অনলাইন
সংবাদ সম্মেলনে দাবি
‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’ প্রস্তাব সারা দেশের মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৯:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’ প্রস্তাব সারাদেশের মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের নেতারা। শনিবার রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তারা। প্রশাসন ক্যাডারদের পক্ষপাতিত্ব পূর্ণ ও বৈষম্যমূলকভাবে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন ঢাকাতে সমাবেশের আয়োজন করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনকে আল্টিমেটাম দেয়। সে সময়ে ও পরে তারা অন্য ক্যাডার সদস্যদের উদ্দেশে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করেন। এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ঘেরাও করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি ক্যাডার সদস্যদের সঙ্গে প্রশাসন ক্যাডার সদস্যদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য শুরু হয়।
সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মত প্রকাশের জন্য ঢালাওভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। কোনও কারণ দর্শানোর নোটিশ ব্যতিরেকে সামান্য অজুহাতে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা মৌলিক অধিকার ও চাকরিবিধির পরিপন্থি। যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তারা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এভাবে বরখাস্ত করায় পরিষদ সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
পরিষদ মনে করে, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রত্যয় নিয়ে ছাত্রজনতার স্বত:স্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের আমলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকার ক্ষুণ্ন করায় পরিষদ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস গঠনসহ বর্তমান সরকার যে সব সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তা যথাযথভাবে শেষ করতে সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে পরিষদ। পরিষদ মনে করে, এভাবে সাময়িক বরখাস্ত অব্যাহত থাকলে সিভিল সার্ভিসে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, যা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে। এ অবস্থায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে জারি করা সাময়িক বরখাস্তের আদেশগুলো প্রত্যাহার করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতিদানের অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যদিকে, প্রশাসন ক্যাডারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ থাকলেও, সে বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। প্রশাসন ক্যাডারের অন্যায় আগ্রাসনের বিষয়ে ‘আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ ও সংশ্লিষ্ট ক্যাডার অ্যাসোসিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে। এই অন্যায় আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। উপদেষ্টারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করলেও এ বিষয়ে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে এখনও সাময়িক বরখাস্ত চলমান রয়েছে। এ অবস্থায়, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে এ সব অন্যায় বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদভুক্ত সব ক্যাডার কর্মকর্তারা কর্মবিরতিসহ ধারাবাহিক কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।
পাঠকের মতামত
চাকরির প্রয়োজন থাকলে মন দিল লাগাইয়া, ঝামেলা না কইরা কাজ করেন। আর ঝামেলা পাকানোর ইচ্ছা থাকলে বিদায় হন। নয়তো দুর হ,,,,,
আপনাদের এ ধরনের কাজ রাষ্ট্রবিরোধী ও জনগণকে জিম্মি করে মাফিয়ার মত কাজ করা। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের বেতন হয়, আপনারা সোজা হয়ে যান ভালো হয়ে যান এসব দলবাজি, ধান্দাবাজি বন্ধ করেন।
বেছে বেছে আইনের প্রয়োগ আর যাই হোক আইনত পদক্ষেপ হতে পারেনা।
যোক্তিক দাবি।
কর্ম বিরতিতে গেলে আপনাদের স্থায়িভাবে বহিষ্কার করা উচিত হবে
মামার বাড়ির আবদার , সরকারী কোন দপ্তর দুর্নীতি মু্ক্ত?অন্যায় করবে অথচ বিচার হবে না এ যেন মগের মুল্লুক। শতকরা হিসেবে কৃষি দপ্তর নিঃসন্দেহে সবার শীর্ষে।
Agreed!