বাংলারজমিন
সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১৪ মে ২০২৫, বুধবার সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে শাখা সড়কে অবস'ান নেয়। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রাজাশন এলাকা অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করেন আজিম গ্রুপের গ্লোবাল আউটার ওয়্যার লিমিটেড নামক তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, এপ্রিল মাসের বেতন প্রদানের জন্য প্রথমে মে মাসের ১২ তারিখ নির্ধারণ করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন' গত ১২ তারিখ বেতন না দিয়ে তারিখ পরিবর্তন করে আবার ১৩ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। মালিকপক্ষ ১৩ই মে বেতন প্রদান না করে আবার ১৮ই মে বেতনের তারিখ নির্ধারণ করেন। তাই শ্রমিকরা মালিকপক্ষের টালবাহানায় অতিষ্ঠ হয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন।
কারখানাটির সুইং শাখার আয়রনম্যান শিল্পী বেগম বলেন, আমাদের গত মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বারবার তারিখ দিয়েও কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করছে না। আজকে আমাদের বেতন দেয়ার কথা থাকলেও যথাসময়ে বেতন না দেয়ায় আমরা সড়কে নামতে বাধ্য হয়েছি। নারী শ্রমিক সোনিয়া আক্তার বলেন, আমরা কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সারা মাস কাজ করি, তারপরও কারখানার মালিক সময়মতো বেতন পরিশোধ করে না। প্রতি মাসেই আমাদেরকে আন্দোলন করে বেতন আদায় করতে হয়। যতক্ষণ আমাদের বেতন পরিশোধ না করা হবে ততক্ষণ আমরা কাজে যোগ দেবো না। অপর শ্রমিক আলেয়া আক্তার বলেন, আমরা একজন কাজ করে পাঁচজনের সংসার চালাই। বাচ্চারা স্কুলে গেলে বেতনের জন্য ঢুকতে দেয়া হয় না, বাড়ির মালিক ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে, দোকান বাকিও রয়েছে- এ অবস'ায় আমরা কী করবো, টাকা না পেলে কীভাবে সংসার চালাবো।
কারখানাটির উপ-মহাব্যবস'াপক সাইফ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা চল্লিশ বছর ধরে কারখানা চালাচ্ছি কোনো মাসে বেতন বকেয়া থাকে না। এ মাসে বেতন পরিশোধ করতে ৫ দিন দেরি হওয়ায় শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করেছে। তবে বাৎসরিক ছুটির কিছু টাকা বাকি ছিল যেটা ইতিমধ্যে পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সকলের পাওনা পরিশোধ করা হবে। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, এপ্রিল মাসের বেতনের দাবিতে আজিম গ্রুপের গ্লোবাল আউটার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। খবর পেয়ে আমরা এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস'লে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে কারখানায় নিয়ে আসি। এখন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের ব্যবস'া করা হবে।