ঢাকা, ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

খেলা

মোহামেডানের কাছে পাত্তাই পেলো না লিজেন্ডস

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার
mzamin

ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) এবারের আসরে শিরোপার দৌড়ে হট ফেভারিট লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। তবে দুই দলের প্রথম দফার মুখোমুখি লড়াইয়ে মোহামেডানের কাছে পাত্তাই পায়নি লিজেন্ডরা। আগে ব্যাটিং করে তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটিতে আড়াইশ’ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় মোহামেডান। এরপর তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিংয়ে লড়াইও করতে পারেনি লিজেন্ডস, শেখ মেহেদীর ব্যাটে কোনোরকমে দেড়শ’ পার করে তারা। ডিপিএলের পঞ্চম রাউন্ডে গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জকে ৯৪ রানে হারায় মোহামেডান। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৫৩ রানের পুঁজি গড়ে তামিম ইকবালের দল। জবাবে ৫৭ রানে ৬ উইকেট হারানো লিজেন্ডসের ইনিংস শেষ হয় ১৫৯ রানে। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা মোহামেডানের অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। রান তাড়ায় শুরুতেই বিপদে পরে লিজেন্ডস। দ্বিতীয় ওভারেই তানজীদ হাসান তামিমকে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চতুর্থ ওভারে সৌম্যকে তাসকিন আহমেদ আর পরের ওভারে সাইফ হাসানকে ফেরন তাইজুল ইসলাম। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে ফিরিয়ে লিজেন্ডসের আরও খাদের কিনারায় ঠেলে দেন মিরাজ। ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৩ রান। একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়ছিলেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩৩ বলে ১৭ রান করা এই ব্যাটারকে ১৫তম ওভারে ফিরিয়ে দেন সাইফ উদ্দিন। ২ ওভার পর দলকে বিপদে ফেলে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন অধিনায়ক আকবর আলী। তাকেও ফেরান সাইফউদ্দিন। ৫৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর লড়াই শুরু করেন জাকের আলী অনিক ও শেখ মেহেদী। দুজনে মিলে এগোচ্ছিলেন অসম্ভবের দিকে। দুজনের জুটিও ৫০ রান করে ফেলে। অনিককে ফিরিয়ে সেই জুটিও ভাঙেন মিরাজ। ২৫ রান আসে জাকেরের ব্যাট থেকে। এরপর একাই কিছুক্ষণ লড়াই করেন মেহেদী। তাকে ফেরান তাসকিন, মেহেদীর ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। মোহামেডানের হয়ে মিরাজ ৪, তাসকিন ৩ উইকেট নেন। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে টেবিলের ৩ নম্বরে আছেন তামিম-মিরাজরা। আবাহনী ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের পয়েন্টও ৮। তবে রানরেটে এগিয়ে শীর্ষে আবাহনী আর ২ নম্বরে গাজী। সমান ম্যাচে ৩ জয়ে ৫ নম্বরে লিজেন্ডস। 
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ৮ম ওভারে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে হারায় মোহামেডান। শরিফুল ইসলামের শিকার হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২৮ রান। তবে অন্যপ্রান্তে রনি ঠিকই রানের চাকা সচল রাখেন। তবে ভালো ছন্দে থেকেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৪তম ওভারে দলীয় ৭৭ রানে আউট হওয়ার আগে করেন ৩৯ বলে ৩৬ রান। ২০ ওভার শেষে মোহামেডানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১০৩ রান। দলীয় ১৪০ রানে বিদায় নেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। শেখ মেহেদীর শিকার হওয়ার আগে করেন ৪২ রান। এরপরই হুট করে মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ে মোহামেডানের। ১ রানের ব্যবধানে মুশফিকুর রহিমও ধরেন ড্রেসিংরুমের পথ। এরপর হৃদয় একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে কেউই তাকে লম্বা সময় সঙ্গ দিতে পারেননি। ষষ্ট ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেন ৭৬ বলে ৬৬ রান। এই সময়ে হাঁকান ৩ চার ও ২ ছক্কা। শেষদিকে মিরাজ ২৫ ও সাইফউদ্দিনের ১৯ রানের ক্যামিওতে আড়াইশ রান পার করে মোহামেডান।
 

খেলা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

খেলা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status