শেষের পাতা
এনসিপি’র যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তির’ আত্মপ্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ মে ২০২৫, শনিবার
আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করলো জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’। জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক হিসেবে এডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম ও মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেলের নাম ঘোষণা করেন এনসিপি’র মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। গতকাল বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানের শহীদ আবরার ফাহাদ এভিনিউতে আয়োজিত আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ১৩১ সদস্যের কমিটি ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটেছে সংগঠনটির। জাতীয় সংগীত ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কারী হান্নান মাসউদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবসহ দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুরের পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেন জাতীয় যুবশক্তির নেতাকর্মীরা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারা অনুষ্ঠানস্থলে আসেন।
এ সময় অংশগ্রহণকারীদেরকে ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘আপস না, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালি না, রাজপথ, রাজপথ’, ‘দিল্লি না, ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘যুবশক্তি আসছে, রাজপথ কাঁপছে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইয়েরা চারদিন ধরে রাস্তায় বসে আছেন। আমাদেরও মন কাঁদে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, সঠিক ও সুষ্ঠু সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে রয়েছে। না তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, না আবাসন সমস্যা সমাধান হয়েছে।
এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে উন্নীত করার জন্য অবশ্যই নতুন সংবিধানের স্বার্থে একটি গণপরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। ’২৪-এর জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের শতভাগ দায়িত্ব নিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের কাছে আহ্বান রাখতে চাই জুলাই যোদ্ধা ও শহীদেরা তাদের পরিবারকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেসব ন্যায্য দাবি- দাওয়া নিয়ে হাজির হয়েছে। সরকারকে সেসব ন্যায্য দাবি- দাওয়া বাস্তবায়ন করতে হবে। মানবিক করিডোরের প্রয়োজন আছে কিনা, সেই করিডোরের নিয়ন্ত্রণ কাদের কাছে থাকবে, সেই করিডোর দিয়ে কী পারাপার হবে, প্রত্যেকটা বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্রও দেয়া হয় ‘জাতীয় যুবশক্তি’র পক্ষ থেকে।