বিশ্বজমিন
টাইমস অব ইসরাইলের রিপোর্ট
‘নেতানিয়াহু দেশে গৃহযুদ্ধ ডেকে আনছেন’
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

বৃহস্পতিবার ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বার’কে বহিষ্কার করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি একাই নন, মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এ কাজ করেছেন তিনি। তবে এই বহিষ্কারাদেশ ৮ই এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছে ইসরাইলের হাইকোর্ট। তা সত্ত্বেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য নিজে জোরপূর্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে দেশটির ভিতরে ব্যাপক অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। না, এটা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো মুসলিম দেশের খবর নয়। খোদ টাইমস অব ইসরাইল এ খবর দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর সরকার যদি আদালতের আদেশ অমান্য করে, যদি রোনেন বার’কে বরখাস্তের সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তাহলে বসে থাকবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলের শ্রমিক ইউনিয়ন হিসতাদ্রুতের প্রধান আরমোন বার-ডেভিড। মূলত ইসরাইলজুড়ে ধর্মঘটের ইঙ্গিত দিয়েছেন আরমোন। তিনি বলেন, আমি আশা করি ইসরাইলি সরকার আদালতের প্রত্যেকটি নির্দেশ মানবে। যেমনটা সরকার তার নাগরিকদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে। হিসতাদ্রুত, অন্য সংগঠন এবং ইসরাইল আইনের (দেশ)। সরকার আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নৈরাজ্যে পতিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছি। আমি ইসরাইলি সমাজ ধ্বংস হতে দেব না। ইসরাইলি সরকার আদালতের নির্দেশ মানতে চায় না, এটি অগ্রহণযোগ্য।
নেতানিয়াহুর প্রতি হুঁশিয়ার করে তিনি আরো বলেছেন, সরকার যেন সীমা অতিক্রম না করে। এরআগে ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রেসিডেন্ট আহারন বারাক বলেন, শিন বেতের প্রধান এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকে বহিস্কারের মাধ্যমে নেতানিয়াহুর সরকার ইসরাইলে গুহযুদ্ধ ডেকে আনছেন। তার এ মন্তব্যের পর যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু শুক্রবার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, কোনো গৃহযুদ্ধ বাধবে না। ইসরাইল হলো আইন ও শাসনের (দেশ)। আর ইসরাইলি সরকারই সিদ্ধান্ত নেয় শিন বেতের প্রধান কে হবেন। এদিকে শিন বেতের প্রধানকে বহিস্কার করা নিয়ে সাধারণ ইসরাইলিরা ব্যাপক বিক্ষোভ করছেন। তারা বলছেন, নেতানিয়াহু স্বৈরশাসকে পরিণত হয়েছেন।