অনলাইন
ভারত থেকে ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন পাকিস্তানি নাগরিক
মানবজমিন ডিজিটাল
(১৫ ঘন্টা আগে) ২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২:৫৩ অপরাহ্ন

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেছে। যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের খোঁজে উপত্যকাজুড়ে চিরুণি তল্লাশি শুরু করেছে সেনা। এদিকে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়ার অভিযোগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। এর মধ্যে অন্যতম হল পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ। গত ২৬ এপ্রিল সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আব্দুল ওয়াহিদ ভারতে বসবাস করতেন। কিন্তু সরকারি নির্দেশের পর তাকে পাকিস্তানে ফেরত যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। সেই মতো আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে তার পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার তিনি রওনা দেন। কিন্তু শ্রীনগর পৌঁছনোর পর হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ৬৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। তিনি গত ১৭ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন এবং পুলিশ তার মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাটি খুঁজে পেয়েছে। ইতিমধ্যে, মোট ২২৪ জন ভারতীয় নাগরিক এবং পাকিস্তানি নাগরিক যাদের No Obligation to Return to India (NORI) ভিসা ছিল, তারা আটারি সীমান্তের ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (ICP) দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। মোট ১৩৯ জন পাকিস্তানি নাগরিক সীমান্ত পার হয়ে দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে। ৩৫ বছর বয়সী মনিকা রজনী, যার NORI এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিসা (LTV) রয়েছে, তিনি তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে সাইমারাকে নিয়ে ভারতে চলে আসেন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো সময় আইসিপি বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে আমি পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছি । আমি একটি হিন্দু পরিবারের সন্তান এবং প্রায় নয় বছর আগে বিজয়ওয়াড়ায় এক হিন্দু ব্যক্তিকে বিয়ে করি। বিজয়ওয়াড়ার আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এবং স্বামী আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।’ মনিকা রজনী নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমি বিকেল ৩টায় ভারতে পৌঁছালাম, যেখানে কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স পেতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লেগেছিল। প্রচণ্ড গরমের কারণে মায়েদের সাথে ভ্রমণকারী শিশুদের প্রয়োজনীয় সমস্ত ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করা কঠিন ছিল।’
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে