অনলাইন
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ
২রা মার্চ চেম্বারে আপিল শুনানি
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৬:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানির জন্য ২রা মার্চ দিন রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এ আদেশ দেন। আগামী ২রা মার্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
আদালতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সব বিচারপতি মামলাটি শুনবেন। তাই ২রা মার্চ দিন ঠিক করেছেন।
গত ৬ই এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মেধার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রতিবাদে আদালতে হট্টগোল করে নিয়োগপ্রত্যাশীরা। সেদিন থেকে তারা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল আবেদন করা হয়।
এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিটটি করেন। গত ১৯শে নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে এই নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। আর রুলে ৩১শে অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ই নভেম্বরের নির্দেশনাসংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সে রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেন হাইকোর্ট।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ২৩শে জুলাই কোটাপদ্ধতি সংশোধনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবরের জারি করা পরিপত্রসহ আগের এসংক্রান্ত সব পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করা হলো। ফলে আগের কোনো আদেশ বহাল থাকছে না। তবে রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী বলেন, এই ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের সেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়। যেখানে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ অন্যান্য কোটা ছিল। তাই এই ফলাফল ও নিয়োগের বিষয় চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।