অনলাইন
সহযোগীদের খবর
১৫ বছরে নতুন মুক্তিযোদ্ধা ১৮১৬৮
অনলাইন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২৬ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৪৪ অপরাহ্ন

কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘১৫ বছরে নতুন মুক্তিযোদ্ধা ১৮১৬৮’। খবরে বলা হয়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকালে ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৯০টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভার মাধ্যমে নতুন করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তি ও যাচাই-বাছাই করা হয়। জামুকা বলছে, এ সময় সভাগুলোতে ১৮ হাজার ১৬৮ জনকে নতুন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। একই সময়ে পাঁচ হাজার ৯৮৭ জন অমুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের সুপারিশও করা হয়েছে।
তবে এ সময় অমুক্তিযোদ্ধা হয়েও মুক্তিযোদ্ধার খাতায় নাম লেখানোর বেশ কিছু অভিযোগও উঠেছে। এসব ঘটনায় উল্লেখযোগ্য শাস্তি না হলেও কারো কারো সনদ বাতিল করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এলে নতুন করে অমুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তনসহ জামুকা আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া উন্মুক্ত করা হয় মতামতের জন্য। খসড়া অধ্যাদেশে প্রস্তাবিত নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারী, পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগী দ্বারা নির্যাতিত নারী (বীরাঙ্গনা) এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ফিল্ড হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সহকারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।
খসড়ায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব এমএনএ (জাতীয় পরিষদের সদস্য) ও এমপি (আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য) যাঁরা পরবর্তী সময়ে গণপরিষদের সদস্য হয়েছিলেন তাঁদেরসহ বিশ্ব জনমত গঠনে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিরা, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দূত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি সাংবাদিক ও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
তবে সম্প্রতি এই অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রণাঙ্গনের যোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও ফিল্ড হাসপাতালের চিকিৎসাসেবাদানকারীদের সঙ্গে মুজিবনগর সরকারও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাবে বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তবে অন্যরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবেই থাকবেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁরা প্রবাসী সরকারে ছিলেন (মুজিবনগর সরকার) তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই স্বীকৃত হবেন। তবে এমএনএ-এমপি তো সবাই মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, তাঁরা সহযোগী হিসেবেই থাকবেন। সরকারটাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত হবে।
খসড়ার এই জায়গাটা সংশোধন হবে। সরকার যুদ্ধ পরিচালনা করেছে, সরকার তো থাকবেই।’
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলছে, জাতির জন্য এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না। আমার বিবেচনায় সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধার পাশাপাশি বহির্বিশ্বে যাঁরা জনমত তৈরি করেছেন, স্বাধীন বাংলা বেতারে কাজ করেছেন, মুজিবনগর সরকারের প্রশাসনে যাঁরা ছিলেন, সাংবাদিকসহ যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন তাঁদের মধ্যে বিভাজন করাটা উচিত হবে না। এটা করতে গিয়ে আমরা যেন কাউকে অসম্মান না করি। মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী বলে মান নির্ণয় বা বিভাজনের পক্ষে নই আমি।’
তবে অমুক্তিযোদ্ধা শনাক্তের ব্যাপারে সরকারের অবস্থানের পক্ষে মত দিয়ে সারওয়ার আলী বলেন, ‘আমি চাই একটা ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থান নিক। বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যায় অমুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আমি চাই এটি ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হোক। সরকার যদি এটি করতে পারে, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাব।’
অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা, মাঠ পর্যায়ে বাছাই কাজে যুক্ত হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ : বর্তমানে জামুকার সদ্যদের নিয়ে গঠিত দুটি উপকমিটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আদালতের আদেশ ও রিটের বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করছে বলে জানিয়েছে জামুকা সূত্র। সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত ৮৯ হাজার ২৩৫ জনের ডেটাবেইস ও তথ্য যাচাইয়ের কাজ করছে। এরই মধ্যে ৪০ হাজারের মতো তথ্য যাচাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা।
জামুকা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, জামুকা অধ্যাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার পরেই বড় পরিসরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু করা হবে দেশজুড়ে। এই কাজে মাঠ পর্যায়ে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত করা হবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে সক্রিয় ও সংসদের নির্বাচনের ধারাও সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া আছে জামুকার খসড়া অধ্যাদেশে। আগামী এপ্রিলের মধ্যেই অধ্যাদেশটি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় চূড়ান্ত হতে পারে।
এ বিষয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে সক্রিয় করতে চাই। এর জন্য জামুকা অধ্যাদেশ পাস করতে হবে। এখন সংসদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রয়েছে। প্রশাসকে কাজ হচ্ছে না। সংসদ গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। বিভিন্ন জায়গায় এই বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যাঁরা রণাঙ্গনের সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তাঁরাই তো এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের চেনেন জানেন।’
স্বেচ্ছায় গেজেট বাতিলের আবেদন ১০-১২ অমুক্তিযোদ্ধার : গত ডিসেম্বরে মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা বলেছিলেন, কোনো অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে স্বেচ্ছায় নিজেকে সরিয়ে নিলে তাঁকে ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) দেওয়া হতে পারে। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১০ থেকে ১২ জন অমুক্তিযোদ্ধা এরই মধ্যে নাম প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন বলে কালের কণ্ঠকে জানান উপদেষ্টা। এর আগে জামুকার ৯২তম সভায় যেসব অমুক্তিযোদ্ধা স্বেচ্ছায় গেজেট ও সনদ বাতিল করতে ইচ্ছুক তাঁদের এ বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে পরে সেই সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘২৬ মার্চের কথা আমরা আলোচনা করেছি, কিন্তু সময় নির্ধারণ করে দিইনি। এটার একটা সুনির্দিষ্ট তারিখ আমরা দিয়ে দেব যে এত তারিখের ভেতর যদি তাঁরা চলে যান তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আর কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আমি মনে করছি, এই সুযোগটা দিলে অনেকেই (অমুক্তিযোদ্ধা) সরে যাবেন।’
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘কেউ হবেন মুক্তিযোদ্ধা, কেউ সহযোগী’। খবরে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁরা দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন এবং যাঁরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন, শুধু তাঁরাই ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার’ স্বীকৃতি পাবেন। এর বাইরে যাঁরা দেশে-বিদেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন, বিশ্বজনমত তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন, তাঁরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধন করে নতুন যে অধ্যাদেশ হতে যাচ্ছে, তাতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় এ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল ২০২২ সালে। সর্বশেষ সংজ্ঞায় মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন এবং যাঁরা বিশেষ অবদান রেখেছিলেন, তাঁদের সবাইকে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। এরপর বিষয়টি নিয়ে তাঁরা খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক এবং বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রায় সবাই বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন আর যাঁরা বিভিন্ন উপায়ে অবদান রেখেছেন, তাঁরা একই কাতারে থাকতে পারেন না। যে কারণে সবার মতামত নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হচ্ছে।
তবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একাধিক গবেষক প্রথম আলোকে বলছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন করেছিল। এখন আবার নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী শ্রেণি করাও ঠিক হচ্ছে না। এটি সম্মানজনক হবে না। ভবিষ্যতে এ নিয়ে সংকট ও তিক্ততা আরও বাড়বে।
যুগান্তর
‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করা সরকারের লক্ষ্য। এজন্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনায় নির্বাচনের জন্য তৈরি হবে বলেও আশাবাদী তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা দিবস ও ঈদ উপলক্ষ্যে এই ভাষণ দেন তিনি। তার মতে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজবের এক মহোৎসব চলছে।
যতই নির্বাচন কাছে আসবে, এর রূপ আরও ভয়ংকর হতে থাকবে। এই গুজব ও মিথ্যা তথ্যের প্রচারণা রোধে আমরা জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছি। জাতিসংঘ মহাসচিব গুজব মোকাবিলায় আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। দেশবাসীকে আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম পর্ব সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। প্রথম পর্বের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হলো। আমরা এই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ হতে দেব না। তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ হবে।
এছাড়া স্টারলিংকের সঙ্গে ৩ মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যাসংক্রান্ত জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সুপারিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে সরকার। গণহত্যায় জড়িতদের বিচার এ দেশের মাটিতে হবেই।
সমকাল
‘সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘আগেও বলেছি, আবারও বলছি– এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান বলেছেন, ‘আমরা চাই, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হোক। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের জন্য তৈরি হতে শুরু করবে বলে আশা করছি।’
একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষণ শুরু করে প্রধান উপদেষ্টা চব্বিশের অভ্যুত্থানে হাজারো নিহতের প্রতি জাতির পক্ষে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এনে দিয়েছে; সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।
একের পর এক গুজবে উদ্বেগ প্রকাশ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে একের পর এক মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। যতই নির্বাচন কাছে আসবে, গুজবের রূপ ততই ভয়ংকর হবে। গুজব ও মিথ্যা প্রচারণা রোধে জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছি। মনে রাখতে হবে, আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি। গুজব জুলাই অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তির হাতিয়ার। গুজবকে অবহেলা করবেন না। এর মূল লক্ষ্য জুলাই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করা। আমাদের ঐক্য পলাতক শক্তির গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে। তারা ঐক্য ভাঙতে চায়। ঐক্য দিয়েই গুজবকে রুখতে হবে। অধ্যাপক ইউনূস জানিয়েছেন, জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনাই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীদের হত্যা করতে।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘আবারও বলছি ডিসেম্বর থেকে জুনে নির্বাচন’। খবরে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের ব্যাপারে আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি—এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। তার এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই—আগামী নির্বাচনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হোক। এজন্য, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক উত্সাহ, উদ্দীপনায় নির্বাচনের জন্য তৈরি হতে শুরু করবে বলে আশা করছি।
‘রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কাজে খুবই ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে’
প্রফেসর ইউনূস বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে মত দিচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কাজে খুবই ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরছেন। কোন রাজনৈতিক দল কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবে একমত হয়েছে, কোনটিতে দ্বিমত হয়েছে—সেসব তারা জানাচ্ছেন। এটা আমাদের জাতির জন্য অত্যন্ত সুখকর বিষয় যে, প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে মত দিচ্ছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের কাজ শুরু করেছে। ৬টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়েছে।
নয়া দিগন্ত
‘২০ লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর মামলার আসামি সুমন’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, মাত্র ২০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন এএসপি ফজলুল কবির। আর সেই টাকা না দেয়ায় রাষ্ট্রের সব স্পর্শকাতর মামলায় আসামি করা হয় সুমনকে। ন্যায়বিচারের আশায় গত ১৭ বছর ধরে আদালতের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে সুমনের পরিবার।
সুমনের পরিবার জানায়, ২০০৮ সালের ১২ এপ্রিল ঢাকার মালিবাগে অবস্থিত সিআইডি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয় ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র আরিফ হাসান সুমনকে। সিআইডির রেজিস্ট্রি খাতায় নিজের নাম, ঠিকানা, তারিখ এবং সময় উল্লেখ করে সিআইডি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সুমন। তারপর থেকে আজও ঘরে ফেরা হয়নি সুমনের। সেই থেকে জেলখানা আর আদালতের বারান্দাই সুমনের ঠিকানা। রাষ্ট্রের এমন কোনো স্পর্শকাতর মামলা নেই যে মামলায় সুমনকে আসামি করা হয়নি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ঢাকার মোহাম্মদপুরে সুমনদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দীন আহমেদ। তার সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য ২১ আগস্ট মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি ফজলুল কবির সুমনকে সিআইডি কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন। তারই ডাকে সুমন নিজের গাড়িতে করে ড্রাইভারসহ ঢাকার মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে যান।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘পাকিস্তান আমলের স্বৈরতন্ত্রের মডেল অনুসৃত হয়েছে বাংলাদেশেও’। খবরে বলা হয়, ইস্কান্দার মির্জাকে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের শাসনভার হাতে তুলে নেন আইয়ুব খান। এর পর এক দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন। তার স্বৈরশাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার কারিকর হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে সিএসপি (সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান) আমলাতন্ত্র ও এলিট সামরিকতন্ত্র। শুধু আইয়ুব খান নন, পাকিস্তানে তার পরে ক্ষমতায় আসা স্বৈরশাসকদেরও ক্ষমতার বড় ভরকেন্দ্র ছিলেন এলিট সিএসপি ও মিলিটারি কর্মকর্তারা।
এমনকি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশেও স্বৈরশাসনের ক্ষেত্রে একই মডেল অনুসৃত হয়েছে, যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও শেখ হাসিনার শাসনামল। সরকারি আমলা ও সামরিক বাহিনীর অনুগত এলিটদের সহায়তায় টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়েছেন শেখ হাসিনা। একই কায়দায় এরশাদও ক্ষমতায় ছিলেন টানা সাত বছর।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে অনুসরণ করেন পাকিস্তানের কৌশল, যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেনাবাহিনী ও আমলাদের। এতে বেশ সফলও হন জেনারেল এরশাদ।
আজকের পত্রিকা
‘ভিসা জটিলতায় অনিশ্চিত ৩৫০০০ মানুষের ওমরাহ’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, প্রস্তুতি নিলেও ওমরাহ পালন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশির। সৌদি আরব সরকার ওমরাহ ভিসা কমিয়ে দেওয়ায় এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
উড়োজাহাজের টিকিট, সৌদি আরবে বাড়ি বা হোটেল বুকিং দিয়েও নির্ধারিত সময়ে ভিসা না পাওয়ায় ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের পাশাপাশি ওমরাহ এজেন্সিগুলোও আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে। এয়ারলাইনসগুলোও সমস্যায় পড়ছে। হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করলেও এখনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সূত্র বলছে, সম্প্রতি সৌদি আরব ওমরাহ ভিসায় কোটা ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এর প্রভাব বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীদের ওপরও পড়েছে। আগে ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ ওমরাহ ভিসার আবেদন অনুমোদিত হলেও রমজান মাসের শুরুতে এই হার নামে ৮-১০ শতাংশে। রমজানের শেষ দিকে তা আরও কমে ২-৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘তাপমাত্রা-ডলার সমীকরণে মিলবে বিদ্যুতে স্বস্তি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্যান্যবার রমজান মাসে ঘন ঘন লোডশেডিং থাকলেও এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে স্বস্তিতে ছিল দেশের সাধারণ মানুষ। কিন্তু আসছে গ্রীষ্মে গরমের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন, তার জোগান দেওয়াই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া বিপুল পরিমাণ বকেয়া সেই চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়েছে।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রমজানের মতো গ্রীষ্মেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবশ্য এই খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত তাপমাত্রা এবং ডলারের জোগানের ওপর নির্ভর করবে গ্রীষ্মের বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি। গরম বাড়লে এবং চাহিদামতো ডলারের জোগান নিশ্চিত করতে না পারলে লোডশেডিং বাড়বে। সে ক্ষেত্রে অন্তত তিন হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিংয়ের (সরবরাহ ঘাটতি) পাশাপাশি গ্যাসসংকট আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দু-তিন বছর ধরে গ্রীষ্মে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির যে প্রবণতা এবারও তা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে রমজানের পর আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে গরমের অনুভূতিও।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টার প্রত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘Free, fair polls between Dec and June 2026’ অর্থাৎ ‘ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতা দিবস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে গতকাল মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চলতি বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, তারা চান এটি ইতিহাসের সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। এজন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ‘অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য’ যে ধরণের গুজব ছড়ানো হচ্ছে, সে বিষয়েও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে গুজবের পেছনে কারা আছে।’
পাঠকের মতামত
এই ১৮১৬৮ জনকে নতুন মুক্তিযোদ্ধা বানাতে কতো টাকার দুর্নীতি হয়েছে সেটা তদন্ত করে বের করা হোক।
এগুলো হাসিনার তৈরী মুক্তিযোদ্ধা, এগুলো বানিয়ে হাসিনা মুক্তি যোদ্ধা কৌটা পুনরুজ্জীবিত করে দেশটার সব প্রশাসনকি কাঠামো তার ও তার দলের আয়ত্তে নিতে চেয়েছিল, যাতে এদেশে আর কখনো গণতন্ত্র মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।