অনলাইন
নতুন রঙ আবিষ্কার করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা, যা মানুষ আগে কখনও দেখেনি
মানবজমিন ডিজিটাল
(৩ ঘন্টা আগে) ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৬:৫১ অপরাহ্ন
নতুন রঙয়ের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। যে রঙ মানুষের চোখে এখনো ধরা পড়েনি। তবে বিশেষজ্ঞরা এখনো বিষয়টা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নন। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা লেজার এবং উন্নত ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাঁচজন ব্যক্তিকে এমন একটি রঙ দেখতে সক্ষম করেছেন যা আগে কখনও কোনও মানুষ দেখেনি। গবেষকদের দাবি, লেজার রেটিনার পৃথক কোষগুলিকে উদ্দীপিত করে সেগুলোকে তারা ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেছেন। এর ফলেই মিলেছে সাফল্য। ১৮ এপ্রিল 'সায়েন্স অ্যাডভান্সেস'-এ গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষকরা নতুন রঙের নামকরণ করেছেন 'ওলো'। যে পাঁচজনের উপর পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিল তারা নতুন রঙটিকে 'নীল-সবুজ' বলে বর্ণনা করেছেন। সঙ্গে এও জানিয়েছেন, যে রঙটি তাঁরা দেখেছেন সেটির অভিজ্ঞতা তাঁরা সঠিক ভাবে বর্ণনা করতে পারছেন না। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রেন এনজি গার্ডিয়ানকে বলেছেন: 'আমরা শুরু থেকেই আশা করেছিলাম যে এটি একটি অভূতপূর্ব রঙের সংকেতের মতো দেখাবে কিন্তু আমরা জানতাম না যে মস্তিষ্ক কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। এই রং ছিল চোখ ধাঁধানো। অবিশ্বাস্যভাবে পরিপূর্ণ।' বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেছেন যে রঙটি কেবল রেটিনার লেজার ম্যানিপুলেশনের মাধ্যমেই অনুভব করা যেতে পারে।
দলের একজন দৃষ্টি বিজ্ঞানী অস্টিন রুর্ডা বলেন, ''কোনও নিবন্ধে বা মনিটরে রঙটিকে বর্ণনা করার কোনও উপায় নেই।" রুর্ডা আরও বলেন, "মূল কথা হল, আমরা যে রঙ দেখি তা আসল নয়। আমরা যে রঙটি দেখি তা এরই একটি রূপ, কিন্তু ওলোর কাছে তা একেবারেই বিবর্ণ।" তবে সবাই এতে একমত নন। কারণ লন্ডনের সিটি সেন্ট জর্জেসের দৃষ্টি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন বারবার মনে করেন ' এই আবিষ্কারের পরিধি সীমিত। এটি কোনও নতুন রঙ নয়। এটি একটি আরও স্যাচুরেটেড সবুজ রং যা কেবলমাত্র সাধারণ লাল-সবুজ বর্ণীয় প্রক্রিয়া সহ একটি বিষয়ের মধ্যে তৈরি করা যেতে পারে যখন একমাত্র ইনপুট M কোণ থেকে আসে। রেটিনার কোণ নামক রঙ-সংবেদনশীল কোষের উপর আলো পড়লে মানুষ রঙ উপলব্ধি করতে পারে। তিন ধরণের কোণ রয়েছে যা দীর্ঘ (L), মাঝারি (M) এবং সংক্ষিপ্ত (S) তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর প্রতি সংবেদনশীল। প্রাকৃতিক আলো হল একাধিক তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মিশ্রণ যা তিনটি কোণকেই সক্রিয় করে। লাল আলো সাধারণত L কোণকে উদ্দীপিত করে, অন্যদিকে নীল আলো S কোণকে উদ্দীপিত করে। কিন্তু কোনও প্রাকৃতিক আলোই M কোণকে উদ্দীপিত করে না কারণ এটি রেটিনার মাঝখানে অবস্থিত।
সূত্র: ডেইলি মেইল