ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯ শাবান ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমশৈল ক্রমে এগোচ্ছে জর্জিয়ার দিকে, পরিণতি ভয়ঙ্কর

মানবজমিন ডিজিটাল

(৩ সপ্তাহ আগে) ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ৭:১৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৪:০৯ অপরাহ্ন

mzamin

অ্যান্টার্কটিকা থেকে ভেঙে যাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় বরফের টুকরো 'আইসবার্গ এ২৩এ' এখন ক্রমশ দক্ষিণ জর্জিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা রুদ্ধশ্বাসে এই  আইসবার্গের প্রতিদিনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দ্বীপের সঙ্গে এটির সংঘর্ষ ঘটবে এবং এর কারণে এ অঞ্চলে বিচরণকারী পেঙ্গুইন ও সিলের মতো প্রাণীগুলো ঝুঁকিতে পড়বে। 'আইসবার্গটি প্রায় ৪,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। বিজ্ঞানীরা বলছেন,  গ্রেটার লন্ডনের দ্বিগুন আকৃতির এবং প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন টন ওজনের এই হিমশৈল যদি দক্ষিণ জর্জিয়ার কাছে আটকে যায়, তবে সেখানকার পেঙ্গুইন ও সিলদের খাদ্য সংগ্রহের পথে বাধা হতে পারে। মা পেঙ্গুইন তাদের বাচ্চাদের খাবার জোগাড় করতে সমস্যায় পড়তে পারে। এক কথায় খিদের জ্বালায় প্রাণ হারাতে পারে বহু পেঙ্গুইন। 

অতীতেও এমন  বিশালাকার হিমশৈলের কারণে দক্ষিণ জর্জিয়ায় বহু পাখি এবং সিলের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৪ সালে এ৩৮ নামের একটি হিমশৈল দ্বীপটির তলদেশে আটকে গেলে সৈকতে অনেক পেঙ্গুইন ও সিলের শাবক মারা গিয়েছিল খেতে না পেয়ে। দ্বীপটি কিং পেঙ্গুইন, লাখ লাখ হাতি এবং পশম সিলের রাজ্য। দক্ষিণ জর্জিয়ার সরকারি জাহাজ ফারোস থেকে সমুদ্রের ক্যাপ্টেন সাইমন ওয়ালেস বিবিসি-কে বলেন, “আইসবার্গটি  বেশ বিপজ্জনক। আমি খুবই খুশি হব যদি এটি আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়।” বৃটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বরফখণ্ডটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন। 

গত ডিসেম্বরে গবেষণা জাহাজ থেকে বরফখণ্ডের ভিডিও ধারণ করা হয়েছে এবং পানির  নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বরফখণ্ডটির চলাচল ও সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে নিবিড়ভাবে নজরদারি চালাচ্ছেন।   ১৯৮৬ সালে হিমশৈলটি অ্যান্টার্কটিকার ফিলচনার  আইসশেলফ  থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং সমুদ্রতলে আটকে পড়ে। পরে আবার একটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিতে আটকা পড়ে এটি। শেষ পর্যন্ত গত ডিসেম্বরে হিমশৈলটি সামুদ্রিক ঘূর্ণি থেকে মুক্ত হয়ে দ্রুত গতিতে বিলীন হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।অ্যান্টার্কটিকার উত্তর দিকের উষ্ণ জলরাশি হিমশৈলটির উঁচু চূড়াগুলো দুর্বল করছে এবং গলিয়ে দিচ্ছে। এগুলো ১ হাজার ৩১২ ফুট (৪০০ মিটার) পর্যন্ত উঁচু হতে পারে; যে উচ্চতা যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে উঁচু ভবন দ্য শার্ডের চেয়ে বেশি। 

একসময় হিমশৈলটির আকার ছিল ৩ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার। স্যাটেলাইটে ধারণ করা সাম্প্রতিক সময়ের ছবিতে দেখা গেছে, এটি ধীরে ধীরে ক্ষয় হচ্ছে। বর্তমানে এর আকার কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটারে, যা ইংল্যান্ডের কর্নওয়াল কাউন্টির সমান। বৈশ্বিক উষ্ণতা বা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের শিকার গোটা পৃথিবীই। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য স্থানের তুলনায় তিন গুণ দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে অ্যান্টার্কটিকা।  গত ৩০ বছরের আবহাওয়া পর্যালোচনা করে একটি গবেষণার পরে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালে।  সেখানে বলা হয়েছে উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে। যা স্বাভাবিবক ভাবেই প্রভাব ফেলছে সেখানকার বাস্তুতন্ত্রেও।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

ফারুক খানের ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস/ শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আর চাই না

ছাত্রদের নতুন দল / সদস্য সচিব পদ নিয়ে টানাপোড়েন

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status