রাজনীতি
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে বাংলাদেশে কিছু করে দিয়ে যাবেন না: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(১৪ ঘন্টা আগে) ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

আমেরিকা থেকে ডনাল্ড ট্রাম্প, চীন থেকে শি জিন পিং এবং ভারত থেকে নরেন্দ্র মোদি এসে বাংলাদেশে কিছু করে দিয়ে যাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সেমিনার হলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ক্ষমতায়ন: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথ’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমিনারে এক ভিডিও বার্তা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এ দেশের মানুষকে ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশটা আমাদের, এর ভবিষ্যতও আমাদের নির্মাণ করতে হবে। আমেরিকা থেকে ট্রাম্প এসে ঠিক করে দেবেন না বা চীন থেকে শি (শি জিন পিং) এসেও এটা করে দেবেন না কিংবা ভারত থেকে মোদিও আমাদের ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবেন না। এ বিষয় আমাদের অন্তরে গেঁথে নিতে হবে।
দেশে বহু সমস্যা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর জন্মই হয়েছে বহুত্ববাদের মধ্য দিয়ে, এটা নিয়ে অনেকে ভুল বোঝাবুঝি করেন। বহু চিন্তার মধ্য দিয়ে, অনেক চিন্তা এসে এখানে একসঙ্গে হয়েছে। স্বাধীনতার সময় আমাদের নেতা অনেকেই ছিলেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান, মাহবুব উল্লাহ্ তখন বড় নেতা ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ফখরুল আরও বলেন, তখন আমাদের একেকজনের একেক চিন্তা ছিল। কেউ সমাজতন্ত্র, কেউ কমিউনিজম, কেউ ধর্ম প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা করেছেন। তারপর যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে, আমরা সবাই এক হয়েছি এবং এক হয়ে লড়াই লড়েছি। আজ ২৪-এ একই ঘটনা ঘটেছে, বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আমরা এসেছি, যেদিন ছাত্রদের ওপর গুলি শুরু হয়েছে, সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, প্রায় শত বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। এই লড়াইয়ে আমাদের অনেক ত্যাগ আছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই আমাদের কয়েক হাজার তরুণ-তাজা প্রাণ চলে গেছে। তাদের ত্যাগের কারণেই বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, সুখী দেশের স্বপ্ন দেখছে প্রতিষ্ঠার পর থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর যদি সুরাহা করা না যায় তবে আরও বড় বিপদে পড়তে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন, আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করি। সমস্যা আছে এবং সমস্যার সমাধান হবে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো চলে গেছে। আমি প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বিশ্বাসও আছে, তিনি সফল হবেন। আসুন, সবাই মিলে তাকে সাহায্য করে আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি। তবে একটা কথা, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই এবং গণতন্ত্রকে কখনো চাপিয়ে দেয়া যায় না -এটা চর্চা করতে হবে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
বুঝে আসে না, মানুষ এত নির্লজ্জ হয় কি করে? নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে গেছে। হা না ভোট করলে বুঝা যাবে কত ধানে কত চাল। আবু সাঈদ ও মুগ্ধ, আপনারাসহ সকল ২৪ শের শহীদ ভাইরা, আমাদের মাফ করে দিন।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ জেনে রাখুন বিগত ১৭ বছরে আমি আমাদের মত অসংখ্য সাহসী অনলাইন এক্টিভিস্টরা বিএনপির পক্ষে সোচ্চার ছিলাম এখন প্রত্যেকেই যার যার এলাকায় অবহেলিত। এ জন্যেই বিএনপি আগামী নির্বাচনে চরম মূল্য দিবে লিখে রাইখেন।
আপনাদের উদ্দেশ্য কি এটা সবাই ভালো করেই বুঝতেছে এখন। আপনারা কোথায় যাতায়াত করেন সেটাও সবাই জানে। কার উপর নির্ভর করে আছেন সেটাও সবাই জানে।
স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সময় জাতি দেখেছে বিগত ১৬ বছর বিদেশি রাষ্ট্র দূতদের পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে কত হাজার জুতার তলা আপনারা ক্ষয় করেছেন, আপনাদের মুখে এসব কথা শোভা পায়না।
লিডার, সংস্কার শেষ করতে দিন। যুগ যুগ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন, বিপ্লব সুযোগ এনে দিয়েছে। শয়তান, স্বৈরাচারীর আস্তানার পেটের মধ্যেই আমাদের দেশটা। সুযোগ এবং সুযোগ্য নেতা সব সময় আসে না। বিশ্ব নেতাদের মধ্যেই উত্তম আমাদের নেতা বিশ্ব বারেননা প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস।