অনলাইন
সহযোগীদের খবর
লক্ষ্য ডিসেম্বরে নির্বাচন: রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে আনার চেষ্টায় বিএনপি
অনলাইন ডেস্ক
(১৩ ঘন্টা আগে) ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:২৫ অপরাহ্ন

প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে আনার চেষ্টায় বিএনপি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে আনার প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিএনপি। এতে যুগপৎ কর্মসূচির শরিকেরা ছাড়াও বিগত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিল, এমন রাজনৈতিক দল, জোট ও সংগঠনগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা থাকবে বলে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সূত্র থেকে জানা গেছে।
এই উদ্যোগের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। তারই অংশ হিসেবে আজ শনিবার বিকেলে ১২–দলীয় জোট ও সন্ধ্যায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বসছে বিএনপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মতবিনিময় শেষে দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোকে একমতে আনতে বিএনপির এই উদ্যোগে জামায়াতে ইসলামী ও গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থাকছে কি না, তা পরিষ্কার নয়। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে দলটির কেউ কিছু বলছেন না।
এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির চারজন নেতার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁরা বলেছেন, বিগত ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে, এমন রাজনৈতিক সব দলের সঙ্গেই তাঁরা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবেন।
সুনির্দিষ্ট করে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে আলোচনা হবে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে এখনই বসার সিদ্ধান্ত নেই।
আরেকজন বলেছেন, আলোচনা থেকে কাউকে বাদ দেওয়ার কথা আসেনি। এ ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের চিন্তা রয়েছে।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, ‘এনসিপির সঙ্গে আমরা কথা বলব কি না, দেখতে হবে। কারণ, তাদের দুজন সরকারে আছে। এ অবস্থায় তাদের সঙ্গে কথা বলা ঠিক হবে কি না, ভাবতে হবে।’ স্থায়ী কমিটির আরেকজন সদস্য এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, তারা ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায়। এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি করে সরকারের ওপর জোরালো চাপ তৈরি করতে চাইছে বিএনপি। সে জন্য বিভিন্ন দলের সঙ্গে মতবিনিময় শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এর আগে থেকেই বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে মতবিনিময় করে আসছেন। এখন নতুন করে দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ১৬ এপ্রিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন, যা বিএনপি মেনে নেয়নি। যে কারণে বৈঠকের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট নন। তাঁদের ‘কাটঅফ টাইম’ ডিসেম্বর।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহাসচিব তো বলেই দিয়েছেন, আমরা সন্তুষ্ট নই। এখন আমরা কী করব, শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করব।’
স্থায়ী কমিটির বৈঠক–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের দিক থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা দু-এক মাস পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ আসে। কারণ, এখনই সরকারের বিরুদ্ধে মাঠের কর্মসূচি শুরু বা বড় আন্দোলনে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারণী নেতাদের কেউ কেউ। ফলে সে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও এসেছে।
ওই একই সূত্র জানিয়েছে, স্থায়ী কমিটির আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গও এসেছে। জামায়াতের আমির আগামী বছরের রোজার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটাকে নেতিবাচকভাবে নিচ্ছেন না বিএনপির নেতারা। তাঁদের যুক্তি, জামায়াত যদি এ জায়গায় স্থির থাকে, তাতে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে এক-দেড় মাস পেছালে খুব একটা আপত্তি থাকবে না। তবে সেটা অবশ্যই জুনে নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের কী আলোচনা হয়েছে, বিষয়গুলো আমরা যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে শেয়ার করব। এরপর সবার মতামত নিয়ে আমরা করণীয় ঠিক করব। আমরা যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের বাইরেও যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিল, তাদের সঙ্গেও কথা বলব।’
যুগান্তর
‘নির্বাচন ইস্যুতে সরকারকে চাপে রাখবে বিএনপি’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্র্বর্তী সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র ও গত সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করবে দলটি।
আজ প্রথম দিনে ১২ দলীয় জোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। এর মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায় বিএনপি। দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের নিয়ে চলতি মাসের শেষে কিংবা আগামী মাসের শুরুতে ঢাকায় বড় একটি সংবাদ সম্মেলন করার পরিকল্পনা দলটির।
এর মাধ্যমে সরকারকে বার্তা দিতে চায়, বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং তারা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে বিএনপি নেতারা অভিমত দেন, এই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের ফসল। সুতরাং সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো কর্মসূচি কিংবা বড় আন্দোলনে যাওয়া যাবে না। সে পরিস্থিতিও এখনো আসেনি। একটি অবাধ-সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন তারা। সুতরাং তারা চান না এই সরকার ব্যর্থ হোক। সামগ্রিক বিবেচনায় তাই সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
দলটির নেতারা জানান, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও বিএনপি বসবে, কৌশলে বোঝাপড়া করবে। দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটের দাবিতে জনমত তৈরি করার জন্য যুগপৎভাবে সভা-সমাবেশ কর্মসূচি পালনের বিষয়ে আলোচনা হবে। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারা দেশি-বিদেশিদের কাছে এমন বার্তা দিতে চায়-বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিএনপি চায় ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের পরামর্শ নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই নির্বাচনের দাবি আদায় করতে চায়। আর বিএনপির নিজস্ব কিছু কর্মসূচি পালনের বিষয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। দ্রুত রোডম্যাপ ও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দাবির সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা ইস্যুও যুক্ত করে বিক্ষোভ ও সমাবেশের কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে। ঢাকায় দু-একটি বড় সমাবেশ করারও পরিকল্পনায় রয়েছে। সামনে কোরবানির ঈদ ও বর্ষাকাল, তাই এর আগেই যুগপতের পাশাপাশি নিজস্ব এসব কর্মসূচি পালন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে ।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর ‘সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ’। সংবাদে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ আট মাস পূর্ণ হয়েছে। একটি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল এক সংকটময় পরিস্থিতিতে। কিন্তু গত আট মাসে আমরা সংকট থেকে কতটা উত্তরণ করতে পেরেছি? বাংলাদেশে যে ইস্পাতকঠিন দৃঢ় রাজনৈতিক ঐক্য ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই ঐক্য আমরা কতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধ কতটুকু আছে? এই প্রশ্নগুলো ক্রমেই সামনে আসছে। দেশে সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে, কমছে সমাধানের পথ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গত আট মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট ক্রমেই বেড়েছে। এই সংকট এখন উদ্বেগজনক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে অবিশ্বাস বেড়ে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যকে বিশ্বাস করছে না।
তাদের বিরোধ ঐক্যের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে। আমরা যদি আট মাসের শাসনামল বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখব যে আমাদের জুলাই বিপ্লবের মূল আকাঙ্ক্ষা এখন রীতিমতো হতাশায় পরিণত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। জনগণ চেয়েছিল একটি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ, একটি সাম্যের বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশে প্রত্যেক নাগরিকের মর্যাদা থাকবে।
সমকাল
‘সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিচ্ছে বিএনপি’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে বিএনপি। দলটি মনে করছে, নির্বাচন নিয়ে সরকার ততটা আন্তরিক নয়। তারা নির্বাচনকে তুলনামূলক কম গুরুত্ব দিচ্ছে।
সরকারের ওপর চাপ তৈরির অংশ হিসেবে সমমনাসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করবে বিএনপি। দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকগুলো শেষ করতে চায় তারা। তারপর সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বিষয়ে আবার নিজেদের অবস্থান জানান দেবে দলটি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবং দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ শনিবার থেকে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করছে বিএনপি। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিকেল ৩টায় ১২ দলীয় জোটের বৈঠকের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক এ আলোচনা শুরু হবে। সন্ধ্যায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দলের সঙ্গেও বসবে বিএনপি। সবার মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে দলটি।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘গুরুত্ব পাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি’। খবরে বলা হয়, সাধারণত প্রতি বছর বাজেটের আকার বাড়ে। কিন্তু আগামী (২০২৫-২৬) অর্থবছরের বাজেট হবে আগের বছরের মূল বাজেটের তুলনায় কিছুটা কম। আগামী বাজেটের আকার হবে প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় বাজেটের মূল আকার ৭ হাজার কোটি টাকা কমছে।
অন্তর্বর্তী সরকার নতুন অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে আগামী অর্থবছরের জন্য ৬ শতাংশ উচ্চাভিলাষী জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে পারে। আগামী অর্থবছরে জিডিপি হতে পারে সাড়ে ৫ শতাংশ। টেলিভিশনের পর্দায় অর্থ উপদেষ্টা বাজেট ঘোষণা করবেন ২ জুন।
সূত্রগুলো জানায়, অর্থ-সংকটের কারণে আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার কম রাখা হচ্ছে। কারণ, সরকারের আয় কম, শুল্ক-কর আদায়ও খুব বেশি বাড়েনি। আবার বিদেশি সহায়তার ঋণ পরিশোধেও বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা দক্ষিণ এশিয়ার গড়ের তুলনায় বাংলাদেশে ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি যে কোনো অবস্থায় অনেক বেশি। তিনি ইত্তেফাককে বলেন, যেখানে রাজস্ব আয় ৪ লাখ কোটি টাকা করতেই কষ্ট হয়। সেখানে আগামী বাজেটও উচ্চাভিলাষী হবে। এতে ঘাটতি বড় হবে। এটা কোনোভাবেই ছোট বাজেট হবে না, মূল্যস্ফীতি কমার বাজেটও হবে না, এমনকি বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ভালো হওয়ার বাজেটও হবে না। তিনি বলেন, ৭ হাজার কোটি টাকা কমানোর কথা বলা মানে হচ্ছে, যা কল্পনার সঙ্গে কল্পনার তুলনা করা। অনেকটা এ রকম আগের সরকার মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার কথা বলেছিল, এখন বলা হবে চাঁদে যাওয়ার কথা।
নয়া দিগন্ত
‘বিদেশের শ্রমবাজার ফের চাঙ্গা’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত এবং ইউরোপের দেশ ইতালি, রোমানিয়াসহ বিশ্বের শ্রমবান্ধব দেশগুলোতে আবারো শ্রমবাজার চাঙ্গা হয়ে উঠছে। চলতি বছরের প্রথম মাসে শ্রমিক যাওয়ার হার গতানুগতিক থাকলেও এক মাস না যেতেই শ্রমসেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। তবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর শীর্ষ পদের কর্মকর্তারা তাদের অধীনস্থ রুটিন কাজের ওপর জবাবদিহি বাড়ানো শুরু করলে পরের মাসেই আবারো শ্রমিক যাওয়ার ব্যবধান বাড়তে থাকে; অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে ৪২ হাজারেরও বেশি কর্মী বিদেশে বৈধভাবে পাড়ি জমান।
এ দিকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো কর্তৃপক্ষ বিদেশগামী কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্র প্রদানে শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যারা ভিসা সংগ্রহ করে আনছেন তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য নতুনভাবে বিএমইটিতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর ফলে বিদেশে গিয়ে যেসব শ্রমিক সমস্যার মধ্যে পড়ছেন তাদেরকে আর বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না বলে মনে করছেন অভিবাসন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল শুক্রবার রাতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা নিজের পরিচয় না প্রকাশের শর্তে নয়া দিগন্তকে বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে বিদেশে শ্রমিক বেশি গেছে। তিনি ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাসের কর্মী যাওয়ার ব্যবধান তুলে ধরে বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি আরব, কাতার, রোমানিয়া, জর্দানসহ বিভিন্ন দেশে শ্রমিক গিয়েছিল ৬২ হাজার ৪৪২ জন। আর মার্চ মাসে সেটি বেড়ে দাড়িয়েছে এক লাখ চার হাজার ৯৭৪ জনে; অর্থাৎ ৪২ হাজার ৫৩২ জন কর্মী বিভিন্ন দেশে বেশি গেছে। সম্প্রতি মডেল মেঘনা আলমের সাথে সাবেক একজন কূটনীতিককে জড়িয়ে যে ধরনের কথাবার্তা গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, এর ফলে কি বাংলাদেশের প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরবে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা একবাক্যে বলেন, না। তিনি বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুপ্রতিম ও সুদীর্ঘ। আর মেঘনার সাথে যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেটি ব্যক্তিগত একটা ইস্যু। এ ঘটনার সাথে শ্রমবাজারের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, আমার ধারণা সৌদি আরব সরকার সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ-অদক্ষসহ নানা পেশার শ্রমিক আরো বেশি করে নেবে।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘হাওরের ৯০ ভাগ ধান এখনো পাকেনি, ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাসে চিন্তায় কৃষক’। খবরে বোরো মৌসুমের আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের হাওরের ৯০ শতাংশ ফসলই এখনো কাঁচা। নেত্রকোনার হাওরেও পাকেনি বেশির ভাগ জমির ধান। এর মধ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, যা চিন্তায় ফেলেছে ওই অঞ্চলের কৃষকদের। তারা জানিয়েছেন, মাঠের সব ধান পাকতে আরো সপ্তাহ দুয়েক লাগতে পারে। তার আগে অতিবৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পাশাপাশি উজানের ঢলে হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙে ডুবে যেতে পারে ফসল। তাই আকাশে মেঘ করলেই বাড়ে আতঙ্ক। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে নদীর পানি। আগাম বন্যার শঙ্কায় কাটছে দিন।
দেশের মোট উৎপাদিত ফসলের প্রায় ৩০ শতাংশ জোগান আসে হাওরাঞ্চল থেকে। বর্ষাকালের হাওরের বিস্তৃত জলরাশি সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে শুকিয়ে যেতে থাকে। সেখানে কৃষকরা ভূমির বৈশিষ্ট্যভেদে নানা ধরনের ফসল চাষ করেন। নিম্নভূমিতে করেন ধান চাষ। তবে প্রতি বছরই পাহাড় থেকে নেমে আসা আকস্মিক ঢলে এসব ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, যা সার্বিক খাদ্য জোগানও ব্যাহত করে। বোরো ধানের সঙ্গে তাই বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পাশাপাশি বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রও সম্প্রতি ভারতের উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এরই মধ্যে বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি হাওর অধ্যুষিত জেলা সুনামগঞ্জের কৃষি বিভাগ আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের আশঙ্কায় পাকা ধান দ্রুত কাটতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে। উজানে ভারি বৃষ্টির এমন পূর্বাভাসে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরের কৃষকরা চিন্তিত। কারণ ধান এখনো পুরোপুরি পাকেনি।
আজকের পত্রিকা
‘ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট আদায়ে অনড় বিএনপি’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, সংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে।
তবে দাবি আদায়ে শক্ত কোনো কর্মসূচি দিলে তাতে যেন হিতে বিপরীত না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হচ্ছে বিএনপির। সরকার চাপে থাকবে কিন্তু তা কোনো ক্ষতির কারণ হবে না—এমন কর্মসূচির কথাই ভাবা হচ্ছে। এ নিয়ে কৌশল নির্ধারণে নিজেদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে তারা। এ জন্য আজ শনিবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়। এর পাশাপাশি আরও নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘বিএনপি জামায়াত মতভেদ’। খবরে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নানা কথা বলছে। সংসদ নির্বাচনের আগে সংস্কার ও শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার নিশ্চিত করার পর নির্বাচনের কথা বলছেন দলটির নেতারা। নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলটির নেতারা কোনো কথা বলেননি।
তবে গত বুধবার ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির আমির আগামী রমজানের আগেই নির্বাচনের দাবি জানান। যদিও গতকাল শুক্রবার কুমিল্লায় দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রয়োজনীয় সংস্কার, মানবতাবিরোধীদের বিচার করে নির্বাচন চেয়েছেন।
নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের অবস্থানের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কবে নির্বাচন চায় তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। তারা একেক সময়ে একেক কথা বলে। আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই।’
জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর তারা নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের কথা বলেছে। তাদের ওপর আমাদের ভরসা নেই। তারা কখন কী বলে, না বলে তার ঠিক নেই। তারা সবসময় নিজেদের সুবিধা বুঝে কথা বলে। তারা তাদের কথা বলুক। আমরা আমাদের কথা বলে যাব।’
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘22 out of 35 parties want caretaker govt system’ অর্থাৎ ‘৩৫ দলের মধ্যে ২২টি দল চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’।
খবরে বলা হয়, ৩৫টি রাজনৈতিক দল সংবিধানের ব্যাপক সংস্কার চেয়েছে। তাদের মধ্যে ২২টি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে পক্ষে মত দিয়েছে।
১৯৯০ সালে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর অ্যাডহক ব্যবস্থা হিসেবে নির্দলীয় প্রশাসনসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু হয় এবং ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এটি বিলুপ্ত করা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার সমর্থক রাজনৈতিক দলগুলো হলো-বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, গণ অধিকার পরিষদের উভয় অংশ, নাগরিক ঐক্য, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। গণসংহতি আন্দোলন, রাষ্ট্র সংসদ আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি অব বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।