খেলা
জোর করে কোনো দলে খেলা সম্ভব নয়, এটা মিথ্যাচার: মুনিম
স্পোর্টস রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার, ১২:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লীগের (ডিপিএল) গত আসরে পারটেক্সের হয়ে খেলেছিলে মুনিম শাহরিয়ার। তবে এখনও দলটির কাছে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক পাওনা তার। গতকাল এই পাওনা আর দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় পারেটক্স গ্রুপ। আর পারটেক্সের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন দৈনিক মানবজমিনের কাছে দাবি করেন, মুনিম তাদের দলে জোর করে খেলেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় মুনিম বললেন সাজ্জাদের এই দাবি হাস্যকর ও সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।
দৈনিক মানবজমিনের আজকের পত্রিকায় ডিপিএলের গেলো আসরে ক্রিকেটারদের বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। যেখানে মুনিম শাহরিয়ার জানান, পারটেক্স তার ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক দিবে না বলে জানিয়েছে। পারফর্মেন্স ভালো না হওয়াতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত। এরপর পারটেক্সের কর্মকর্তা সাজ্জাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, ‘ওর (মুনিম) সঙ্গে তো কোনো নির্দিষ্ট চুক্তিই হয়নি। ও দল পাচ্ছিলো না, সে কয়েকবার আসছে তো আমি বলছি, না, আমি নিতে পারবো না। সে বারবার আসতেছিল বলছিলো, আঙ্কেল আমাকে নেন। আমি তখন বলছি এবার নিতে পারবো না। শেষ পর্যন্ত আমার ছেলেকে রিকোয়েস্ট করে টিমে ঢুকছে।'
এর জবাবে এবার মুনিম বলেন, ‘উনি (সাজ্জাদ) আমার নামে শুরু থেকেই এক বছর ধরে মিথ্যাচার করে আসছেন। সবার কাছেই আমার নাম খারাপ করছেন। ওনার ছেলে জারিফ আমাকে কল দিছিলো, একদিন পরপর ফোন দিতো প্রায় ৩০-৪০ মিনিট করে কথা হতো। আমি ভাবিনি এরকম মিষ্টভাষী কেউ আমার সঙ্গে এরকম বিট্রে করতে পারে। আমি তখন কল রেকর্ড করতে পারতাম কিন্তু করিনি, ভাবিনি এরকম হবে। তবে আমার কাছে সাক্ষি আছে, আমার যে লোকাল কোচ আছে ওনার বাসায় থাকতাম তখন ফোন দিতো। জারিফ আমাকে এমনও বলছে যে আমি ক্যাপ্টেন্সি করতে পারবো কিনা। একটা দল যারা কিনা আমাকে অধিনায়কত্ব দিতে চাচ্ছে তাদের দলে আমি কিভাবে জোর করে খেলি। আমি ওনার দলে আমি মোটেও জোর করে খেলিনি, এটা সম্ভবও না। এটা হাস্যকর ও অবান্তর কথাবার্তা।'
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম ৩ ম্যাচে ৪ রান করেছি, একটা খেলোয়াড় খারাপ খেলতেই পারে। তো পরের অনুশীলনে নিয়ে উনি আমাকে কোচ দ্বারা জুনিয়রদের সবার সামনে আমাকে বলছে, মুনিম তুমি আউট অফ প্রাক্টিস। তুমি অনুশীলন করতে পারবা না। আমি তখন বলেছি, আপনি সবার সামনে এটা বললেন! আর অনুশীলন করতে পারবো না এটা কেমন কথা। প্রিমিয়ার লীগে একটা দলের সঙ্গে আছি, আর খেলা খারাপ হইছে বলে লীগের মধ্যে কিভাবে বের করে দিতে পারেন। পরে সিনিয়র বড় ভাইরাও প্রতিবাদ করে আমার সঙ্গে। পরে খোদার কসম সাজ্জাদ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলছে আমি আসলে এটা আবেগের বশে বলছি, এরকম কিছু না। এরপর ওনার সঙ্গে আমার কনট্যাক্ট করে সেটা মৌখিক ছিল। উনি তো বাটপার মানুষ, এভাবেই কনট্যাক্ট করবে। উনি তো আর লিখিত করবে না। আমি আবাহনী, রুপগঞ্জে খেলেছি সবখান থেকেই টাকা পাইছি। নতুন হিসেবে আসলে আমি জানতাম না এভাবে বাটপারি হয়, এজন্য লিখিত কনট্যাক্ট করিনি। কিন্তু উনি যে মিথ্যাচার করছে এটা ঠিক নয়। তবে গত এক বছর ধরে যেভাবে আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে তার একটা সুরাহা হওয়া দরকার। উনি আমার মানহানি করছে এটার বিচার হওয়া দরকার। এটা আমার আত্মসম্মানে লেগেছে, আমার ক্যারিয়ারের জন্যও এটা হুমকিস্বরুপ। এটা দেখা উচিত।’
পাঠকের মতামত
ক্রিকেট টিমের কিছু কিছু মালিকের DNA টেষ্টের প্রয়োজন ! এরা কিসের তৈরী !!