অনলাইন
সাম্য হত্যার বিচার দাবি
ঢাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(৭ ঘন্টা আগে) ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৩:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪০ অপরাহ্ন

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ করে কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। কর্মসূচিতে ঢাবি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ‘আমাদের অঙ্গীকার, নিরাপদ ক্যাম্পাস’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, হত্যাকারীর ফাঁসি চাই’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোদের রক্ষা নাই’, ‘সাম্য ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেত দেব না’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এদিকে সাম্য হত্যার কারণে গতকাল অর্ধবেলা শোক পালনের ঘোষণা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই প্রেক্ষিতে আজ স্থগিত থাকে সকল ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা। পরে তা আরো বাড়িয়ে পূর্ণ বেলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সাম্য হত্যার ঘটনায় পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালন করছে ঢাবি ছাত্রদল। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও কলা অনুষদের মূল গেটে তালা দিয়েছে শাখা সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘যারা ছাত্রলীগের ছায়াতলে থেকে তাদের সঙ্গে নির্যাতনে শরিক হয়েছে, তারা ৫ আগস্ট পরবর্তী তাদের গুপ্ত রাজনীতি জারি রেখেছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে একাধিকবার বললেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেন নাই। এ কারণেই সাম্য হত্যাকাণ্ড হয়েছে। সাম্যের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ভিসি যে বালখিল্য আচরণ করেছেন, তারপরে তিনি আর ভিসি থাকতে পারেন না।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাসে অনেকগুলো দাবি রয়েছে, সেগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মনোযোগ রয়েছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন আমাদের। আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আর কোনো শিক্ষার্থী যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার না হয়, সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। সাম্যের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
পাঠকের মতামত
ছাত্রদের সাথে কোন ভাষায় কথা বলতে হয় সেটা ভিসির জানা উচিত ছিল।
জুলাই যোদ্ধা সাম্য হত্যায় ভিসি জড়িত নয়। এটা বহিরাগত মাদকসেবীদের কাজ, সামান্য ব্যাপার নিয়ে এটা ঘটেছে। লাশের রাজনীতি করে পছন্দের পুতুল ভিসি বসানোর পায়তারা বন্ধ করুন।