বিশ্বজমিন
অস্ট্রেলিয়ার লিবারেল পার্টিতে ইতিহাস গড়লেন সুসান লেই
মানবজমিন ডেস্ক
(৫ ঘন্টা আগে) ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ১:১৭ অপরাহ্ন

অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটিয়েছে লিবারেল পার্টি। প্রথমবারের মতো এই ডানপন্থি প্রধান দলটি একজন নারীকে নেতা নির্বাচিত করেছে। তিনি হলেন সুসান লেই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। দীর্ঘদিন ধরেই দলটির অন্যতম অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত তিনি। তাকে নির্বাচিত করার ফলে পিটার ডাটনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। পিটার ডাটনের নেতৃত্বে লিবারেল-ন্যাশনাল জোট সম্প্রতি নির্বাচনে ভয়াবহভাবে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনে সুসান লেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অ্যাঙ্গাস টেলরের বিপক্ষে। টেলর রক্ষণশীল মূল্যবোধ পুনঃস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে লেই জয়ী হন। ৩ মে অনুষ্ঠিত ফেডারেল নির্বাচনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিরোধী জোট লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হয়। নির্বাচনে অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বে লেবার পার্টি ভূমিধস বিজয় অর্জন করে। লেবার পার্টি ৯৩টি আসন জয় করে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ১৬টি আসন বৃদ্ধি করে। সেখানে কোয়ালিশন মাত্র ৪২টি আসনে সীমাবদ্ধ থাকে।
নেতৃত্ব নির্বাচনের পর সুসান লেই বলেন, আমাদের এমন একটি লিবারেল পার্টি গড়ে তুলতে হবে যা আধুনিক অস্ট্রেলিয়াকে সম্মান করে, প্রতিফলিত করে এবং প্রতিনিধিত্ব করে। আমাদের মানুষদের কাছে যেতে হবে, তাদের বাস্তবতাকে বুঝতে হবে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন দলের পরাজয় ও সব নীতিই পুনর্মূল্যায়নের আওতায় আনা হবে। বিশেষ করে পারমাণবিক জ্বালানি ও নেট জিরো কার্বন নিঃসরণ সংক্রান্ত অবস্থান। তিনি আরও জানান, আমি ভিন্নভাবে কাজ করতে চাই। এখন সময় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির। কোনো একক সিদ্ধান্ত হবে না। আমরা প্রতিটি নীতিকে দলীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করব।
নাইজেরিয়ায় ইংরেজ পিতামাতার ঘরে জন্ম নেয়া সুসান লেই বড় হন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ১৩ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় এসে স্থায়ী হন। তিনি অর্থনীতি ও একাউন্টিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। তিন সন্তান বড় করেন। বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স অর্জন করেন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গবাদিপশু সামলানোর কাজও করেছেন। ২০০১ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিশাল এলাকা ফারার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন, যদিও ২০১৬ সালে একটি খরচ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পদত্যাগ করতে হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে স্কট মরিসনের মন্ত্রিসভায় পরিবেশ মন্ত্রী হিসেবে ফেরেন।