অনলাইন
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ ঘন্টা আগে) ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪৮ অপরাহ্ন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে আমরা একটি জাতীয় সনদে প্রতিফলিত করতে চাই। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল এই সনদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করবে। ঐকমত্য কমিশনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাকে ধারণ করে। চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্ক্ষার স্ফুরণ ঘটেছে, তার একটি সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় কমিশন।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের বৈঠকে আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।
বাংলাদেশের নতুন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা এ দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক শক্তিগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফল উল্লেখ করে আলোচনার সূচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ যেমন প্রকাশ হয়েছে, তেমনি তাদের প্রত্যাশাকেও প্রকাশ করেছে। বার বার ফ্যাসিবাদের উত্থান হোক তা দেশের মানুষ চায় না। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সকলের সমানাধিকার থাকবে, নাগরিকের অধিকার সুনিশ্চিত হবে এবং ভিন্ন মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সংস্কার কমিশনগুলোর থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে কমিশন। এ দায়িত্ব কেবল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয় বরং রাজনৈতিক দলগুলোকেই মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে হবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে দলটির সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধি অংশ নেন। এদের মধ্যে রয়েছেন নিখিল দাশ, জনার্দন দত্ত নানটু, প্রকৌশলী শম্পা বসু, ডা. মনীষা চক্রবর্তী, জুলফিকার আলী, আহসান হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, আবু নাঈম খান বিপ্লব ও রাহাত আহম্মেদ।
পাঠকের মতামত
জনাব রীয়াজ সংবিধান সংস্কর করছেন আপনি, আপনার প্রতি অনুরোধ রাইলো দ্বৈত নাগরীকত্ব প্রথা বাতিল করুন। দ্বৈত নাগরীকত্ব আমাদের দেশে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতে যে কোন নাগরীক ভিন্নদেশের নাগরীকত্ব পেলে নিজ দেশের নাগরীকত্ব ত্যগ করতে হয় আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন। আমরাও চাই দ্বৈত নাগরীকত্ব দ্রুত বাতিল করে একটি আইন প্রনয়ন করুন।