অনলাইন
নির্বাচন বিলম্বিত হলে অস্থিতিশীলতা বেড়ে যেতে পারে: সাইফুল হক
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ ঘন্টা আগে) ২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৫:০৪ অপরাহ্ন

সংস্কার ও নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশে আরও অস্থিতিশীলতা বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। শুক্রবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দুই দিনব্যাপী সাংগঠনিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ আশঙ্কা করেন। পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদকের রাজনৈতিক রিপোর্টের ওপর আলোচনা করেন দলের নেতারা।
সাইফুল হক বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের ৮ মাস পার হলেও দেশের ভেতরে ও বাইরে এই গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তিসহ নানা অশুভ গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। ৫ই আগস্টের পরিবর্তনকে এখনো তারা মেনে নিতে পারেনি। তাদের বাংলাদেশবিরোধী বহুমাত্রিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সংস্কার ও নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশে আরও অস্থিতিশীলতা বেড়ে যেতে পারে, আমাদের সম্মিলিত অর্জনও বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক শক্তিশালী রাজনৈতিক সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যে এখন জাতীয় সমঝোতা গড়ে তোলার এক অসাধারণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কারের প্রশ্নে ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হলে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ সহজতর হবে। এ ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলসহ সকল অংশীজনদের দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের সাড়ে ৮ মাস পার হলেও এখনো অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা ও বিতর্ক দেখা যাচ্ছে। সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সিদ্ধান্ত থাকলে এই বছরের মধ্যেই, এমনকি ডিসেম্বরের আগেও দেশের মানুষের বহুল কাঙ্ক্ষিত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।
তিনি বলেন, নানা রাজনৈতিক মতপার্থক্যের মধ্যেও জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমাদেরকে অবশ্যই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আর কয়েকটি ক্ষেত্রে সরকারের দৃশ্যমান কিছু সাফল্যের পরেও মানুষের প্রত্যাশা ইতিমধ্যে ফিকে হতে শুরু করেছে। নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশার পাশাপাশি গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্রমে এক ধরনের সামাজিক নৈরাজ্যের বিস্তৃতি ঘটছে। খুন রাহাজানি, সংঘাত, সহিংসতা থামছে না। জবরদস্তি, জবরদখল, মাস্তানি, চাঁদাবাজি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সামাজিক নিরাপত্তা এখনো বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জীবন-জীবিকা নানা দিক থেকে হুমকির মুখে।
সমবেতকণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। উদ্বোধনী অধিবেশনের শুরুতে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সন্জীদা খাতুন, পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এপোলো জামালী, গাজায় ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় নিহত ৬০ হাজার নারী-পুরুষ, শিশু, সম্প্রতি কাশ্মীরে নিহত পর্যটকসহ বিশ্বব্যাপী আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের কারণে নিহতদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
পাঠকের মতামত
দয়া করে আপনারা অস্থির হবেন না রাজনীতিবিদ্যা রাজনীতিবিদদের ভিতরে গণতন্ত্র সংস্কার শুরু করুন দেশের মানুষ এখন নির্বাচন যায়না পরিপূর্ণ সংস্কার এবং স্থিতিশীলতা চায় শান্তি চায় নিরাপত্তা চাই বাজারে নিয়ন্ত্রিত হোক নির্বাচন চাইতে হবেনা আপনারা আমরা সবাই