খেলা
আফিফ-বিজয়ের ব্যাটে লড়াই
স্পোর্টস রিপোর্টার
১১ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
প্রথম ম্যাচে ৩০৩, পরেরটিতে ২৯০। বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়েও ব্যাটিংয়ে শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। ১১ ব্যাটসম্যানের চারজনই আউট হন শূন্য রানে। একজন নটআউট জিরো। তবে ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখান এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। এ দুজনর ব্যাটিং নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। গতকাল হারারেতে ইনিংস শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৫৬/৯-এ। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও ছয়ে নামা আফিফ হোসেন ধ্রুবর সম্মিলিত অবদান ১৬১। শুরুর বিপর্যয় সামলে বিজয় খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস। আফিফ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৮৫ রানে। টানা ষষ্ঠবারের মতো টসে হারলো বাংলাদেশ। গতকাল ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল-এনামুল বিজয়ের ওপেনিং জুটিতে ৫১ বলে আসে ৪১ রান। বিজয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। জিম্বাবুইয়ান পেসার রিচার্ড এনগারাভার বলে পয়েন্টে খেলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বিজয়। তামিম ভেবেছিলেন, প্রান্ত বদল করবেন তার সতীর্থ। দৌড় শুরু করেন তিনি। কিন্তু এনামুলের সেদিকে যেন খেয়ালই ছিল না। দাঁড়িয়েই থাকেন এনামুল। পয়েন্ট থেকে থ্রো করেন মাধেভেরে। এনগারাভা ডানদিকে ঝুঁকে বল ধরে ভেঙে দেন স্টাম্প। ৩০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৯ রানে থামে তামিমের ইনিংস। পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্রাড ইভান্সের শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে শান্ত ধরা পড়েন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। ‘গোল্ডেন ডাক’ নিয়ে মাঠ ছাড়েন এ বাঁহাতি ব্যাটার। ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিকুর রহীম ক্রিজে টিকেছেন মাত্র ৩ বল। তিনিও ইভান্সের শর্ট বলের শিকার। থার্ডম্যান থেকে কিছুটা ছুটে এসে ডাইভ দিয়ে মুশফিকের ক্যাচ তালুবন্দি করেন রিচার্ড এনগারাভা। ৩ বলের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে বিজয় ধরে রাখেন ছন্দ। ৪৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক। মাহমুদুল্লাহ-বিজয়ের জুটিতে ২১ ওভারে ১০০ পার হয় বাংলাদেশ। এ জুটিতে ৯০ বলে ৭৭ তোলার পর হয় চতুর্থ উইকেটের পতন। দলীয় ১২৪ রানে পেসার লুক জংওয়ের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে আউট হন এনামুল বিজয়। তিন বছর পর এবারের সিরিজে দলে ফেরা বিজয় প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৭৩, দ্বিতীয় ম্যাচে ২০। গতকাল ৭১ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৬ রান করে আউট হন তিনি। আগের ম্যাচে মাহমুদুল্লাহর দৃঢ়তায় বড় পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতে মন্থর মাহমুদুল্লাহ শেষ পর্যন্ত খেলেছিলেন ৮৪ বলে হার না মানা ৮০ রানের ইনিংস। গতকালও তিনি শুরু থেকেই খেলছিলেন ধীরগতিতে। কিন্তু এবার ‘ফিনিশিং’ দিতে ব্যর্থ। দলীয় ১৭৩ রানে আলগা শট খেলতে গিয়ে আউট হন মাহমুদুল্লাহ। ৫৬.৫২ স্ট্রাইকরেটে ৬৯ বলে করেন ৩৯ রান। অন্য প্রান্তে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন আফিফ। মাহমুদুল্লাহর বিদায়ের পর পরের ব্যাটারদের সঙ্গে জুটি গড়ে দলের সংগ্রহটাকে ২৫৬ পর্যন্ত নিয়ে যান এই অলরাউন্ডার। মেহেদী মিরাজের সঙ্গে ৩৩, তাইজুলের সঙ্গে ১৪, হাসান মাহমুদের সঙ্গে ১৬ এবং ইবাদত হোসেনের সঙ্গে ১৫ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। ৫৮ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি পূর্ণ করেন আফিফ। শেষ পর্যন্ত ৮১ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি। ৬ বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা হাঁকান দুটি। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার ব্রাড ইভান্স ও লুক জংওয়ের।