ভারত
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সতর্কবার্তায় শোরগোল
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ২৮ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার, ২:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কর্মসূচিতে যোগদান করে ফের একবার হিন্দুদের সতর্ক করলেন দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সভার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু বিজেপিকে ভোট দেয় না। আমি চিৎকার করে তাদের অনুরোধ করছি, এবার ভোট দিন। বাংলাদেশ একটা ট্রেলার দেখিয়েছে আপনাদের। এর পর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু বাঙালি থাকবে কি না তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন আছে। খুব সাবধানে থাকুন। কারণ যে সব মিটিং চলছে সেগুলো আপনারা খবর রাখেন না। প্রকাশ্যে সেটা বলতে পারব না। বিজেপি বিরোধী দলগুলো যে মিটিং করছে শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। কিছুদিন পর সব বেরিয়ে যাবে মার্কেটে। ৯ শতাংশ হিন্দুকে বিজেপিকে ভোট দেবার অনুরোধ জানিয়ে মিঠুন বলেন, বেরিয়ে আসুন, ভোট দিন। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার নব ব্যারাকপুরের কৃষ্টি ভবনে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির বসন্ত মিলন অনুষ্ঠানে মিঠুন বলেন, এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু আমাদের ভোট দেন না। এবার ওরা জিতে এলে কিন্তু নির্বংশ করে দেবে। যদি না জিততে পারেন তাহলে পশ্চিমবাংলায় হিন্দু বাঙালি বলে কেউ থাকবে না। অন্য দলের হিন্দুরা কী করবেন, না - করবেন আমরা জানি না। কিন্তু বিজেপির হিন্দু বাঙালিরা থাকবে না, এটা কিন্তু মনে করে চলবেন। এরা তৈরি হয়ে বসে আছে, আবার যদি জিতে আসে, নির্বংশ করে দেবে।
তিনি আরও বলেন, গর্ব করে বলো যে আমি সনাতনী। আমরা সনাতনী। যদি ভগবান সনাতনী হিসাবে জন্ম দিয়ে থাকেন তাহলে মরব সনাতন হিসাবে। কিন্তু অন্য হাতে ওই ভাবে মার খেয়ে মরব না।
অভিনেতা মিঠুন প্রথম জীবনে নকশালপন্থী ছিলেন। পরে পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীদের সঙ্গে ছিল ওঠাবসা। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যে মমতার দলে নাম লেখান। পরে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে এখন তিনি বিজেপিতে। জাতীয় স্তরে দলের একজন কর্মকর্তা।
পাঠকের মতামত
মিঠুন ওর বস্তা পাচা কথা কেউ এখন শোনে না। ও যে বেজন্মা মানুষ তা বুঝে ফেলেছে।
প্রগতিশীল থেকে প্রতিক্রিয়াশীল? মিঠুন তোমার ভণ্ডামি বাদ দাও। অসাম্প্রদায়িক ভাবনাই এ যুগের চাহিদা। পিছনে না তাকিয়ে সামনে তাকাও।
ওখানকার স্থানীয় হিন্দুর চেয়ে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় রিফিউজিদের ভারতীয় হয়ে উঠা দেখলে ঘৃণায় একদলা থু থু ওদের মুখে ছুড়ে মারতে ইচ্ছে করে। মার চেয়ে মাসীর দরদ বেশি বেজন্মা মিঠুনেরা আর কত লোক হাসাবি।
I Hate this Nonsense .
স্বার্থের জন্য মানুষ সব পারে; নিজের বিবেককে ও বিক্রি করতে পারে।
So far I know Mr Mithun is an famous artist of Indian film industry. I also know that he was involved with leftist politics in his past life.If all these are true, then Mr. Mithun should not roar like a religious radicalist.
একদম সুভিদাবাদী