ক্লাসেই দুই শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করেছে আরেক শিক্ষার্থী

ঢাকার দোহার উপজেলার লটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীর বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্ক-বিতর্ককে কেন্দ্র করে একই ক্লাসের এক শিক্ষার্থী অপর দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে লটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়, পুলিশ ও চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৮টায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. রনি বিদ্যালয়ের পাশের একটি বাড়িতে ওই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির কয়েক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন। এ সময় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রাব্বি আহমেদ ও মো. ইউসুফের সঙ্গে একই ক্লাসের মো. মশিউরের বেঞ্জে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মশিউর প্রাইভেট শেষ করে সেখান থেকে চলে যায়। পরে সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে বিদ্যালয়ে তার ক্লাসে ঢুকে পুনরায় রাব্বি ও ইউসুফের বসে থাকা বেঞ্চে বসতে চায়। তখন তাদের দু’জনের সঙ্গে বেঞ্চে বসা নিয়ে তর্র্কে জড়িয়ে পড়েন মশিউর।
একপর্যায়ে মশিউর তার কাছে থাকা ছুরি বের করে রাব্বি ও ইউসুফকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। পরে তাদের দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাব্বির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠান ও ইউসুফকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখেন। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল ও সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল আলম বলেন, রাব্বির অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেছি। ইউসুফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। লটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরেন্দ্র কুমার মণ্ডল বলেন,  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা শিক্ষকরাসহ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদ বিষয়টি নিয়ে বসবো। পরে পুলিশের পাশাপাশি আমরাও একটি সিদ্ধান্তে যাবো। এ বিষয়ে দোহার থানার ওসি মো. রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার পর পর আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।