ভারত
‘কাউকে পশ্চিমবঙ্গের গর্ব খর্ব করতে দেব না’
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য, কলকাতা থেকে
(১ মাস আগে) ২৯ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

ছ’দিনের সফর শেষে লন্ডন থেকে ফেরার পথে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজে তাঁর ভাষণ বানচালের চেষ্টায় ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডলে কবিতার চার লাইন উদ্ধৃত করে মমতা লিখেছেন, ‘বিশ্বের আঙিনায় প্রগতির ধ্বনি/নবজাগরণের সুরে বাজে আগমনী/উন্নয়নের আলো মেঘে ঢাকবে না/মাতঙ্গিনীর বাংলা কভু হারবে না। ছেলেবেলায় বাবাকে হারানোর পর আমার জীবনটাই একটা সংগ্রামে পরিণত হয়। তখন থেকে লড়ছি। ছাত্রনেত্রী হয়ে লড়াই করেছি। বিরোধী নেত্রী হিসেবেও লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। এখন আমি সরকারের প্রধান, তবু আমার লড়াই শেষ হয়নি। আমি ভয়ে কখনও লড়াই ছেড়ে পালিয়ে যাইনি। ভবিষ্যতেও পালাব না। তবে আমি কাউকে পশ্চিমবঙ্গের গর্ব খর্ব করতে দেব না। রাজ্যের অসম্মান হতে দেব না। এমনকি, এমন প্রশ্নও বরদাস্ত করব না, যা রাজ্যের ভবিষ্যৎ গড়ার আত্মত্যাগ খর্ব করবে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, অক্সফোর্ডের শিক্ষার্থী, স্কলার, অধ্যাপক, শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো তার মনের মণিকোঠায় অমলিন হয়ে থেকে যাবে। অক্সফোর্ডে কেলগ কলেজে বক্তৃতা রাখার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মমতা। সেইমতো শুক্রবার সেখানে বক্তব্য রাখেন । তাঁর বক্তৃতা চলাকালীনই ছ’জন বাম-অতি বাম আন্দোলনকারীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। সভা ভণ্ডুলের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ভাষণের মাঝেই আপত্তিকর ভাবে সিঙ্গুর থেকে আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয় তার উদ্দেশে। তাল কাটে ভাষণের। সেই প্রসঙ্গেই এই পোস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরে কার্যত ঘাড়ধাক্কা খেয়ে কেলগ কলেজের সভাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে তথাকথিত এসএফআই সমর্থকদের। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেছিলেন, ‘এটা রাজনীতির মঞ্চ নয়। দেশের অপমান করবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপমান করবেন না।’
পাঠকের মতামত
পালিয়ে যাওয়ার মনোবৃত্তি দা থাকাই শেখ হাসিনা আর মমতার পার্থক্য, বৈশিষ্ট্য মমতার। তাই হাসিনার শেষ শাসন কারে হাসিনার সঙ্গে মমতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না।