অনলাইন
থমথমে কুয়েট
অবরুদ্ধ ভিসি, চলছে জরুরি সিন্ডিকেট সভা
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ২:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের চারপাশে সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভেতরে মেডিকেল সেন্টারের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। মেডিকেল সেন্টারের দোতলায় অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ। জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সব মিলিয়ে বুধবার দুপুর পর্যন্ত পুরোপুরি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে কুয়েটে।
কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহতদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
এদিকে ২৪শে ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ তম নিয়মিত সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্যাম্পাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ মেডিকেল সেন্টারে অবরুদ্ধ থাকায় অনলাইনে তিনি সিন্ডিকেট সভায় যোগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন।
পাঠকের মতামত
নতুন বাংলাদেশে কোন ছাএ সংগঠন থাকতে পারবে না। ছাএদের কাজ পড়ালেখা। উন্নত দেশগুলোতে আমাদের চেয়ে বেশি গণতন্ত্র। তাদের শিক্ষা প্রতিষঠানে তো কোন ছাএ সংগঠন নেই। এই দেশে ছাএ সংগঠন হলো পড়া লেখা নষ্ট করার একটি অভিশপ্ত নিয়ম। অবিলম্বে দেশের সকল ছাএ সংগঠন বাতিল করতে হবে কেয়ামত পর্যন্ত। ওবায়দুল কাদের, তোফায়েল আহমেদ, তারা ভিপি ছিল, তাদের আমলনামা আজকে দেখুন। আবরার কেন খুন হলো? এই জাতিকে এর জবাব দিতে হবে একদিন।
ছাত্রলীগ যেহেতু নাই, সেহেতু অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের থাকার অধিকার নাই। লাউড এন্ড ক্লিয়ার।
ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠন সহ সকল ছাত্র রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে বৈষম্য সৃষ্টি হবে।Mohammad Nazrul Isla -me fully agreed with this opinion.
কোনো রাজনৈতিক দলের যে কোনো অঙ্গসংগঠন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।
ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠন সহ সকল ছাত্র রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে বৈষম্য সৃষ্টি হবে।
ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠন সহ সকল ছাত্র সংগঠনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে বৈষম্য সৃষ্টি হবে।
আমি মনে করি, ছাত্র-ছাত্রীরা রাজনীতি সচেতন হবেন কিন্তু ছাত্র/ছাত্রী অবস্হায় পুরোপুরি রাজনীতি সক্রিয় হলে নিজেদের অধ্যয়নে ব্যাঘাত হবে। তাই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া সকলের জন্য মঙ্গলজনক।
কোনো রাজনৈতিক দলের যে কোনো অঙ্গসংগঠন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।
একদিকে রাজনৈতিক দল গঠন করছে, অন্যদিকে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করছে । এরা দুরভিসন্ধি করছে ।