ভারত
সোমবারের মধ্যে আলোচনা শুরু না হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের হুমকি যাদবপুরের ছাত্রদের
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ৮ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৫:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে ১০ মার্চ সোমবারের মধ্যে কর্তৃপক্ষ আলোচনায় না বসলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক বন্ধের হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনরত ছাত্ররা। ১ মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির পর থেকে ছাত্ররা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বহু ছাত্রই চলমান পরীক্ষা বয়কট করেছেন। ছাত্র সংসদ নির্বাচন, পরীক্ষার তারিখ বদল, ছাত্রদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আলোচনায় বসার আবেদন জানিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমেই জট কাটতে পারে বলে সকলে মনে করছেন।
ছাত্রদের এই আন্দোলনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে নাগরিক সমাজও। মামলা প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট দাবিতে পথে নেমেছেন তারা। আন্দোলনকারীরা জানান, আমরা খবর পাচ্ছি একের পর এক ছাত্রের বাড়িতে পুলিশের চিঠি যাচ্ছে। এটার প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। অভয়া মঞ্চসহ একাধিক মঞ্চ, শিক্ষকদের একাংশও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকায় পিষ্ট ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের পিতা অমিত রায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে বলেছেন, ছাত্রদের দাবি অত্যন্ত জরুরি দাবি। ছাত্র সংসদ নির্বাচনসহ শিক্ষার ক্ষেত্রে জড়িত যে দাবি তোলা হয়েছে সেগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক পথে এইসব দাবি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মেটানো হোক। তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার জায়গা। যত দ্রুত আলোচনার দরজা খোলা যাবে ততই জটিলতা কাটবে।
এদিকে যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তখনই ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে ধরে ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখান। এক পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির উপর ছাত্রদের তরফে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তার গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় ইন্দ্রানুজ রায় নামে এক ছাত্র আহত হন। এরপর পরিস্থিতি পুরো ঘুরে যায়। ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তোলেন ছাত্রছাত্রীরা। তার পদত্যাগের দাবিতেও সোচ্চার হন ছাত্ররা। আদালতে এই নিয়ে মামলাও হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা রুজু হয়েছে ছাত্রদের অভিযোগের ভিত্তিতে।