বাংলারজমিন
নৌবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, ৩৮ প্রার্থীকে উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২১ মে ২০২৫, বুধবারপ্রতি বছর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নাবিক পদে নিয়োগের আগে মাঠে একটি প্রতারক চক্র কাজ করে। তাদের আচার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে প্রতারিত হয় গ্রামের মানুষ। প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয় তারা। এ বছর এমন ঘটনা ঘটার আগেই পুলিশ এবং নৌবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী সোমবার রাত ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার হোটেল সুইফট থেকে ৯ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ৩৮ জন চাকরিপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়। ভোরে তাদের সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করে যৌথবাহিনী। পরে প্রতারিত হতে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের জিম্মায় পুলিশ ছেড়ে দেয়।
গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারকরা হলো- কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার রিসাতপুর এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান, একই উপজেলার মহিষকুণ্ডু গ্রামের বাসিন্দা শাকিল আহমেদ, চক গ্রামের বাসিন্দা আরজ আলীর ছেলে মো. আলহাজ আলী, চুয়া মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা নয়ন আলী, ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ি উপজেলার ঘোষবাড়ির বাসিন্দা রেজাউল মণ্ডলের ছেলে ফরহাদ মণ্ডল, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার হাড়ভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলামের ছেলে মোসতাকিম, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার রেজাউল করিমের ছেলে রিয়াজ মোল্লা, রাজশাহীর বাগমার উপজেলার কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা তৈয়ব আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম, এবং কুষ্টিয়া উপজেলার পদমাদিয়া এলাকার বাসিন্দা আ. বারীর ছেলে শামীম ইসলাম।
সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আব্দুল হাই বলেন, নৌবাহিনী খুলনার তিতুমীরে পরীক্ষা আছে বলে ৩ দিন আগে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার আবাসিক হোটেল সুইফটের ৩টি কক্ষ ভাড়া করে। আমরা অনেক আগে বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলাম। প্রতারিত হওয়ার আগে ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৯ জন প্রতারককে গ্রেপ্তার এবং ৩৮ জন চাকরিপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রতারকদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন, ১০০ টাকা মূল্যের ৩৬ সেট স্ট্যাম্প এবং কয়েকটি ব্লাঙ্ক চেক উদ্ধার করা হয়। নৌবাহিনীতে চাকরি দিয়ে ৯-১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার টার্র্গেট ছিল তাদের। তিনি বলেন, ভোরে নৌবাহিনীর সদস্যরা ৯ জন প্রতারককে থানায় হস্তান্তর করে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বানৌজা পিও (আর) মো. আরিফুল ইসলাম।