বাংলারজমিন
নবীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে
১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
নবীগঞ্জে করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নিষিদ্ধ সংগঠন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাস রানা (৪৫)কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সিলেট নগরীর রিকাবীবাজার ফাতেমা রেস্টুরেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সঙ্গে থাকা হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ মিলুর ভূমিকা নিয়ে আলোচনায় সরব উপজেলার জনপদ। হামলায় অংশ নেয়া জনৈক প্রবাসী মোস্তাক আহমেদ মিলুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। রানাকে মারধর করা হলেও মিলুকে আঘাত করা হয়নি। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে হামলার সময়ে নিরাপদেই সরে যান মোস্তাক আহমদ মিলু। এ ছাড়াও আবুল হোসেন জীবন নামের জনৈক গণঅধিকার পরিষদ নেতার ভূমিকাও রহস্যজনক হিসেবে আলোচনায় রয়েছে। গুরুতর আহত নির্মলেন্দু দাস রানাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং মাথায় সিটিস্ক্যান করা হয়েছে মর্মে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তার বিরুদ্ধে ঢাকার পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা ছাড়াও সিলেটের একটি ঘটনায় মামলা রয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর রিকাবী বাজার রেস্টুরেন্টে গণঅধিকার নেতা আবুল হোসেন জীবন, মোস্তাক আহমদ মিলু এবং নির্মলেন্দু দাস রানা আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতার মধ্যে নবীগঞ্জের সাবেক ২-৩ জন সিলেটের কয়েকজন সহযোগী নিয়ে নির্মলেন্দু দাস রানাকে আটক করে মারধর শুরু করেন। একইসঙ্গে থাকা মোস্তাক আহমেদ মিলু ও আবুল হোসেন জীবন রানা নিরাপদে সটকে পড়েন। আবুল হোসেন জীবন হামলা থেকে বাঁচাতে আংশিক চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতা তাকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর ও গণপিটুনি দেয়। ৯৯৯-এ খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এসআই আলী হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্মলেন্দু দাস রানাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।