অনলাইন
ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাবাহিনী প্রধান
স্টাফ রিপোর্টার
(৯ ঘন্টা আগে) ২১ মে ২০২৫, বুধবার, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৫৯ পূর্বাহ্ন

আসছে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে দেশের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের অধিকার একটি নির্বাচিত সরকারেরই রয়েছে।
বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে অফিসার্স অ্যাড্রেসে সেনাপ্রধান সাম্প্রতিক কিছু বিষয় নিয়ে তার অবস্থান তুলে ধরেন। ঢাকায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এই বৈঠক চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। এর মধ্যে শুরুতে আধা ঘণ্টার ভাষণে সেনবাহিনী প্রধান পুরো পরিস্থিতি অবহিত করেন। এরপর সোয়া এক ঘণ্টা সময় ধরে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
বৈঠকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান চলমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী সদস্যরা সারা দেশে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তার প্রশংসা করেন এবং বলেন, তিনি চান যত দ্রুত সম্ভব সেনাবাহিনী যাতে এই দায়িত্ব শেষ করে ব্যারাকে ফিরে যেতে পারে। বৈঠকে প্রসঙ্গক্রমে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়টি আসলে সেনাবাহিনী প্রধান এ নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন এবং জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
কর্মকর্তাদের আলোচনায় জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়েও প্রশ্ন আসে। এ বিষয়ে সেনাপ্রধান আগামী বছরের জানুয়ারিতে নতুন নির্বাচিত সরকার আসবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
মানবিক করিডরের বিষয়ে অফিসারদের প্রশ্নের জবাব দেন সেনা প্রধান।
বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নির্বািচত সরকারের। শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারই যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান ইংরেজিতে এক বাক্যে বলেন, ‘দেয়ার উইল বি নো করিডর’
দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল থেকে পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হতে পারে এমনটা উল্লেখ করে সেনাবাহিনী প্রধান সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
জাতিসংঘ কর্তৃক জুলাই-আগস্ট বিষয়ে যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে তার প্রসঙ্গও আসে অফিসারদের আলোচনায়। প্রতিবেদনে সেনাবাহিনীর বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি কেন এই প্রশ্নও আসে।
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সংষ্কারের যে প্রক্রিয়া চলছে এ প্রসঙ্গও উঠে বৈঠকে। এ বিষয়ে সরকার কি করছে সে সম্পর্কে সেনাবাহিনী অবগত নয় বলে উল্লেখ করা হয় ।
চট্টগ্রাম বন্দর প্রসঙ্গ আসলে সেনা প্রধান বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার শুধুমাত্র রাজনৈতিক সরকারের।
পোশাক শিল্প খাতের পরিস্থিতিও উঠে আসে বৈঠকের আলোচনায়। গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জরুরি বলে মত দেয়া হয়।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, সেনাবাহিনী এমন কোনো কাজ করবে না যা দেশ ও জনগণের ক্ষতি হয়। অন্য কাউকেও এমন কাজও করতে দেয়া হবে না।