অনলাইন
রাসেলকে ঘিরে শাবিতে উত্তেজনা
শাবি প্রতিনিধি
(৪ ঘন্টা আগে) ১৯ মে ২০২৫, সোমবার, ৮:৩৫ অপরাহ্ন
গাড়িতে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাসেল আহমদ কর্তৃক লাঞ্ছনা ও মারধরের শিকার হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম। রোববার রাত ১০টার দিকে সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে যান এবং সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
অভিযুক্ত রাসেল আহমদকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আটক করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে থামে। দুই ঘণ্টার অধিক সময় সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তকে ধরতে ৩০ মিনিটের আলটিমেটাম দেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে ধরতে ব্যর্থ হয় পুলিশ প্রশাসন। তবে তাৎক্ষণিক বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রাখে সিলেটের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। সড়কে যানজট দূর করতে পরবর্তীতে সেনাবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আসে। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে এসময় সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাসেলকে আটক করার আশ্বাসে হলে ফিরেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে রাত দুইটার দিকে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক বেলাল হোসেন শিকদার বলেন, মাউন্ট এডোরার সামনে পিএমই বিভাগের অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় এক লোকের ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এসময় স্থানীয় লোক শিক্ষককে হেনস্থার পাশাপাশি গায়েও হাত তুলে। আহত অবস্থায় শিক্ষককে ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় রাসেল আহমদকে আসামি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে শাবি প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান বলেন, রোববার সিলেটের মাউন্ট এডোরার সামনে শাবি শিক্ষককে হেনস্তা ও মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত রাসেল আহমদকে আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলামকে প্রাথমিক অবস্থায় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি বাসায় আছেন।