দেশ বিদেশ
টাঙ্গাইলে প্রশ্নফাঁস সচিবসহ আটক ৬
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবারটাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চলমান দাখিল পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় কেন্দ্র সচিব ও এক পরীক্ষার্থীসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ভূঞাপুর ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- ভূঞাপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মাওলানা আব্দুস সোবহান ও পরীক্ষার্থী সোনিয়া আফরোজ লিমা। প্রশ্ন ফাঁসের সহযোগী টেপিবাড়ী গ্রামের ইকবাল তালুকদারের ছেলে সুমন (২৫), ছাব্বিশা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মিজানুর (৩৫), আমুলা গ্রামের ইদ্রিস হোসেনের ছেলে শাহ আলম (২৭), পূর্ব ভূঞাপুরের হায়দার আলীর ছেলে রায়হান আলী (৩৫)। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভূঞাপুর ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এসএসসি (দাখিলের) গণিত পরীক্ষা চলছিল। এতে ১৮২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা চলাকালীন ওই কেন্দ্রের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষের পরীক্ষার্থী লিমা প্রশ্নপত্র তার ভাইয়ের কাছে নিচে ফেলে দেয়। পরে প্রশ্নটি ফটোকপির দোকানে নিয়ে যায় সে। সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. পপি খাতুন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপর সেখানে উপস্থিত হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি মাহিম কম্পিউটার, কমার্স প্রাইভেট সেন্টার, ছায়াছবি স্টুডিও ও বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে প্রশ্নপত্রের ফটোকপি দেখতে পান। পরে সেখান থেকে সুমন, মিজানুর, শাহ আলম, রায়হানকে আটক করা হয়।
এ ছাড়াও দায়িত্বে অবহেলায় কেন্দ্র সচিব মাওলানা আব্দুস সোবহান ও প্রশ্ন বাইরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থী লিমাকেও আটক করা হয়। এদিকে ১৮২ জন পরীক্ষার্থীর জন্য থানা থেকে ২০০টি প্রশ্ন বুঝিয়ে দেয়া হয় কেন্দ্র সচিব আব্দুস সোবহানকে। ১৮টি প্রশ্ন বেশি থাকার কথা থাকলেও ১৬টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। দু’টি প্রশ্ন পাওয়া যায়নি। বাকি দু’টি প্রশ্ন কোথায় আছে তারও তথ্য দিতে পারেনি কেন্দ্র সচিব। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি একেএম রেজাউল করিম জানান, কেন্দ্র সচিব ও এক পরীক্ষার্থীসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. পপি খাতুন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নপত্র কম থাকা ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে কেন্দ্র সচিবকে আটক করা হয়। এ ছাড়া কক্ষ থেকে পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র বাইরে পাচারের অভিযোগে এক পরীক্ষার্থী ও তার ৪ সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।