ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

খেলা

সম্পত্তি ক্রোক ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি নিয়ে যা বললেন সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার

ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশে সাকিব কী কী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তা জানাতে গিয়ে তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ক্রিকেট ছাড়া অন্য বিষয়ে তেমন মনোযোগ দিতে পারিনি, স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা ও লাভেও মনোযোগ ছিল না। আমি দুটি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত; একটি আমার কাঁকড়ার খামার, আরেকটি শেয়ারবাজারের ব্যবসা।’

সাকিবের দাবি, করোনা মহামারির আগে কাঁকড়ার ব্যবসায় ভালোই করছিলেন। তখন ঋণ পরিশোধে কোনো বকেয়া জমা হয়নি। কিন্তু কোভিড মহামারির কারণে খামারটির কার্যক্রম থমকে যায় এবং পণ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রচুর লোকসান হয়। সাকিব বলেছেন, ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলা এবং আসল সমস্যা বোঝা উচিত ছিল। কিন্তু যেভাবেই হোক, সব ভুলের দায় আমার ওপর চাপানো হয়। কারণ, আমার নাম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।’

প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সেটা শোধ না করা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘লোকের শতকোটি টাকা ঋণ বকেয়া পড়ছে। আর এখানে তো মাত্র সাড়ে ৪ কোটি টাকা। আমার ৩৫ শতাংশ শেয়ার বিবেচনায় আমাকে মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু আমার সম্পত্তি যেভাবে ক্রোক করা হয়েছে, সেটাকে স্বাভাবিক মনে করি না।’

ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা পরিশোধের নোটিশ পেয়েও টাকা না দেওয়ায় এবং চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গত মার্চে সাকিবের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

শেয়ার ব্যবসায়ে কারসাজির জন্য ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে সাকিবের। এই ব্যবসা নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘যদি কেউ দেখাতে পারেন আমি নিজে একটি কারসাজি করেছি, তাহলে আমার যা কিছু আছে, সব দিয়ে দেব। বাংলাদেশের স্টক মার্কেটে কীভাবে কারসাজি করতে হয়, আমি জানি না এবং আমার ফোনে কোনো ট্রেডিং অ্যাপও নেই। ‘আমি একজনকে টাকা দিয়েছিলাম আমার পক্ষ থেকে বিনিয়োগের জন্য, কিন্তু পুরো টাকাটাই লোকসানে যায়। 

সাকিব দাবি করেছেন, ‘আমি বিষয়টি থেকে পালিয়ে থাকতে চাই না। সামনে এসে সবকিছু সমাধান করতে চাই। এই সুযোগ আমার প্রাপ্য। তারা এই সুযোগ আমাকে দিলে ভালো লাগবে...আমার মনে হয় না, আমি কোনো অপরাধ করেছি। তখন পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল। এখন সবকিছু যখন শান্ত হয়ে এসেছে, লোকে বুঝতে পারছে, শুধু একটি ছবির জন্য কারও এমন শাস্তি হওয়া অনুচিত।’ তাহলে তিনি কি তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত? সাকিবের উত্তর, ‘অবশ্যই। তাদের যেমন তথ্যই প্রয়োজন হোক, আমি তা সরবরাহ করতে প্রস্তুত কাঁকড়ার খামার ও শেয়ার ব্যবসা নিয়ে। যদি তারা মনে করেন, পরিচ্ছন্ন তদন্তের জন্য আমাকে (দেশে) আসতে হবে, আমি খুশিমনে সেটা করতে চাই। আমি কিছুই লুকাচ্ছি না কিংবা কোনো কিছু চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছি না।’ গত বছর পুরো দেশ যখন আন্দোলনে উত্তাল, তখন সাকিবকে দেখা গিয়েছিল কানাডায় সাফারি পার্কে ঘুরতে। সেই ছবি ফেসবুকে দিয়েছিলেন সাকিবের স্ত্রী শিশির। দেশের পটপরিবর্তনের পর সেই সময়ে সাকিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর আর দেশেই ফিরতে পারেননি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সংসদ সদস্য। সাফারি পার্কে ঘোরাঘুরির ছবি নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, আমি তখন বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লীগ ক্রিকেট (এমএলসি) খেলতে গেলাম, তারপর কানাডায়। ছবিটি কানাডায় তোলা। আমি নিজে এটি পোস্ট করিনি। তবুও, আমি এর দায়ভার নিচ্ছি। এটা একটা পূর্বপরিকল্পিত পারিবারিক ভ্রমণ ছিল। এখন বুঝতে পারছি, হ্যাঁ, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে আমার আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। আমি এটা স্বীকার করছি।’

পাঠকের মতামত

One of the most corrupt man in the history of the world, Sakib you need to go to hell.

Rahman
১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:৪০ অপরাহ্ন

খেলা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

খেলা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status