দেশ বিদেশ
রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত ইসলামী আন্দোলন
স্টাফ রিপোর্টার
১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবারপিআর পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি এবং ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করার জন্য সহায়ক প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবের সঙ্গেও একমত হয়েছে সংগঠনটি। তবে রাষ্ট্রের নাম হিসেবে তারা প্রস্তাব করেছে ‘পিপল্স ওয়েলফেয়ার স্টেট অফ বাংলাদেশ” যা বাংলায় ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’। এই নামের মধ্যেই জনকল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা আছে বলে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নতুন প্রস্তাবনাও যুক্ত করেছে সংগঠনটি।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সংস্কার প্রস্তাব তুলে দেয়া হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কেএম শরীয়তুল্লাহ।প্রস্তাবিত সংস্কারের বেশির ভাগের সঙ্গেই একমত পোষণ করেছে দলটি। বিশেষ করে সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, একই ব্যক্তি দল, সরকার ও সংসদ প্রধান না থাকা, ৭০ অনুচ্ছেদের বিলুপ্তির মতো প্রস্তাব- যা ভবিষ্যতে স্বৈরতন্ত্র মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে দলটি ১৩০টি প্রস্তাবে একমত, ২৫টি দ্বিমত এবং ১১টিতে আংশিকভাবে একমত। এছাড়া দলটি ৪১টি নতুন প্রস্তাব এবং ৪টি মৌলিক প্রস্তাব দিয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বলেন, জাতীয় পর্যায়ে আত্মশুদ্ধি না থাকলে মানুষ সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক হতে পারে না। এজন্য সকল পর্যায়ে আত্মশুদ্ধি বা শুদ্ধাচারের কথা বলেছি। ৪টি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। আল্লাহ্র কাছে, বিবেকের কাছে, জনগণের কাছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। শরীয়াহ্ আইন সর্বজনীন, সবধর্মের বিষয়ে বিধান আছে। যা দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে অত্যন্ত কার্যকর। বিএনপিও শরীয়াহ্ আইনে একমত পোষণ করে আমাদের সঙ্গে স্বাক্ষর করেছে। তারা শরীয়াহ্বিরোধী আইন করবে না বলে জানিয়েছে। আমরা সব নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক হারে চাই। স্থায়ীভাবে স্বৈরাচার প্রতিরোধী কার্যকর পদ্ধতি।