বাংলারজমিন
কৃষকের হাট জুড়ে শূন্যতা, সরকারি অর্থ তছরুপ
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২১ মে ২০২৫, বুধবারচট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছিল ‘কৃষকের হাট’। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্মিত কৃষকের হাট নামক বাজারটি রিক্যুয়েস্ট অফ কোটেশনে তিন লাখ টাকা বরাদ্দে গত ১০ই ফেব্রুয়ারি চালু করেন। দৃশ্যত এখানে প্রকৃত কৃষক বা কোনো ক্রেতা এ হাটে আসেন না। নেই কোনো বিকিকিনি। হাট জুড়ে শূন্যতা! ২৪ এর পর একক ক্ষমতাবলে প্রকল্পটি বরাদ্দ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সরকারি অর্থ লোপাট করতে দায়িত্বশীলরা এই কাজ করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। কাগজে-কলমে প্রকল্পটি বিএম এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান করার কথা থাকলেও কাজটি সম্পূর্ণ তদারকি করেন পৌরসভার বিদ্যুৎ লাইনম্যান মো. মনোয়ার হোসেন। তিনি পৌরসভার কর্মচারী হয়ে শুধু উপজেলার নয় পৌরসভার যত ডিপিএম, আরএফকিউ বরাদ্দ হয় এতে একাধিক প্রকল্পের কাজ এই মনোয়ার বাগিয়ে নেন। হয়েছেন ফুলে ফেঁপে টাকার গাছ। পৌরসভার একজন কর্মচারী (বিদ্যুৎ লাইনম্যান) হয়ে কীভাবে উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করেন তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাটহাজারী প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এটা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। উপজেলা ও পৌরসভায় কোনো উন্নয়ন বরাদ্দের কমিটিতে তাদেরকে রাখা হচ্ছে না। তারা ‘কৃষকের হাট’ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। অনৈতিক হিসাব মিলাতে সরকারি খাস জমিতে প্রকল্পটি করা হয়েছে। এই হাটে কোনো বিকিকিনি হয় না। সরকারি অর্থ তছরুপ করছে মাত্র। বিএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইমরানুল ইসলাম বলেন, কৃষকের হাট কাজটি আমি পেয়েছিলাম। পৌরসভার বিদ্যুৎ লাইনম্যান মনোয়ার এই কাজে কি দায়িত্ব পালন করেছেন প্রশ্ন করলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ঠিকাদারকে পাওয়া যায়নি। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, কৃষকের হাট এটা দৃশ্যমান কাজ হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। কে কাজ করছে, কমিটিতে কাদের রাখা হয়েছে এসব বিষয়ে ফাইল দেখা ছাড়া বলা যাবে না।