শেষের পাতা
নীতিমালার আওতায় আসছে ভিসি নিয়োগ
পিয়াস সরকার
১৮ মে ২০২৫, রবিবারবিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে অসন্তোষ। ভিসি নিয়োগে প্রধান যোগ্যতা ছিল রাজনৈতিক পরিচয়। যার ফলে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সরে দাঁড়ান। জন্ম নেয় ব্যাপক সমালোচনা। তাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালা করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। একক নিয়ন্ত্রণ রুখতে বেজোড় সংখ্যার সদস্য নিয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হবে ভিসি। আওয়ামী লীগ সরকারের আগে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হতো ভিসি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তুলে দেয়া হয় সেই নিয়ম।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটির মাধ্যমে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। সকলের মতামতের ভিত্তিতে দেয়া হবে নিয়োগ। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টাকে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দু’জন সদস্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিসি এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব থাকবেন। ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও গবেষণা-প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির কাজ চলছে। সেই ফ্রেমওয়ার্কের যোগ্যতা অর্জনের পরই ভিসি হিসেবে আবেদনের সুযোগ মিলবে।
পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটিতে রয়েছেন- শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। তবে ইউজিসি সদস্য আরেকজন কে হবেন তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
তবে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধান রয়েছে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিরা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট দ্বারা নির্বাচিত হবার পর প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিয়োগ পান। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ভিসি নিয়োগের একক কর্তৃত্ব ছিল সরকারের হাতে। প্রধান যোগ্যতা ছিল রাজনৈতিক পরিচয়।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্টের ছাড়পত্রের পরই এটি নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, যোগ্য এবং সৎ ব্যক্তিকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিতেই সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগের সুপারিশ সার্চ কমিটিই করবে। সার্চ কমিটি গঠনের সার সংক্ষেপ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সম্ভাবনা রয়েছে।