ভারত
আওরঙ্গজেবের সমাধিকে বাবরি মসজিদের মতো ধ্বংসের হুঁশিয়ারি হিন্দু সংগঠনের
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ৩:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪২ পূর্বাহ্ন

ভিকি কৌশল অভিনীত ছায়া চলচ্চিত্রের সূত্রে আওরঙ্গজেব নিয়ে ভারতে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রের খুলদাবাদ থেকে আওরঙ্গজেবের সমাধি সরিয়ে নেবার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরঙ দলের মতো উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে যে, অবিলম্বে আওরঙ্গজেবের সমাধিকে সরিয়ে নেওয়া না হলে বাবরি মসজিদের মতো করসেবকরা সেটি ধ্বংস করে দেবে।
তারা মহারাষ্ট্র সরকারকে শীঘ্রই সমাধিটি অপসারণের আহ্বান জানান এবং সতর্ক করে দেন যে, যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে বিক্ষোভ শুরু হবে এবং প্রয়োজনে তারা রাস্তা অবরোধ করে করসেবার মাধ্যমে সমাধিটি ভেঙে ফেলবেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আঞ্চলিক প্রধান কিশোর চহ্বান, বজরঙ দলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী নীতিন মহাজন এবং সন্দেশ ভেগড়ে বলেন যে, ‘আওরঙ্গজেবের সমাধি দাসত্ব, পরাধীনতা এবং নৃশংসতার স্মারক ছাড়া আর কিছুই নয়’।
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবসেনার সদস্য রাজ্যের মন্ত্রী সঞ্জয় শিরসাত বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরঙ দলের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘তার দল দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে সমাধিটি অপসারণ করা উচিত। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, কেন একজন শাসকের সমাধি সংরক্ষণ করা উচিত যিনি জনগণের উপর অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত ছিলেন’।
পাঠকের মতামত
ভারত যতই বলুক সেকুলার কান্ট্রি কিন্তু পৃথিবীর একমাত্র দেশ ভারত যা হিন্দুত্ববাদী একক রাস্ট্র হিসাবে এদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়, এরা হিন্দু ছাড়া আর কোনো ধর্মের মানুষকে সন্মান করেনা এমনকি একরকম শত্রু হিসাবে মনে করে, এর জন্য দায়ী সমাজ ব্যবস্তা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতায় থাকার মানুষিকতা, হাতিয়ার হিসেবে ধর্মকে ব্যবহার করা যেহেতু হিন্দু ধর্মের লোক বেশি
মুসলমান শাসকরা সুলতানী এবং মোগল আমলে প্রায় ছয় শত বছর ভারত শাসন করলেও তারা জোরপূর্বক ধর্মান্তর করান নি। সেটি করলে আজকের ভারতবর্ষ হতো একটি মুসলিম দেশ। তারা হিন্দুদের তাদের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে দিয়েছিলেন । তাদের উদারতার কারনে ভারতের কট্টরপন্থী হিন্দুরা আজকে এতো ঔদ্ধত্য দেখানোর সাহস পায়।
খোকন নামে একজন মন্তব্য করেছন- আওরঙ্গজেবের সাথে বাংলাদেশের কোন সম্পর্ক নেই। এটা উনি না জেনে বলেছেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের সাম্রাজ্যের ব্যপ্তি ছিল কাবুল থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত। উনি বলেছেন আওরঙ্গজেব সম্রাট ছিলেন বিধায় অত্যাচারী ছিলেন। উনার এ ধরনের বক্তব্য অজ্ঞতা প্রসূত। আওরঙ্গজেব ন্যায় পরায়ন এবং প্রজাবৎসল ছিলেন
বাংলাদেশর সাথে আরঙ্গজেবের কোন সম্পর্ক নেই। ওনি সম্রাট ছিলেন বিধায় অত্যাচারিত শাসকও বটে ছিলেন। অত্যাচারিতদের অপমান হোক এটা সবাই চায়। বাংলাদেশে যেমন হাসিনা সরকার অত্যাচারিত ছিল বলেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং এখন যদি সে মারা যায় তার সমাধি দেশের মাটিতে হবে কিনা তাও সন্দেহ। দেশ প্রধান, সরকার প্রধান, রাজা বাদশা যে ই হোক যে, ধর্মেরই হোক অত্যাচারিত ক্ষমা নেই এবং হবে না । আশা করব এতে হিন্দু মুসলিম কিম্বা পাড়াপ্রতিবেশির উপর কোন প্রভাব ফেলবে না । কিন্তু যখন ধর্মীও প্রতিষ্ঠানের উপর জোরজুলুম করা হবে, সেইটা হবে অন্যায়।