বাংলারজমিন
নেত্রকোনায় নারী সংসদসদস্যসহ আওয়ামী লীগের হাজারের অধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
১৪ মে ২০২৫, বুধবারনেত্রকোনায় জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়ের হয়েছে। নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমলী কেশবপুর গ্রামের সুমন মিয়া বাদী হয়ে নেত্রকোনা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় গত রোববার রাতে এ মামলাটি করেন। মঙ্গলবার নেত্রকোনা সদর থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামছুর রহমান লিটন (ভিপি লিটন), সংরক্ষিত আসনের সাবেক নারী মহিলা সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি নূর খান মিটু, নেত্রকোনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রশান্ত কুমার রায়, নেত্রকোনা পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম খান, নেত্রকোনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অসিত সরকার সজল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ভজন সরকারসহ ২৫২ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জেলা শহরের ছোট বাজারে বিএনপি দলীয় অফিসে ২০২৩ সালের ২২শে মে সকালে বিএনপি’র পূর্ব-নির্ধারিত কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লগি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। হামলাকারী রামদা, লাঠি, লোহার রড, ককটেল ও ইট-পাটকেলে সজ্জিত হয়ে শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে। এছাড়া টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ছাড়াও ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকশা ভাঙচুর এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ৫০-৬০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় সুমন মিয়া বাদী হয়ে ২৫২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭০০ থেকে ৮০০ জন আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মামলার আসামিরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নেত্রকোনা থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েক আসামি ইতিপূর্বে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে। অনেক আসামি পলাতক রয়েছে।