। এ ব্যাপারে যতটুকু ব্যবস্থা নেয়া দরকার আমাদের দায়িত্বের মধ্যে যেটা পড়ে সেটা আমরা করবো।

বাংলাদেশ একটা ছায়া যুদ্ধের মধ্যে আছে সেটা বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে। আরসা বাংলাদেশের লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশে ঢুকে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনেক সময় বিভিন্ন মাধ্যমে খবর আসছে তাদের কাছে ভারী ভারী অস্ত্র আছে, তাদের কাছে এই অস্ত্র কোথা থেকে আসছে। এসব বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আসলে বর্ডার কি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে নাকি আমরা বর্ডার কমেপ্রামাইজ করেছি? এমন প্রশ্নের জবাবে নাজিম-উদ-দৌলা বলেন- যদি এক লাইনে উত্তর দিতে চাই অবশ্যই আমরা বর্ডার কমেপ্রামাইজ করিনি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের গায়ে বিন্দুমাত্র শক্তি থাকবে আমরা কখনোই বর্ডার কমেপ্রামাইজ করবো না। এটা আমাদের দেশ আর দেশকে আমরা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করবো। তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশ, এটা আপনার দেশ। কোনো একটা সমপ্রদায়ের মাধ্যমে এই দেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হতে পারে- সেটা কখনোই হবে না। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বর্ডার অত্যন্ত জটিল একটি পরিস্থিতির মুখে আছে। মিয়ানমারের সরকারের অস্তিত্ব বিলীনের মুখে। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যটিকে প্রায় দখল করে নিয়েছে। তাদের দখলে রাখাইন রাজ্যের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ রয়েছে। আরাকান আর্মি কোনো অথরাইজ সংগঠন নয়। এই জায়গাটাতে না আছে কোনো সরকারের অস্তিত্ব, না আছে আরাকান আর্মিকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বর্ডারে যে পরিস্থিতি যেকোনো সময়ের তুলনায় সংবেদনশীল। সেই ক্ষেত্রে এই সময়ে ওই এলাকায় কিছু সশস্ত্র গ্রুপের মুভমেন্ট করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তার মানে এই নয় যে, এটাকে আমরা স্বীকৃতি দেবো বা দেখেও না দেখার ভান করবো। তিনি জানান, এই ধরনের ঘোলাটে পরিস্থিতিতে এই ধরনের মুভমেন্ট হতে পারে। কিন্তু আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই বিজিবি প্রাথমিকভাবে ডিফারেন্টলি সাপোর্টেড বাই আর্মি আমরা এই বর্ডারে নজরদারি রাখছি। তবে অবশ্যই এই মুভমেন্টটি উদ্বেগের বিষয় এবং কাঙ্ক্ষিত নয়।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশন্স ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা অবস্থা আগের তুলনায় স্থিতি অবস্থায় আছে বা কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে। আমরা দিন-রাত সর্বদা নিরলসভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর একার দায়িত্ব নয়, এখানে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও দায়িত্ব রয়েছে। সকলে মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে আইনশৃঙ্খলা অবস্থা অচিরেই আরও উন্নত হবে বলে আমরা আশা করছি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে। এ বিষয়টি সেনাবাহিনী কীভাবে দেখছে এবং পদক্ষেপ নিচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে আমাদের সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। গণমাধ্যমে আসা এসব খবরের সঠিকতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে যথেষ্ট বিবেচনার দাবি রাখে। আরাকান আর্মির সঙ্গে আমাদের সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। 

অফিসার্স এড্রেসে সেনাবাহিনী প্রধান নির্বাচন, করিডোর, বন্দর ও স্টারলিংক নিয়ে কথা বলেন জানা গেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের বিষয়ে সেনাবাহিনীর কোনো অবস্থান আছে কিনা জানতে চাইলে মো. শফিকুল ইসলাম  বলেন, অফিসার্স এড্রেস সেনাবাহিনী প্রধান যেকোনো সময় বা সময় সময় অফিসার, জেসিও ও সৈনিকের সঙ্গে কথা বলে থাকেন, দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এটি তারই একটি ধারাবাহিকতা মাত্র। অফিসার্স এড্রেস আমরা কোনো সাংবাদিককে ডাকিনি। সেনাবাহিনী প্রধান জাতির উদ্দেশ্যেও কোনো ভাষণ দেননি অথবা আইএসপিআরও সরকারিভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি। সুতরাং গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে যা প্রকাশ করা হয়েছে এর সঠিকতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে যথেষ্ট বিবেচনার দাবি রাখে। 

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো বিষয়ে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না। দেখা গেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী বৈঠক করেছে- এ বিষয়টি সেনাবাহিনী কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, এই দলটি আত্মস্বীকৃত একটি সন্ত্রাসী দল যারা সংঘাতপূর্ণ কাজ করে থাকে। সুতরাং তাদেরকে নির্বাচনে যুক্ত করা সমুচিত নয় বলে আমরা মনে করি। নির্বাচন, করিডোর নিয়ে সেনাবাহিনী ও সরকারের মুখোমুখি কোনো অবস্থান আছে কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে মুখোমুখি কোনো অবস্থান দেখছি না। আমাদের মধ্যে যথেষ্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে এবং আমরা একত্রে এক সঙ্গে দেশের জন্য, দেশের স্বার্থে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে যদি কোনো হুমকি আসে সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনী কী করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বা নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমরা সর্বদা একত্রে এবং একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে আসছি। ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনী দেশের জন্য, দেশের নিরাপত্তার জন্য, দেশের মানুষের সঙ্গে কাজ করে যাবো।

এর আগে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশন্স ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৪০ দিনে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ অস্ত্র ও ৭০৯ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯ হাজার ৬১১টি অবৈধ অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়াও গত এক মাসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট ১ হাজার ৯৬৯ জনকে এবং এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত অপরাধী, অপহরণকারী, চোরাচালানকারী, প্রতারক ও দালাল চক্র, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, বিগত ৪০ দিনে যৌথ অভিযানে ৪৮৭ জন মাদক ব্যবসায়ী এবং আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য- যেমন ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, অবৈধ মদ ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করছে। ঈদুল আজহার সময় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঈদের আগে ও পরে মিলে দুই সপ্তাহের বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় মহাসড়কগুলোয় নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল ও মহাসড়কে দিন-রাত টহল পরিচালনা, গাড়ির অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্পর্শকাতর স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনসহ টিকিট কালোবাজারি বা বেশি দামে টিকিট বিক্রি রোধ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এসব কার্যক্রম ঈদুল ফিতরের মতোই মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে জনসাধারণকে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোসহ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘনভাবে ঈদ উদ্‌?যাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটে চাঁদাবাজি ও নিরাপত্তা বিধান নিয়ে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পায়, মূল সড়কের পাশে পশুর হাটের অবস্থান হওয়ায় রাস্তাঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়। যার ফলে জনসাধারণের মাঝে দুর্ভোগ ও জানমালের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে পশুর হাটে চাঁদাবাজি ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট থাকবে।
 

পাঠকের মতামত

Wonderful. Our Military is our pride

Saki Iqbal
২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৬:০৫ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status