অনলাইন
টঙ্গীতে প্রতিবন্ধী যুবতীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী থেকে
(৬ ঘন্টা আগে) ১৯ মে ২০২৫, সোমবার, ৭:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২০ অপরাহ্ন

টঙ্গীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট ‘মৈত্রী শিল্পের কম্পিউটার অপারেটর বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এক যুবতীর হাত- পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাটি ঘটে গতকাল স্থানীয় আরিচপুর গাজী বাড়ি এলাকার মোস্তফার বাড়িতে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহ বাড়ি মালিক গোলাম মোস্তফাকে আটক করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। নিহতের নাম রাবেয়া সাবরিন লিখন (৩২)। তিনি শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী ছিলেন এবং টঙ্গী সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরে তৃতীয় শ্রেণীর কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তাঁর তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার উত্তর পটখালী এলাকায় সেলিম হাওলাদারের মেয়ে। তিনি বর্তমানে গাজী বাড়ি পুকুর পাড়ে ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানা যায়, নিহতের হাত-পা বেঁধে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যা করা হয় এবং রুমের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হত্যাকারীরা। পাশের বাসার লোকজন সকালে বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মেয়েটির হাত পা বাঁধা ও খাটে উপুর হয়ে পড়ে আছে। ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় আছে। রুমের অবস্থা দেখে ধস্তাধস্তির আলামত পাওয়া যায়। ভিকটিমের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় টঙ্গীর শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট মৈত্রী শিল্পের কারখানা ব্যবস্থাপক মহসীন আলী বলেন, মেয়েটি অত্যন্ত মেধা সম্পন্ন সে মাস্টার্স ডিগ্রী পাশ করে আমাদের এখানে চাকরি নিয়েছে ২০২৩ সালে। আমাদের অফিসে তৃতীয় শ্রেণীর কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, আলামত বলছে, প্রতিবন্ধী লিখনকে হাত পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে কি না তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানান। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।