অনলাইন
জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিল ভণ্ডুল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৮:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১০ অপরাহ্ন

জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার মাহফিল ভণ্ডুল হয়েছে। দলটির অভিযোগ, কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক হট্টগোল ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলায় ইফতার অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। শনিবার বিকেলে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত পল্লবী থানা সংলগ্ন ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।
এদিন জাতীয় পার্টির প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে বার্তা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, বিকেল সাড়ে ৪টায় পল্লবী থানা সংলগ্ন ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করার কথা ছিল জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের। বেলা ৪টার দিকে দলের নেতা-কর্মীরা ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত হন। তাদের ভাষ্যমতে, ৩০ থেকে ৪০ জন উচ্ছৃঙ্খল যুবক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে উপস্থিত হয়ে অশালীন স্লোগান দিয়ে ইফতার অনুষ্ঠানের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এসময় রোজাদারদের গালাগাল দিয়ে হলরুম থেকে বের করে দেয়। ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পেরে আগতরা ফিরে যান।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নামে জাতীয় পার্টির ইফতার অনুষ্ঠানে বাধা দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আমরা মাঠে ছিলাম। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে জাতীয় পার্টির দুইজন নেতা শহীদ হয়েছেন। অনেকেই মামলা ও হামলার শিকার হয়ে কারাবাসে ছিলেন। এছাড়া বিগত সরকারের সকল দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম। অথচ, বর্তমান সরকার আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আটককৃতদের জামিন দেয়া হচ্ছে না। ফলে দোষী সাব্যস্ত না হয়েও শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে নিরপরাধ মানুষ কারাভোগ করছে। এ ধরনের হয়রানির মাধ্যমে আমাদের দলীয় কর্মকাণ্ডে যোগ না দিতে বিভিন্নভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অনেক আগেই নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। এই সরকারের প্রত্যক্ষ সহায়তায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের আনুকূল্যে নতুন দলটি ক্ষমতার জন্য ভোটের মাঠে লড়াই করতে চাইবে। এমন বাস্তবতায় পক্ষপাতদুষ্ট অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই বোকামী।
পাঠকের মতামত
সব নষ্টের মূল এরা। ওদের সমর্থনেই এতো দীর্ঘ সময় টিকে ছিল সৈরাচার। কোন ছাড় নয় এদেরকে।
জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করা হোক। এরা জাতীয় বেইমান।
জাতীয় পার্টি প্রতিটি সরকারের এজেন্ট।বিগত ১৬ বছর পতিত স্বৈরাচারের দালালি ছাড়া আর কিছুই করে নাই। অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
জাতীয় পার্টির সমর্থন না থাকলে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট রেজিম এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারতো না। তারাও ফ্যাসিষ্টের অংশ। ফ্যাসিষ্ট হিসেবে তাদেরও বিচার হওয়া উচিৎ।
বিগত ১৬ বছর পতিত স্বৈরাচারের দালালি ছাড়া আর কিছুই করে নাই। অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
জাতীয় বেঈমান পার্টি
জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের একটা বড় বেঈমান
বিগত ১৬ বছর পতিত স্বৈরাচারের দালালি ছাড়া আর কিছুই করে নাই। অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
তলে তলে সবসময় হাসিনার দালালি করে গেছে জাতীয় পার্টি।আওয়ামী লীগের সাথে এটাকেও ভ্যান করতে হবে
সওম সংযমের মাস। সংঘর্ষ কেন? ইসলামিকদের মধ্যে তো সংঘর্ষ হয় না?
জাপার কোন দরকার নাই। তারা ভারত ও হাসিনার দোসর
They have no right to do politics in Bangladesh.
জাতীয় পার্টির নেতাদের জেলে ভরেন।কোনো দয়া দেখানো যাবেনা।
বাংলাদেশের এই দুরবস্থার জন্য এরশাদ, কাদের এরাই সবচেয়ে বেশী দায়ী। ওদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
ভারতের দালাল জি এম কাদের এখনো বাহিরে কেনো তাকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করা হোক
জাতীয় মীরজাফর বেঈমান পার্টি।জি এম কদের,চুন্নু এবং রাংগার ও রংপুরের মেয়রের দ্রুত ফাঁসি চাই ইনশাআল্লাহ।
জিএম কাদেরকে গ্রেফতার করে না কেনো?
ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান দোসর জিএম কাদের, চুন্নু ও রাংগাকে দ্রুত গ্রেফতার করা উচিৎ।
জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের একটা বড় বেঈমান
পার্টি ইফতার সেলেব্রেশন করে !! এখনও মানুষের জন্য কিছু করে নাই !! শুধু পু পু হর্ন বাজিয়ে মাস্তানি করে গাড়ি নিয়ে মানুষ কে ঠকানো ছাড়া কিছুই করে নাই বিগত কোনও এমপি মন্ত্রী। সব বাটপার।
AL and its friendly parties like JP must be banned forever.
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আমরা মাঠে ছিলাম।! আপনাদের এখানে হাসির ইমোজি থাকলে দেখতেন কত লাখ হাহা রিয়েক্ট পড়তো....