ভারত
ষষ্ঠ দিনেও গুলি বিনিময়, সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন মোদি
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ সপ্তাহ আগে) ৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:০৪ অপরাহ্ন

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ছয় রাত ধরে সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গুলি বিনিময় অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে দ্বিতীয় বারের মতো নিরাপত্তা সংক্রান্ত কেবিনেট কমিটির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসছে। মঙ্গলবারই মোদি সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে কীভাবে জবাব দেয়া হবে, কোন সময়, কোন লক্ষ্যে আঘাত হানা হবে তা স্থির করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। মঙ্গলবার বিকেলে ৭, লোককল্যাণ মার্গের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী । সেই বৈঠকেই মোদি সেনাবাহিনীকে পদক্ষেপ নেয়ার স্বাধীনতার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর উপর তার আস্থা রয়েছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, তিন বাহিনীর প্রধান (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী, এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিংহ। পরে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে।
সোমবার রাজনাথ সিং সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে মোদিকে অবহিত করেন। সেখানেও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও উপস্থিত ছিলেন। রোববার তিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছিলেন।
এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত ছয় দিন ধরে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযোগ, পাকিস্তান রাতের অন্ধকারে গুলি চালাচ্ছে। ভারতও পাল্টা জবাব দিচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হলেও পাকিস্তানও একই অভিযোগ করেছে। পাকিস্তান বলছে, ভারতের হামলার জবাবে তারা পাল্টা জবাব দিয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করার অভিযোগে ভারতের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। পাল্টাপাল্টি এসব দাবির প্রেক্ষিতে কোন বক্তব্য সঠিক তা নিরপেক্ষভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ভারত কী ধরনের সামরিক ব্যবস্থা নেবে তা নিয়ে নানা স্তরে আলোচনা চললেও নির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে দ্বিধার মধ্যে রয়েছে বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার তার কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।