অনলাইন
নগর ভবনের সব ফটকে তালা, উপদেষ্টা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার
(৫ ঘন্টা আগে) ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৩:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:১২ অপরাহ্ন

নগর ভবনের সব ফটকে তালা দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। শনিবার সকাল ৯টার দিকে নগর ভবনে প্রবেশের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসি’র মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের দাবিতে কয়েকদিন ধরে এই আন্দোলন করে আসছেন তার সমর্থকরা। ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা আগামীকাল রোববারও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তার সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে নগর ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন বিক্ষোভকারীরা।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কেউ নগর ভবনে ঢুকতে পারছেন না। ওই ভবনে স্থানীয় সরকার বিভাগেরও অফিস রয়েছে। সেখানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া অফিস করেন। তালা ঝুলিয়ে দেয়ার কারণে এই অফিসেরও সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ইশরাককে মেয়র পদে না বসানোর প্রতিবাদে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে বিক্ষোভে অংশ নেয়া সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘দাবি আদায়ে আগামীকাল রোববার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে ঢাকাবাসী। এছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তার সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে নগর ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
এদিন সকাল ১১ টার দিকে ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসি’র মেয়র হিসেবে শপথের দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।
সচিবালয়ের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গেলেও চারদিকে পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে ইশরাকের সমর্থকেরা সচিবালয়ের সামনে যেতে পারেননি। পরে বেলা দেড়টার দিকে নগর ভবনের সামনে আগামীকালের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন তারা।
‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশান’, ‘ভেসে যাবে অন্যায়, রক্তের বন্যায়’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। পদযাত্রাটি মৎস্য ভবনের কাছে পুলিশের বাধা পেয়ে রুট পরিবর্তন করে সচিবালয়ের দিকে এগোতে থাকে।
এসময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ কেন চাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এক নারী বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ চাচ্ছি এই কারণে যে, তিনি চান না আমাদের জাতীয়বাদী দল থেকে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক সাহেব শপথ গ্রহণ করুক।’
এর আগে কয়েকদিন ধরে ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে শপথের দাবিতে নগর ভবনের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন গেইট অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ করে আসছেন তার সমর্থকরা।
ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭শে মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭শে এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইশরাক প্রয়াত বিএনপি নেতা ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে।
পাঠকের মতামত
আগে জানতাম কোর্ট কোন রায় দিলে রাষ্ট্রকে তা বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হয়। এখন দেখি রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আদালতের রায় বাস্তবায়নে গড়িমসি করে। এভাবে চলতে থাকলে আদালতও অন্যান্য আট দশটা প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা থাকতে পারবে না।
আদালতের রায় কার্যকর না করার জন্য এই ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা আছে। অতিসত্বর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা উচিত। না হলে জাবির আন্দোলনের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে আর পরে গাদা যেমন পানি ঘোলা করে পান করে তা করতে হবে।
Hope Govt will take smart decision as per judgement.
আমি ---জেলা থেকে বলছি,ইশরাক ও তার সমর্থকরা যা করছে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপিকে ও বর্জন করা উচিত। আমি বিএনপির কর্মী নই, বিএনপির সমর্থক হয়ে ও বলবো সবাই আওয়াজ তুলুন BNP কে বয়কট করুন।
মেয়রের ছেলে মেয়র হয়, পীরের ছেলে হয় পীর। ছেলে হিসাবে হয় , যোগ্যতার বলে নয়।এদেশ আগাবে কিভাবে?
বিএনপি পাগল হয়ে গেছে
নৌকা আর ধানের শীষ দুই সাপের একই বিষ
বিগত সময়ের অবৈধ মেয়র পালিয়ে যাওয়ার পর সেই নির্বাচনে প্রকৃত বিজয়ী জনাব ইসরাক হোসেন ভাই কে অবিলম্বে মেয়র পদে শপথ গ্রহণ এবং দায়িত্ব পালন করতে দিতে হবে।
বিএনপি আসলে দিনে দিনে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। কম্পিটিশন ছাড়া এমন ফাও খাওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত নিন্দনীয়।
১। অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ মেয়র। ২। ২০২০ নির্বাচনের ক্ষমতার ৫ বছর মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষের পথে। দুইদিনের জন্য চেয়ারে বসে ক্ষমতা অপব্যবহারের চেষ্টা।
দ্বায়িত্বে থাকা বিষাক্ত ভারতীয় আমলারা সরকারের সাথে বিএনপির দুরত্ব তৈরি করছে।
অবৈধ সরকারের অবৈধ নির্বাচনে মেয়র হতে ভালো লাগে, কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় নির্বাচনের বাধা দেয়
ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭শে এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইশরাক সাহেবের শপথ নিতে এখোন বাঁধা কোথায় বুঝলাম না?
অবৈধ সরকারের আমলে অবৈধ নির্বাচনের মেয়র হতে মজা লাগে,কিন্ত স্হানীয় নির্বাচন আগে দিতে চাইনা,।#এই দ্বিচারিতা বন্দ করা দরকার#
বিএনপি দলটা দেশের অন্যান্য দলের চেয়ে অনেক জনপ্রিয় কিন্তু বর্তমানে কিছু নেতা কর্মীর কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
ন্যাশনাল চিল্ড্রেন পার্টির নাবালক উপদেষ্টাদের আস্ফালন দেশকে সংকটে ফেলে দিচ্ছে।
আসলে এই পর্যায়ে এসে BNP কি চাচ্ছে বুজতে পারছি না? জুলাই ৩৬ আন্দোলন / বিপ্লব করা কি অপরাধ? যাকগে জীবন সায়ান্যে এসে প্রিয় দলের এই দুর্বস্তা / ভুল সিদ্ধান্ত/ সিদ্ধান্ত হীনতা দেখে ক্লান্ত... ( শহীদ জিয়া আমাদের ক্ষমা করুন )
জুলাইয়ের চেতনাকে নষ্ট করার জন্য একা বিএনপিই যথেষ্ট। তারা ক্ষমতায় যাবার জন্য রীতিমত পাগল হয়ে গিয়েছে। যেন তেন ভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার আওয়ামী মানসিকতার সাথে এর কোন পার্থক্য নেই। আন্তর্বর্তী কালীন সরকারের রাজনৈতিক ভিত্তি না থাকার কারণে তারা সহজে যা খুশী তাই করতে পারছে। এই ভাবে চলতে পারে না। চলতে দেওয়া যায় না।
অবৈধ সরকারের আমলে অবৈধ নির্বাচনের মেয়র হতে মজা লাগে,কিন্ত স্হানীয় নির্বাচন আগে দিতে চাইনা,।#এই দ্বিচারিতা বন্দ করা দরকার#