রাজনীতি
অনির্বাচিত সরকার কখনো নির্বাচিত সরকারের বিকল্প হতে পারে না: সালাহউদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টার
(৫ দিন আগে) ১৩ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৮:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

অনির্বাচিত সরকার কখনো নির্বাচিত সরকারের বিকল্প হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা প্রতিদিনই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যখনই আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য দাবি তুলি তখনই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপদেষ্টাকে বক্তৃতা দিতে শুনা যায় যে, জনগণ নাকি তাদেরকে পাঁচ বছরের জন্য চায়। এটি বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কয়েকদিন আগে, এরপর শনিবার আমাদের ফরিদা আপা একজন উপদেষ্টা, আমার সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক, আমি যেজন্য তার সমালোচনা কম করতে চাই, তিনি বললেন উনারা নাকী নির্বাচিত হয়েছেন। কিভাবে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে উনাদেরকে নির্বাচিত করেছে জনগণ।
তাহলে এদেশে ইলেকশন কমিশন আছে কেনো? রাস্তায় অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হয় সেটা অবশ্যই এদেশের মানুষের জনমত। কিন্তু এদেশের নির্বাচিত সরকারের বিকল্প তো আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) হতে পারেন না, আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত, সেটা প্রতিদিনই আপনাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে।
দ্রুত নির্বাচনের দাবির কথা পুনর্ব্যক্ত করে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা বলতে চাই, আমরা যত তাড়াতাড়ি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এদেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের সংবিধান সেটা আক্রান্ত হয়েছে সেই সংবিধানকে যথাযথ সংস্কারের মধ্য দিয়ে, অধিকতর সংস্কারের মধ্য দিয়ে, সংশোধনের মধ্য দিয়ে, রাষ্ট্র কাঠামো সংশোধনের মধ্য দিয়ে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সংবিধান আমরা পেতে চাই যে সংবিধানের ভিত্তিতে আমাদের দেশ একটি ভারসাম্যমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পাবে এবং আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি হবে এদেশের জনগণের জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের ভাই জনাব ফরহাদ মজহার সাহেব গত ২/৩ দিন আগে বক্তৃতা দিয়েছেন নির্বাচনের মাধ্যমে নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না, কেবল ভোটারদের একটা সামাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়। কি আর বলব? যে নির্বাচনের জন্য, যে ভোটাধিকারের জন্য, যে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবার জন্য, যে সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাবার জন্য দেশের হাজার মানুষ শহীদ হলেন, গণঅভ্যুত্থান হলো, ফ্যাসিবাদের পতন হলো-সেই নির্বাচন সেই ভোটাধিকারকে আপনারা অস্বীকার করছেন। কাদেরকে আপনারা উৎসাহিত করছেন?
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়ে ‘কখনো ডিসেম্বর কখনো জুন’ ইত্যাকার বক্তব্যে ‘জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহল’ ভালোভাবে দেখছে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। সালাহউদ্দিন বলেন, সেই ওয়ান-ইলেভেনে মইন-ফখরুদ্দিনের কথা আপনাদের মনে নেই, বিরাজনীতির জন্য যথেষ্ট চেষ্টা তারা করেননি? আমি বলতে চাই না সেই রকম কোনো পদক্ষেপ বর্তমানে দৃশ্যমান হচ্ছে। কিন্তু আমরা ঘর পোঁড়া গরু, সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পাই।
নতুন দল ‘ভাসানী জনশক্তি পার্টি’র চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় গণফ্রন্ট্রের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পাঠকের মতামত
৫ই অগাস্ট বা ৩৬শে জুলাই হাজার, হাজার ছাত্র জনতা র রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে বিপ্লব হয়েছে? শয়তান স্বৈরাচারীনী পালিয়েছে?, দলবল ও পালিয়েছে?....
আওয়ামী, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টিও নির্বাচিত সরকার ছিল কিন্তু তারা অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেশি বিতর্কিত। অনির্বাচিত সরকার বিতর্কিত হলেও সহ্য করা যায় কিন্তু নির্বাচিত সরকার বিতর্কিত হলে তা সহ্য করা যায় না। এযেন বিবাহিত এবং অবিবাহিত তরুণীদের মতো। অবিবাহিত তরুণীরা বিতর্কিত হলে বলা যায়, যা হয়েছে বয়সেই করা হয়েছে কিন্তু বিবাহিতদের বেলায় পুরা ঘরই ধ্বংস হয়।
Don't bark. Go back india.you were better there
অনির্বাচিত সরকারতো আর নির্বাচিতদের মতো চুরি করতে পারে না.......
তোদের মত রাজনীতিবিদরা যতদিন রাজনীতি করবে ততদিন রাজনীতির কোনও উন্নয়ন হবে না।
ফ্যাসিস্টের দোসর বিএনপি-তারেক জিয়া
ইউনেস্বর নিজের মুখ দিয়ে কখনো বলে নাই পাঁচ বছর থাকতে চায় তার সহযোগিতা বলতেই পারে জনগণের মত আছে তাই ধৈর্য ধরুন আপনারা নিজেদের পরিবর্তন করুন মন মানসিকতার এবং নিজের ভেতরের নিজেদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন রাজনৈতিক দলগুলোতে তারপরে নির্বাচনের ব্যবস্থা হলে বুঝতে পারবেন কার কি হাল।
সময় এবং প্রেক্ষাপটের ব্যাপার এখন দেশের যে অবস্থা কেবলই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে রেখে গেছে বিরাট জঞ্জাল সেগুলো থাকলে গণতন্ত্র আর গণতন্ত্র দিয়ে কোন কাজ হবে না ।এই সংস্কারগুলো পরিপূর্ণভাবে শেষ করে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার থাকতে হবে সব রাজনৈতিক দলগুলোর তারপর নির্বাচন হবে একটি ব্যবস্থা।
এই অনির্বাচিত সরকারই জনগণের সরকার । বাকিরা তো ভোট চোরের সরকার বা চোরের দলের সরকার ।