অনলাইন
পেহেলগাম হামলার পেছনে থাকা সন্ত্রাসীরা এর আগে ছয় শ্রমিক, চিকিৎসককেও খুন করেছিলো
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ দিন আগে) ১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৫৩ অপরাহ্ন
গত ২২শে এপ্রিল পেহেলগামের বৈসরান উপত্যকায় পর্যটকদের উপর ভয়াবহ হামলার জন্য দায়ী সন্ত্রাসীদের অপরাধের তালিকা বেশ দীর্ঘ। গত বছর এই জম্মু-কাশ্মীরেরই গান্ডেরবালে এক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ওই সন্ত্রাসীদের ভূমিকা ছিল বলে জানা গেছে তদন্তে। পেহেলগামের বৈসরান উপত্যকায় সন্ত্রাসিদের গুলিতে নিহত হন ২৬ জন পর্যটক। পর দিনই ঘটনার নেপথ্যে থাকা তিন সন্ত্রাসীর হাতে আঁকা ছবি (স্কেচ) প্রকাশ্যে আনে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। কিন্তু হামলার পর আট দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের খোঁজ মেলেনি। সেই আবহেই জানা গেছে, এর আগে গান্ডেরবাল জেলায় একটি হামলার সঙ্গেও যুক্ত ছিল তারা। ২০২৪ সালের ওই ঘটনায় ছয় শ্রমিক এবং এক ডাক্তার নিহত হন। সোনমার্গের জেড-মোড় সুড়ঙ্গের কাছে উদ্ধার হয়েছিল তাদের দেহ। সূত্রের খবর, পেহেলগামের মতো ওই হামলাটিও পাকভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি)-র শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। ২০২৪ সালের হামলার পেছনে থেকে একজন সন্ত্রাসী, যার নাম জুনায়েদ আহমেদ ভাট, সেই বছরের ডিসেম্বরে একটি এনকাউন্টারে নিহত হয়।পরবর্তীতে, একই দলের সাথে যুক্ত আরও দুইজন অপারেটিভকে নিষ্ক্রিয় করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থা এখন নিশ্চিত করেছে যে লস্কর সদস্য হাশিম মুসা, ওরফে সুলেমান, যাকে পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলা হয়েছে, জেড-মোড় সুড়ঙ্গ হামলায় বড় ভূমিকা পালন করেছিল।২০২৪ সালের অক্টোবরে জেড-মোড় তথা সোনমার্গ সুড়ঙ্গের অদূরে একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার শ্রমিক শিবিরে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা । তাতেই প্রাণ যায় ছয় শ্রমিক এবং এক চিকিৎসকের। সুড়ঙ্গ হামলার নিহতদের মধ্যে ছিলেন বুদগামের চিকিৎসক শাহনওয়াজ, পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের গুরমিত সিং , বিহারের মোহাম্মদ হানিফ, ফাহিম নাসির (নিরাপত্তা কর্মী), কলিম, মধ্যপ্রদেশের অনিল কুমার শুক্ল এবং জম্মুর শশী আব্রোল। পাশাপাশি, সংস্থার দু’টি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। ৬.৫ কিলোমিটার বিস্তৃত এই সোনমার্গ সুড়ঙ্গ শ্রীনগরকে কার্গিলের সঙ্গে সংযুক্ত করে। ৮,৫৬২ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই সুড়ঙ্গ ওই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ছিল। সে কারণেই এই হত্যাকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসে নিরাপত্তাবাহিনী। শুরু হয় মুসা-সহ বাকিদের খোঁজ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সূত্র : এনডিটিভি