অনলাইন
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে: সালাহউদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে
(৪ মাস আগে) ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৭:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দাফন করে গেছেন ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। দাফন হয়েছে দিল্লিতে। মুর্দা শেখ হাসিনা কাফন ফুড়ে মাঝেমধ্যে কথা বলে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা কখনও সফল হবে না।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার শহরের গোলচত্ত্বর মাঠে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কথা দিয়েছেন ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়ত যদি সাফ থাকে তাহলে অনতিবিলম্ব নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। মানুষ রক্ত দিয়েছে এই দেশে হারানো গণতন্ত্রকে পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য। তারা জীবন দিয়েছে একটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে আয়োজনের প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই সবার আগে জাতীয় নির্বাচন হওয়া জরুরি।
কিছু উপদেষ্টা জনগণের পালস্ বুঝেন না মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ। মানুষ স্বস্তিতে থাকতে চায়। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শেখ হাসিনার দোসরদের হাতেই দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনে যারা ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিলেন, তাদের বাদ দিতে হবে এবং যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
বাজার পরিস্থিতির অবনতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ান, সিন্ডিকেট ভাঙুন। জনগণ সংস্কার বোঝে না, তারা স্থিতিশীল বাজার চায়। রমজান মাসে কোনোভাবেই যেন পণ্যের দাম না বাড়ে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখা জরুরি।
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড শামী আরা স্বপ্না, দপ্তর সম্পাদক ইউসুপ বদরী, প্রচার সম্পাদক অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরীসহ জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
দীর্ঘদিন পরে কক্সবাজার জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভাকে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। দুপুর থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী জনসভা মিচিল সহকারে জড়ো হতে থাকে। বিকাল বাড়ার সাথে সাথে জনসভাস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে।