অনলাইন
সা ম্প্র তি ক
সংস্কার জটিলতায় সরকার যা করতে পারে
হাসান মামুন
(৮ ঘন্টা আগে) ১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ২:১৭ অপরাহ্ন

মাঠে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়েছে বলা যায়। এ উপলক্ষেই সম্ভবত প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে ৮ই মে, বৃহস্পতিবার। প্রধান উপদেষ্টা এ কমিশনের প্রধান। প্রথম দফায় গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের জন্যই করা হয়েছিল ওই কমিশন। উদ্দেশ্য- সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছা। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো একমত না হলে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে না। সব সংস্কার যে অন্তর্বর্তী সরকারই বাস্তবায়ন করবে, তাও নয়। কোন্ কোন্ সংস্কার এ সরকার করবে, সেটাও স্থির হবে রাজনৈতিক সংলাপে। এর ভিত্তিতেই সুস্পষ্ট হবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ।
প্রধান উপদেষ্টা দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের। ওই বৈঠকে বেশ ক’জন উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন। এ নিবন্ধ লেখা অবধি বিস্তারিত জানা না গেলেও খবরে প্রকাশ, প্রথম পর্যায়ের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর ‘ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি’র প্রশংসা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যে দেড় শতাধিক সুপারিশ নিয়ে সংলাপ হচ্ছে, তার সিংহভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দলগুলো মোটামুটি একমত বলে মনে হচ্ছে। এমনটিও পরিলক্ষিত- প্রথম দিনের সংলাপের পর দ্বিতীয় দিনে কোনো কোনো দল আরও বেশি ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর দলীয় ফোরামে গিয়ে কথাবার্তা বলে নিজেদের মত বদলেছে, এমন দৃষ্টান্তও আছে। তবে সংস্কার কমিশনের বেশ কিছু মৌলিক সুপারিশে দলগুলো একমত হতে পারছে না। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। রাজনৈতিক দলগুলোতে ভিন্নমত থাকবেই। সব বিষয়ে একমত হতে তাদের দেখবো না- এটাই স্বাভাবিক।
স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনে অবশ্য এসব দল একতাবদ্ধ হয়েই রাস্তায় নেমেছিল। এর অগ্রভাগে ছিল ছাত্র-তরুণরা। তাদের ওপর নজিরবিহীন দমননীতি অভিভাবকদেরও হাসিনার পতন আন্দোলনে জড়িয়ে ফেলে। তবে সরকার পতনের পর বিভিন্ন প্রশ্নে ভিন্নমত ক্রমে স্পষ্ট হয়েছে রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর মধ্যে। হাসিনার পতন আন্দোলনে কোন্ পক্ষের কতোটা ভূমিকা, তা নিয়েও বিতর্ক দানা বাঁধতে দেখা গেল। আন্দোলনটির চরিত্র নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। এ অবস্থায় সংস্কার বিষয়ে ভিন্নমত দেখা দেবে, এটা স্বাভাবিক। সরকারও এটা জানে। জানে বলেই প্রধান উপদেষ্টা নিজে এর প্রধান হয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে তার সহকর্মীদের কাজ বুঝিয়ে দিয়েছেন। তারা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন বলেই অনুমেয়। রাজনৈতিক দলগুলোও সংস্কার বিষয়ে মতামত দিতে গিয়ে কম খাটাখাটুনি করছে না। কোনো কোনো দল এ সংক্রান্ত আলাদা টিম গঠন করেছে।
সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে মিডিয়ায়ও কম আলোচনা হচ্ছে না। সংবাদপত্র ও টকশোয় বিষয়টি ঘুরেফিরে আসছে। সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচন জড়িয়ে যাওয়ায় এ সংক্রান্ত আলোচনায় নির্বাচন পিছিয়ে যায় কিনা, এমন জল্পনাও কম উড়ে বেড়াচ্ছে না। প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের কারও কারও বক্তব্যে বিভ্রান্তিও সৃষ্টি হচ্ছে মাঝে মাঝে। সরকারের মুখপাত্রদের আবার নতুন করে বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে হচ্ছে। সরকার বলে যাচ্ছে, তারা কোনো অবস্থাতেই আগামী বছরের জুনের পর ক্ষমতায় থাকবেন না। মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টারা নিজ নিজ কাজে ফিরে যাবেন একটি অসাধারণ নির্বাচন দিয়ে। নবগঠিত ইসিও এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে আমাদের জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ইসিও নির্বাচনের অংশীজন। নির্বাচন ব্যবস্থা আর ইসি সংস্কারের এজেন্ডাও রয়েছে। এ সংক্রান্ত কমিশন ইসি’র ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি তাকে দায়বদ্ধ করতে কিছু সুপারিশ করেছে। দেখা যাচ্ছে, এর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসি’র রয়েছে আপত্তি। সেটা তারা এরই মধ্যে জানিয়েছেন সরকারকে। দেখা যাচ্ছে, কোনো বিষয়েই ঐকমত্যে পৌঁছার কাজটা সহজ নয়। এসব দেখে অনেকের মনে হতাশা জমলেও বলতে হবে, গণতন্ত্র এভাবেই কাজ করে। ভিন্নমত আছে এবং এর নিষ্পত্তির লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে। সেটা করতে গিয়ে পরস্পরকে বুঝতে চাওয়াও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
এক-এগারোর সময়েও রাষ্ট্র সংস্কারের ওপর কম জোর দেয়া হয়নি। তবে দু’বছরের মতো সময় ক্ষমতায় থেকে সেই সরকার সংস্কারের লক্ষ্যে যেসব অধ্যাদেশ জারি করে, তার সিংহভাগই অনুমোদন করেনি পরবর্তী হাসিনা সরকার। সংস্কার করে গণতন্ত্র ও সুশাসন জোরদারের বিপরীত পথেই যাত্রা করে সে সরকার। তাতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর সরকারও ক্রমে হয় জনবিচ্ছিন্ন। তাদের পরিণতি এখন গোটা বিশ্ববাসীর জানা। রাজনৈতিক পরিসর থেকেও তারা উধাও। এদের বাদ দিয়েই সংস্কার বিষয়ক যেটুকু কাজকর্ম, তা এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কোনো বক্তব্যও মিলছে না। তার এ পরিণতি থেকে মাঠে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষা নেবে বলেই সবার আশা। বিশেষ করে ক্ষমতাপ্রত্যাশী দলগুলোকে অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন নতুন পথে অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা। বিএনপি’র মতো বড় দলের পক্ষ থেকে আবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছে- হাসিনার পতনের অনেক আগেই তারা জাতির সামনে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি হিসেবে তুলে ধরেছিল ৩১ দফা। হালের সংস্কার প্রস্তাবগুলোর কথা বলতে গেলে সবই বিএনপি’র ৩১ দফায় রয়েছে বলে তাদের দাবি। এ কারণে বিএনপিকেই আবার বলা হচ্ছে সংস্কারের অভিযাত্রায় বেশি ভূমিকা রাখতে। কিন্তু কিছু মৌলিক প্রশ্নে তারা ভিন্নমত পরিহারে রাজি নয়।
ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে সামনে আসা সুপারিশগুলোর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী, নবগঠিত এনসিপি ও অন্যান্য ইসলামপন্থি দলের মতপার্থক্য কম বলেই মনে হচ্ছে। তারা আবার চাইছে- বেশি সংস্কার বাস্তবায়ন করে কিছুটা দেরিতে নির্বাচনে যেতে। সংস্কারে সবচাইতে বেশি আগ্রহী এনসিপি। তারা মনে করে, ‘মৌলিক সংস্কারের’ এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। তারা এমনকি গণপরিষদ গঠন করে নতুন সংবিধান রচনায় আগ্রহী। আগামী নির্বাচনে তারা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সম্ভাবনাও দূর করতে চাইছে। দলটিকে নিষিদ্ধ করারই পক্ষপাতী তারা। এ ব্যাপারে অবশ্য ইউনূস সরকার এখনো অসম্মত। হত্যাকাণ্ডসহ অপরাধের বিচারে এগিয়ে এলেও সরকার কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী নয়। এক্ষেত্রে তারা অবশ্য অনেকটা দায় চাপাচ্ছেন বিএনপি’র ওপর। বিএনপি আবার বলছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে সেটা করতে হবে বিচারিক প্রক্রিয়ায়। আওয়ামী লীগ স্টাইলে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করলে সেটা হিতে বিপরীত হবে বলে তাদের ধারণা। এ বিষয়ে সমঝোতা হলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের সুযোগ রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট আইনে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় থেকে আবার কী প্রতিক্রিয়া আসবে, কে জানে! জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন আন্দোলন দমনে হাসিনা সরকারের নৃশংসতার বিষয়ে তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদন দিলেও দলটিকে নিষিদ্ধ না করার পক্ষে বক্তব্য দিয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। এর মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ শেষ করে সংস্কার বিষয়ে ‘জুলাই চার্টার’ প্রকাশ করবেন তারা। আমরা অপেক্ষা করবো দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ দেখার জন্য। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাও সংলাপ চালাতে পারে নিজেদের মধ্যে। দলীয় ফোরামে আলোচনা করেও নিজ অবস্থান ঝালাই করে নিতে পারে। এতে রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের সদিচ্ছারই প্রকাশ ঘটবে। সংস্কার বিষয়ে কারা বেশি উদ্যোগী, সেটা দেশের সচেতন মানুষ খেয়াল করবে নিশ্চয়ই। সাধারণ মানুষ অবশ্য রাষ্ট্র সংস্কারের গুরুত্ব কতোখানি উপলব্ধি করে তা বলা কঠিন। তারা সম্ভবত বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখে- দ্রব্যমূল্য ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নে কারা কতোখানি উদ্যোগী। ইউনূস সরকারের এ সংক্রান্ত কাজের ভালো-মন্দ তাদেরকে প্রভাবিত করছে বেশি। এ নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়াও বেশি। কবে নাগাদ নির্বাচন হবে, সে বিষয়েও তাদের আগ্রহ রয়েছে। তবে নির্বাচিত সরকার এসে গেলেই সুশাসন নিশ্চিত হবে বলে তারা মনে করে না। নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থানের পর জনপ্রত্যাশা অবশ্য বেড়েছে। ক্ষমতাপ্রত্যাশী দলগুলো বিশেষ করে এর দাম দিলে তারা খুশি হবে।
সংস্কার বিষয়ে অবশ্য ছোট দলগুলোকেও একমত হতে হবে। এর বাস্তবায়নটা আবার নির্ভর করছে সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর। ভূ-রাজনৈতিক জটিলতাও এর অংশ বলা যায়। সামপ্রতিককালে মিয়ানমারের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ দেয়ার প্রস্তাব আর পাক-ভারত সংঘাতের প্রভাব পড়ছে দেশের পরিস্থিতিতে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিও বিবেচ্য। শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতারা সেখানে নিষ্ক্রিয় বসে নেই। তাদের পক্ষে ঝটিকা মিছিলের প্রবণতা বাড়ছে। এদিকে সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না- নয় মাস চলে গেলেও। এর লক্ষণীয় উন্নতি না হলে নির্বাচনের দিকে যাওয়াও কঠিন। মানসম্মত নির্বাচন আয়োজনে আবার এ সংক্রান্ত কিছু সংস্কার করতেই হবে। অন্য কোনো সংস্কারে হাত না দিলেও নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে সব পক্ষই। এদিকে বোদ্ধা মহলের দাবি- বাকস্বাধীনতা মোটামুটি নিশ্চিত হলে এবং বিচারবিভাগ ঠিকমতো কাজ করলে নির্বাচিত সরকারের আমলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। গণতন্ত্রও হবে জোরদার।
ইউনূস সরকার এর মধ্যে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ চূড়ান্ত করেছে এর নয়টি বিতর্কিত বিধি বাদ দিয়ে। এসব ধারায় হওয়া মামলাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিলের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। অধ্যাদেশটি মোটামুটি ত্রুটিমুক্ত হলে এটা হবে এক বড় অগ্রগতি। বিচার বিভাগ সংস্কারে অগ্রগতি অবশ্য সহজ নয়। সংবিধান সংস্কার নিয়ে বড় মতপার্থক্য আছে। এটাকে নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের ওপরই ছাড়তে হবে হয়তো। শিক্ষা সংস্কার কমিশন করা হয়নি। এক্ষেত্রে যেটুকু উদ্যোগ ছিল, তাতেও দেখা দিয়েছে বিতর্ক। তবে জনপ্রশাসনসহ শ্রম, স্বাস্থ্য ও মিডিয়া সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিতর্ক নেই বললেই চলে। যেমন, ‘জাতীয় ন্যূনতম মজুরি’ নির্ধারণ, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের পকেট থেকে ব্যয় হ্রাসের পদক্ষেপ, একযোগে একাধিক মিডিয়ার মালিকানা লাভের সুযোগ বন্ধের সুপারিশ মানুষের মনোযোগ কেড়েছে। দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য মনে হলে রুটিন কাজের পাশাপাশি এসব সংস্কারে সহজেই উদ্যোগী হতে পারে সরকার।
নীতিগত বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোয় মতপার্থক্য দেখা দেয় বেশি। এর বাইরে কিছু গোষ্ঠীও কোনো কোনো বিষয় ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি করে থাকে। হালে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা অপ্রীতিকর। কিন্তু জনস্বাস্থ্য বা শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে যেসব আলোচনা দীর্ঘদিন চলছে কিংবা মিডিয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বের হওয়ার যে প্রয়াস সমর্থনযোগ্য, তার বাস্তবায়নে কেউ বাধা দেবে বলে মনে হয় না। অন্যান্য সংস্কার ঘিরে সংলাপ এগিয়ে নেয়া এবং নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে মনোনিবেশের পাশাপাশি সরকার অবিতর্কিত এসব সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারে। কিছু সংস্কারে অবশ্য অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত। সেক্ষেত্রে আবার মিলতে পারে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা। এর মধ্যে সরকারকে একটা বাজেটও দিতে হবে। এক্ষেত্রেও ইউনূস সরকার পারে সত্যিকারের ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় তুলে ধরতে, যা হয়তো উদাহরণ হয়ে থাকবে।
লেখক: সাংবাদিক, কলাম লেখক
সূত্র: জনতার চোখ