বাংলারজমিন
ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান
মিরসরাইয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক দুইজন
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবারচট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নে পশ্চিম অলিনগর আমজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। প্রায় ১২৫ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র দুইজন শিক্ষক দিয়ে চলছে শ্রেণি কার্যক্রম। এ ছাড়া বেশির ভাগ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাপ্তরিক কাজে বাহিরে থাকায় অধিকাংশ সময়েই এক শিক্ষক দিয়ে চলে পাঠদান। ৭টি পদের বিপরীতে ২ জন শিক্ষক থাকায় শূন্য পদ রয়েছে ৫টি। বিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষক হলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইশরাত জাহান ও সহকারী শিক্ষক নাছিমা আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি উপজেলার প্রাচীন বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। অথচ বর্তমানে শিক্ষক সংকটে নাজুক অবস্থা। দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বছরের শুরুতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী ছিল সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে অভিভাবকরা। গত বছর এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিল ১৫৫ জন, এ বছর কমে হয় ১২৫ জন।
অভিভাবক নুর আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকটে শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। একই ইউনিয়নের করেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৯ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। অথচ এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেবল ২ জন। আরেক অভিভাবক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান দিনদিন কমছে। একটা বিদ্যালয়ে ২ জন শিক্ষক দিয়ে কীভাবে চলবে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসরাত জাহান জানান, আমাকে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়। ৭ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে দুইজন। তারই প্রেক্ষিতে শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। সমাধানের ব্যাপারে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, আমাদের আরও কিছু কিছু বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে একজন নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি জয়েন করেননি। তিনি বলেন, নিয়োগ বদলি প্রক্রিয়া চলছে। এটা শেষ হলে আমরা একজন শিক্ষক হলেও সেখানে ডিপুটেশন দেয়ার চেষ্টা করবো।