বিশ্বজমিন
ফিলিস্তিনপন্থী সেই শিক্ষার্থীর পক্ষে ট্রাম্প টাওয়ারে ইহুদিদের বিক্ষোভ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৪ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার, ৫:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৩৩ অপরাহ্ন

ফিলিস্তিনপন্থী মার্কিন শিক্ষার্থী খলিল মাহমুদকে আটকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভে নেমেছেন ইহুদিরা। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ করেছে জিউস ভয়েস ফর পিস নামের একটি সংগঠন। ইহুদিরা বলছে ইসরাইলকে অস্ত্র দেয়া বন্ধ করুন সম্বলিত টি শার্ট গায়ে বিক্ষোভে অংশ নেন তারা। বিক্ষোভ থেকে খলিল মাহমুদকে মুক্তি দেয়ার বিষয়েও স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে বলা হয়, গাজা যুদ্ধের সময় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন খলিল। এই অভিযোগে গত সপ্তাহে তাকে আটক করে মার্কিন পুলিশ। এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভে নামেন ইহুদিরে ওই সংগঠন। তাদের সরে যেতে বলার পরও বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ায় মোট ৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অনধিকার প্রবেশ, গ্রেপ্তারে বাধা ও প্রতিরোধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
খলিল মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্রের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি বিয়ে করেছেন এক মার্কিন নাগরিককে। তার বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনেরও কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু গাজার পক্ষে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়ায় শনিবার নিউইয়র্ক সিটির একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। বর্তমানে তাকে লুইজিয়ানার একটি অভিবাসন আটক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায় এসেই ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করে দেশ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। খলিলের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, তাকেই প্রথম আটক করা হয়েছে। আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হবে। কথিত সন্ত্রাসবাদ এবং ইহুদিবিদ্বেষের ভিত্তিতে মার্কিনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের অংশ হিসাবে ওই গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
খলিলের পক্ষে ইহুদিদের বিক্ষোভে অভিনেতা ডেবরা উইংগারও ছিলেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, ইহুদিদের নিরাপত্তায় ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো আগ্রহ নেই। আমি অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছি, আমি খলিলের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। তাকে অবৈধভাবে অপহরণ করে অজ্ঞাত জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। আমেরিকা কী আপনার কাছে এমনই মনে হচ্ছে? বলে অভিযোগ করেন তিনি। খলিল মাহমুদকে আটকের পর তাকে কোথায় রাখা হয়েছিল, তাৎক্ষণিকভাবে তার আইনজীবীকে জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, জিউস ভয়েস ফর পিস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৬ সালে। ফিলিস্তিনে ইসরাইলি নিপীড়নে সহায়তা করে মার্কিন সমর্থন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে সংগঠনটি।
পাঠকের মতামত
ধন্যবাদ যারা শান্তির পক্ষে,ধন্যবাদ যারা ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে।একদিন ইসরায়েল ধ্বংস হবে,একদিন আমেরিকা ধ্বংস হবে ইনশাআল্লাহ।